সড়কপরিবহণওমহাসড়কমন্ত্রক

মোটর ভেহিক্যালস আইন সংশোধনের ফলে পথ নিরাপত্তার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ; প্রাণহানি হ্রাস পেয়েছে

Posted On: 02 AUG 2021 2:40PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২ আগস্ট, ২০২১

পরিবহণ গবেষণা শাখার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ থেকে ২০২০র মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালে ৪,৬৭,০৪৪টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৯এ ৪,৪৯,০০২টি এবং ২০২০ সালে ৩,৬৬,১৩৮টি দূর্ঘটনা ঘটেছে।
পথ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংসদে ২০১৯এর মোটর ভেহিক্যালস আইন (সংশোধনী আইন) পাশ হয়। এই আইনের ফলে গাড়ি চালানোর সময় যান চলাচল নিয়ম লঙ্ঘন করলে জরিমানার পরিমাণ বাড়ান হয়েছে। বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে যান চলাচলের ওপর নজরদারি, অপ্রাপ্তবয়স্করা গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি, গাড়ি ঠিক আছে কি না সেটি পরীক্ষা করার জন্য কম্পিউটারের সাহায্য নেওয়া, অনলাইনের মাধ্যমে গাড়ি চালানোর পরীক্ষা নেওয়া, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন বাতিল করা, তৃতীয় পক্ষের বীমা ব্যবস্থা, কোনো গাড়ি কাউকে ধাক্কা মারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদির সংস্থান এই সংশোধনীতে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সংশোধনীর ফলে যানবাহন আইন আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং দেশের পথ-নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, প্রাণহানি কমেছে।
মন্ত্রক, যানবাহনের সুরক্ষা বাড়াতে নতুন নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে। পথ নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এ বিষয়ে জন-সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাড়ি সর্বোচ্চ কত গতিবেগে চলবে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নীতি-নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন সংশোধনীর ফলে আরও যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল :
১. গাড়ি চালকের ডিউটির সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য ১৯৮৮র যানবাহন আইনের ৯১ ধারার পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।
২. মন্ত্রক ২০১৭র ২০ নভেম্বর জি.এস.আর ১৪৩৩(ই)-র সংশোধন করেছে। এর ফলে এআইএস-০৫৬(প্রথম পরিবর্তন ) অনুযায়ী ট্রাকের কেবিনে যথাযথ ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কেবিনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বসাতে হবে।
৩. কেন্দ্রীয় সহায়তায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে গাড়ি চালানোর আদর্শ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৪. স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গাড়ি ঠিক আছে কি না তা দেখার জন্য ফিটনেস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের সহায়তায় প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটি করে আদর্শ যানবাহন পরীক্ষা ও শংসাপত্র প্রদান কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।
৫. পথ নিরাপত্তা বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে প্রতি বছর পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ/মাস পালন করা হয়।
৬. পথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তা তৈরির সময় প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করা হয়।
৭. চার লেনের জাতীয় সড়কে সর্বোচ্চ গাড়ি চলাচলের পরিমাণ ১৫ হাজার থেকে কমিয়ে ১০ হাজার ইউনিট করা হয়েছে।
৮. যেসব অঞ্চলে সড়ক দূর্ঘটনা বেশি হয়, সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের আঞ্চলিক দপ্তরগুলিকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে যারা রাস্তা ব্যবহার করেন তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে।
৯. সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা যাতে নিরাপদে যাওয়া-আসা করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে পথচারীদের জন্য পৃথক নীতি-নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে।
১০ সুপ্রিম কোর্টের ২০১৭ সালের ৬ই এপ্রিল এবং পয়লা জুন আরডাব্লু/এনএইচ-৩৩০৪৪/৩০৯/২০১৬/এসঅ্যান্ডআর নির্দেশ অনুযায়ী মদের দোকান জাতীয় সড়কের পাশ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
১১ বাধাহীনভাবে গাড়ি চালানোর জন্য ৬ লেন ও ৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নত যান চলাচল ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। যান চলাচল ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনে সাহায্যের জন্য কলবক্স, ভ্রাম্যমান যোগাযোগ ব্যবস্থা, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে বিভিন্ন বার্তা, আবহাওয়া সংক্রান্ত বার্তা ইত্যাদি সুবিধেগুলি যাতে পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স, জীবনদায়ী বিভিন্ন ব্যবস্থা, ক্রেন ইত্যাদি মহাসড়কের পাশে রাখা হচ্ছে।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী শ্রী নীতীন গড়করি।

CG/CB/NS



(Release ID: 1741586) Visitor Counter : 526


Read this release in: English , Punjabi , Tamil