আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক
২০০ বন ধন উৎপাদক কোম্পানি গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬-এর মধ্যে
Posted On:
13 AUG 2021 3:50PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৩ অগাস্ট, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত এবং ভোকাল ফর লোকাল-এর সঙ্গে সংগতি রেখে সবকা সাথ সবকা বিকাশের লক্ষ্য অর্জনে ট্রাইফেড প্রধানমন্ত্রী জন জাতীয় বিকাশ কর্মসূচি শুরু করেছে । ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬-এর মধ্যে ২৭টি রাজ্যের ২০০টি বন ধন উৎপাদক কোম্পানি তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । ট্রাইফেডের বন ধন কর্মসূচির অধীনে প্রত্যাশাযুক্ত জেলাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে । এটি বলতেই হবে যে, ২০২০ থেকে তামিলনাড়ুর তিরুবন্নামালাই জেলায় জয়াদু হিলসে একটি বন ধন উৎপাদক কোম্পানি আছে । তার কাজকর্মে প্রমাণ এই ধরনের উদ্যোগ কীভাবে আদিবাসীদের উপকৃত করে এবং তাদের শিল্পোদ্যোগী হওয়ার সুযোগ দেয় ।
পূর্বঘাট পর্বতমালার জয়াদু হিলস-এ জনসংখ্যার ৯২.৬০ শতাংশ মালয়ালি আদিবাসী । এদের রুজি-রোজগার কাঠ ছাড়া অন্যান্য বনজ পণ্য থেকে । এই পাটা জমিতে তেঁতুল, কাঁঠাল, নারকেল, লেবু, কলা, জাম প্রভৃতি নানা রকম গাছ জন্মায় ।
এইসব আদিবাসীদের ক্ষমতায়ন করতে এবং তাদের আরও বেশি সুবিধা এবং বাজারের সুযোগ দিতে ২০২০-তে জায়াদু হিলস ট্রাইবাল ফার্মার প্রোডিউসর কোম্পানি গঠিত হয় । কাঠ নয় এমন বনজ পণ্যে মূল্য যুক্তি করার জন্য এটি রাজ্যের উন্নয়ন তহবিলের অধীনে গঠিত হয় । কোম্পানি আইনের অধীনেই এই কোম্পানি তৈরি হয় এবং এটি শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ । এর সদস্যরা হলেন – কৃষক, উৎপাদক, এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী । এই সংস্থার ডিরেক্টর এবং শীর্ষ পদে আছেন আদিবাসীরাই ।
১ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তেঁতুল, মধু, মরিচ, মিলেট প্রক্রিয়াকরণ এবং প্যাকেট করার ৪টি কারখানা তৈরি হয়ে গেছে । আদিবাসী পরিচালিত এই কারখানাগুলিতে উৎপাদন শুরু হয় ২০২০-র নভেম্বরে । দৈনন্দিন উৎপাদন ক্ষমতা ১ টন । এখনও পর্যন্ত ৪ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১২ লক্ষ টাকার মতো প্রক্রিয়াজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে । ট্রাইবস ইন্ডিয়া বাজারে বিক্রেতা হিসেবে এফপিও নথিভুক্ত হয়েছে এবং ৯টি প্রক্রিয়াজাত পণ্য বিক্রি করছে । ফলে এর জন্য একটি বড়সড় বাজার পেয়েছে তারা ।
বছরে ১২৪ টন অপ্রধান মিলেট উৎপাদিত হয়েছে । ৯,৮০০টি পরিবার এটির চাষ করে । প্রায় ১৭,৭৭০ জন কৃষক এর সঙ্গে যুক্ত । উৎপাদক কোম্পানি দ্বারা উপকৃত হবেন এই কৃষকরা । জয়াদু হিলে বছরে ২২ টন মধু উৎপন্ন হয় । ১২০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২,৭৬০ জন সদস্য মধু চাষের সঙ্গে যুক্ত । ৯,৫০০টি পরিবার এবং ৩০০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তেঁতুল উৎপাদন এবং বিক্রির প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত । এইসব পাহাড়ে ৯০ টনের বেশি তেঁতুল উৎপন্ন হয় ।
কৃষক উৎপাদক কোম্পানির পাশাপাশি ব্লকের আদিবাসীরা ইতিমধ্যেই তিরুবন্নমালাই জেলার বন ধন কেন্দ্রের সদস্য । যেমন জায়াদু ভিডিভিকে, যমুনা মারাতুর ভিডিভিকে এবং কোট্টাথুর ভিডিভিকে। এফপিও-র অধীনে এগুলি কাজ করছে । আদিবাসীরা তাদের জীবন-জীবিকা অর্জন করছেন এইসব ভিডিভিকে-র মাধ্যমে। কাঠ ব্যতীত অন্যান্য বনজ পণ্য ও অপ্রধান বনজ পণ্যে মূল্যযুক্তি করে এবং প্রক্রিয়া করণের মাধ্যমে ।
জায়াদু হিলস উৎপাদক কোম্পানি তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট আদিবাসীদের জীবন ও সামাজিক মান উন্নতি করার লক্ষ্যে । সারা দেশে আদিবাসী মানুষের জীবন-জীবিকা এবং আয় বাড়াতে বন ধন ট্রাইবাল স্টার্টআপ কতটা সফল এটা তারই উদাহরণ ।
একই কর্মসূচির একটি উপাদান বন ধন ট্রাইবাল স্টার্টআপ । এটির কাজ মূল্য যুক্ত করা, ব্র্যান্ডিং করা এবং বিপণন করা । বন ধন কেন্দ্র স্থাপন করে অপ্রধান বনজ পণ্যগুলির মানোন্নয়ন করে অরণ্য নির্ভর আদিবাসীদের দীর্ঘস্থায়ী জীবিকার সৃষ্টি করাই লক্ষ্য । আদিবাসী সংগ্রাহক, অরণ্যবাসী এবং আদিবাসী কুটির শিল্পীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করার উপায় হিসেবে এটি পরিগণিত হচ্ছে ।
২ বছরের কম সময়ের মধ্যে ৩৭ হাজার ৯০৪টি বন ধন স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিণত হয়েছে ২,২৭৫টি বন ধন বিকাশ কেন্দ্র গুচ্ছে । এর প্রত্যেকটিতে আছে ৩০০ জন অরণ্যবাসী । এগুলির অনুমোদন দিয়েছে ট্রাইফেড । ট্রাইফেডের হিসেব অনুযায়ী একটি প্রকৃত বন ধন স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে ২০ জন আদিবাসী সদস্য থাকে । ১৫টি সেইরকম গোষ্ঠী নিয়ে তৈরি হয় একটি বন ধন বিকাশ কেন্দ্রগুচ্ছ । এর ফলে ২৩টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রায় ৬.৬৭ লক্ষ আদিবাসী অরণ্য সংগ্রাহকরা উদ্যোগপতি হওয়ার সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি জীবন-জীবিকা উন্নত করার সুযোগ পাচ্ছে এই বন ধন বিকাশ কেন্দ্রগুচ্ছ থেকে ।
ট্রাইফেড আদিবাসী জীবিকা কর্মসূচির পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগের কর্মসূচি নিয়েছে । বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দফতরের সঙ্গে একযোগে কাজ করে ট্রাইফেডের লক্ষ্য এই সব আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা এবং আয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করা ।
কৃষি ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে ট্রাইফেড ৮টি রাজ্যে ১৪টি মধু এফপিও তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করবে ।
CG/AP/RAB
(Release ID: 1745636)
Visitor Counter : 186