অর্থমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অভিনন্দন জানিয়েছন
प्रविष्टि तिथि:
25 AUG 2021 8:38PM by PIB Kolkata
মুম্বাই, ২৫ অগাস্ট ,২০২১
কেন্দ্রীয় অর্থ এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ মুম্বাইতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মুখ্য কার্যনির্বাহীদের নিয়ে ব্যাঙ্কের কাজকর্ম পর্যালোচনা করেন । পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে ২০১৪-য় যে পরিস্থিতি ছিল তার মোকাবিলায় সরকারের যে চারটি আর রণকৌশল অর্থাৎ রেকগনিশন, রেজিউলিশন, রিক্যাপিটালাইজেশন এবং রিফর্ম তাতে বিভিন্ন দিক থেকেই ২০২০-২১-এ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে ।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির এমডি-দের সঙ্গে আলোচনার অঙ্গ হিসেবে অর্থমন্ত্রী গ্রাহক পরিষেবা, ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পগুলির জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ, তার পাশাপাশি পরিকাঠামোর জন্য জাতীয় উদ্যোগে ঋণ, পিএলআই কর্মসূচির জন্য ঋণ এবং রফতানির জন্য ঋণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন । শ্রীমতী সীতারমন বিশেষ করে জোর দেন ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প এবং খুচরো ব্যবসায় সুলভে ঋণ পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টির ওপর । এরই পাশাপাশি ডিজিটাল লেন্ডিং এবং উদ্ভাবনে প্রযু্ক্তিতে এবং ঋণ আদায়ে নিয়মিত প্রয়াসের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয় । আর্থিক ক্ষেত্রে সকলের অন্তর্ভুক্তির প্রয়াসে যথেষ্ট লাভ হয়েছে, কিন্তু এই প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে বিশেষ করে যেক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে । অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়্ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সব সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী প্রাপ্য সুবিধা যাতে পথের প্রত্যেকটি নারী ও পুরুষের কাছে পৌঁছায় তার জন্য সচেষ্ট থাকতে বলেন ।
শ্রীমতী সীতারমন ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেন এক্সপোর্ট প্রমোশন সংস্থাগুলির পাশাপাশি শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে, যাতে রফতানিকারকদের প্রয়োজন ঠিক সময়ে মেটানো যায় । ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় নিয়মিত ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্টার্স অর্গানাইজেশনের সঙ্গে আলোচনা করতে, যাতে রফতানিকারকদের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের দরজায় ঘুরতে না হয় ।
অর্থমন্ত্রী জোর দেন যে বর্তমানে পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পগুলির বর্তমানে ব্যাঙ্ক ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে তাদের মূলধন জোগাড়ের সুযোগ আছে । ব্যাঙ্ক নিজেও বিভিন্ন রাস্তায় তাদের মূলধন সংগ্রহ করছে । এই নতুন বিষয়গুলির সমীক্ষার প্রয়োজন । যাতে যেখানে প্রয়োজন সেখানে ঋণ দেওয়া যায় । শ্রীমতী সীতারমন আরও বলেন যে, ব্যাঙ্কগুলি বিশেষ কোন ক্ষেত্রের নির্দিষ্ট শিল্পগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, যাতে তারা রফতানিকারকে পরিবর্তিত হয় এবং একটি অঞ্চল একটি পণ্য কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ।
শ্রীমতী সীতারমন নির্দিষ্ট করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেই মতো ব্যাঙ্কগুলিকে উত্তর-পূর্বের জৈব ফল ক্ষেত্রের চাহিদা মেটানোর প্রয়োজন আছে ।
বিশেষ করে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন যে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির লজিস্টিক এবং রফতানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তার প্রত্যেকটিতে নজর দিতে হবে । অর্থমন্ত্রী আরও যোগ করেন যে, পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে সিএএসএ আমানত বেড়ে চলেছে এবং তাই ব্যাঙ্কগুলিকে ওই অঞ্চলে ঋণ দানের আরও প্রসার ঘটাতে হবে ।
সব মিলিয়ে শ্রীমতী সীতারমন ব্যাঙ্কগুলিকে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করতে বলেন যাতে যার প্রয়োজন তার কাছে ঋণ পৌঁছয় । ঋণ পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন যে, ২০১৯-এর অক্টোবর থেকে ২০২১-এর মার্চ পর্যন্ত ব্যাঙ্কগুলি অভিযান চালায় এবং ৪.৯৪ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে । এবছরও একই ধরনের অভিযান চালানোর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বলেন অর্থমন্ত্রী ।
২০২১-এর এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কাজকর্মের উন্নতি বহাল থেকেছে । সব মিলিয়ে লাভ হয়েছে এই ত্রৈমাসিকে ১৪ হাজার ১২ কোটি টাকা । কার্যকরী লাভ, ফি বাবদ আয় এবং রাজকোষের আয় প্রভূত বৃদ্ধি পেয়েছে । কোভিড-১৯ অতিমারির জন্য সার্বিক বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এই কাজ । রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ওপর বাজারের ভরসাও বেড়েছে । গত বছর যেখানে ১০,৫৪৩ কোটি টাকা মূলধন হিসেবে তোলা হয়েছিল, সেখানে এবছর প্রথম পাঁচ মাসে সংগ্রহ হয়েছে ৭,৮০০ কোটি টাকারও বেশি । ব্যাঙ্কগুলিকে মিশিয়ে দেওয়ার কাজ হয়েছে এবং তার সুফলও পাওয়া যাচ্ছে । বেড়েছে দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, কমেছে খরচ এবং দৃঢ় হয়েছে মূলধনী শক্তি ।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির গ্রাহক পরিষেবার উন্নতি এবং সব জায়গায় ব্যাঙ্কের পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং, ডিজিটাল লেন্ডিং, বহু বৈচিত্র্য বিশিষ্ট মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং-এর জন্য । গ্রাহক বান্ধব বৈশিষ্ট্য এবং আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারে সুফল মিলেছে । ডিজিটাল চ্যানেলগুলির মাধ্যমে ডিজিটাল খুচরো ঋণের আবেদন সম্ভব হয়েছে বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে । ২০২০-২১ অর্থবছরে এই ধরনের ঋণ দেওয়ার পরিমাণ ৪০,৮১৯ কোটি টাকা । গ্রাহকের প্রয়োজন মতো এবং বিশ্লেষণভিত্তিক ঋণদানের প্রস্তাব গতি পেয়েছে । ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭-টি বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নতুন খুচরো ঋণ প্রদান করেছে ৪৯,৭৭৭ কোটি টাকার । ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনের প্রায় ৭২%-ই হচ্ছে ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে । ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করছেন এমন গ্রাহকের সংখ্যা ২০১৯-২০-তে ছিল ৩.৪ কোটি তা ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৬ কোটি ।
অতিমারির সময়ে রাষ্ট্রায়্ত্ত ব্যাঙ্ক এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসি-গুলি সহায়তা দিয়েছে ১.১৬ কোটির বেশি ঋণ গ্রহীতাকে শুধুমাত্র এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম (ইসিএলজিএস) এরই মাধ্যমে । ইসিএলজিএস-এর সাফল্যে সরকার ২০২১-এর ২৮-শে জুনের ঘোষণার অঙ্গ হিসেবে ইসিএলজিএস বাড়িয়ে করেছে ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা । এর পাশাপাশি আছে অন্যান্য উদ্যোগ যেমন গ্যারান্টি স্কিম ফর এমএফআই এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারের (ক্যাপেক্স) জন্য । উদাহরণ অনুযায়ী এমএফআই কর্মসূচি গত সপ্তাহেই মাত্র ১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে । ‘উভারতে সিতারে স্কিম’ চালু হয়েছে মাঝারি এবং ছোট সংস্থাকে চিহ্নিত করতে যারা রফতানিতে নেতৃত্ব দিতে পারে ।
রাষ্ট্রায়্ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পর্যালোচনা বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এনহ্যানস্ড অ্যাকসেস অ্যান্ড সার্ভিস এক্সেলেন্স(ইএএসই) ৪.০ সংস্কার কর্মসূচিরও সূচনা করেন ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের ইএএসই ৩.০ –এর বার্ষিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেন ।
CG/AP/NR
(रिलीज़ आईडी: 1749124)
आगंतुक पटल : 243