বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
ভারত ও ব্রিটেনের বিজ্ঞান মন্ত্রীরা সবুজ জ্বালানির সাহায্য নিয়ে আলোচনা করেছেন
ভারত বলেছে, নেট জিরো জার্নি শুরু করার জন্য ভারত সোলার অ্যালায়েন্স, ক্লিন এনার্জি মিশন- এর মতো উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নেতৃত্ব দিয়েছে
Posted On:
25 NOV 2021 5:13PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৫ নভেম্বর, ২০২১
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত, ডক্টর জিতেন্দ্র সিং ব্রিটেনের বিজ্ঞান মন্ত্রী জর্জ ফ্রিম্যানের সঙ্গে একটি অনলাইন বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে দু'দেশের মধ্যে সবুজ জ্বালানির ক্ষেত্রে সহযোগিতার পাশাপাশি দু'দেশের স্বার্থ জড়িত এমন বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনা হয়েছে।
ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রিটিশ বিজ্ঞান মন্ত্রীকে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ব্রিটেন ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক গবেষণা ও উদ্ভাবনী অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মূলক সহযোগিতা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই যৌথ গবেষণা কর্মসূচি এখন প্রায় শূন্য থেকে তিন থেকে চারশ মিলিয়নের কাছাকাছি চলে গেছে বলে তিনি জানান।
ভারতের নেট জিরো জার্নির বিষয়ে আলোচনা করে ডক্টর জিতেন্দ্র সিং বলেন, জ্বালানির দক্ষতা এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্তম্ভ, যেখানে ভারত ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া সোলার অ্যালায়েন্স, ক্লিন এনার্জি মিশন প্রভৃতির মতো বিভিন্ন উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছে।
পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ জ্বালানির ক্ষেত্রে ভারত ব্রিটেনের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, চারটি প্রযুক্তি মান শৃংখল বা ভ্যালু চেন ক্রমবর্ধমান কার্বন-ডাই-অক্সাইড সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেক অবদান রাখে। প্রযুক্তিগুলির ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়, যেমন কার্বন ক্যাপচার, ইউটিলাইজেশন এবং স্টোরেজ, হাইড্রোজেন এবং হাইড্রোজেন সম্পর্কিত জ্বালানি এবং জৈব শক্তি। তিনি সাশ্রয়ী মূল্যের বায়ো-মেটেরিয়ালস, স্বাস্থ্য ডেটা সায়েন্স এবং লাইভস্টক রিসার্চ ও নিউরো সায়েন্সের মতো ক্ষেত্রগুলির কথা বলেছেন যেখানে উভয় দেশের কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতের সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে এবং অন্বেষণ করতে পারেন।
ডক্টর জিতেন্দ্র সিং উল্লেখ করেন যে, নিউটন ভাবা চুক্তি বা মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভারত ও ব্রিটেন এর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণাকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এরফলে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য ও কৃষি, পানীয় জল, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অধ্যায়নের পাশাপাশি সামাজিক এবং ভারতের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটছে।
ডক্টর জিতেন্দ্র সিং বলেন, ভারত চলতি বছরের পয়লা ডিসেম্বর থেকে কয়েকদিনের মধ্যে জি-২০ ট্রয়িকায় যোগ দেবে। আগামী বছরের পয়লা ডিসেম্বর থেকে জি-২০-তে সভাপতিত্ব করবে। এছাড়াও ভারত প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে সালে জি-২০ নেতাদের নিয়ে শীর্ষ সম্মেলন করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, এস-২০ গ্রুপের (জি-২০'র সায়েন্স ট্র্যাক) মানবতার মুখোমুখি হওয়ার চ্যালেঞ্জ গুলির মোকাবিলায় সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে জড়িত হওয়া এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাধানের জন্য সবচেয়ে দায়িত্ব রয়েছে। ভারত এক স্বাস্থ্য বা ওয়ান হেলথ পদ্ধতিকে সমর্থন করে। এটি ভারতে অনুষ্ঠিত পরবর্তী এস-২০ শীর্ষ সম্মেলন এর থিম হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জানান যে, সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন কাউন্সিল, এস আই সি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করার জন্য একটি শীর্ষ সংস্থা। এই সংস্থা বৃটেনের এজেন্সি গুলির সাথে নিয়মিত বৈঠক করে। ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে উদ্ভাবন, গবেষণা থেকেকে শুরু করে সমস্ত দিক বিবেচনা করা হয়।
বিগত কয়েক বছরের ভারত সরকার ফ্ল্যাগশিপ মূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যেমন, ন্যাশনাল মিশন অন ইন্টার ডিসিপ্লিনারি সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেমস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এন্ড কমিউনিকেশন, ন্যাশনাল মিশন অন সুপার কম্পিউটিং, দীপ ওসেন মিশন, ইলেকট্রিক মবিলিটি, গ্রিন হাইড্রোজেন প্রভৃতি।
বর্তমানে ভারত সরকার, উদ্ভাবন, উদ্যোগ, এবং আইপি জেনারেশনের মূল্য শৃংখলকে উন্নীত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। সামাজিক চাহিদা মেটানোর জন্য এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রয়োগমুখী প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এই উভয় পর্যায়ে শিল্প নেতৃত্বাধীন সহযোগিতা ও শিল্পের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রচুর প্রয়োজন রয়েছে।
CG/ SB
(Release ID: 1775184)
Visitor Counter : 189