শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক

শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার

Posted On: 19 JUL 2021 2:50PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৯  জুলাই, ২০২১

 

বার্ষিক পর্যায়ক্রমিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সমীক্ষা পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর করে থাকে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২০র এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে বেকারত্বের হার ২০.৮ শতাংশ। ২০১৯এর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২০র জানুয়ারী থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই হার ছিল ৮.৩ শতাংশ, ৭.৮ শতাংশ এবং ৯.১ শতাংশ। তবে কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের হারের বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে হলে সারা বছরের শহর এবং গ্রামাঞ্চলের থেকে পাওয়া সমীক্ষার তথ্য বিচার করতে হবে। ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত বার্ষিক সমীক্ষার তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৭-১৮ সালে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯ সালে এই হার ছিল ৫.৮ শতাংশ।

নতুন কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য ২০২০র পয়লা অক্টোবর আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনার সূচনা হয়। এই যোজনার লক্ষ্য হল কাজ হারানো শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করা এবং বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারীদের আর্থিক বোঝা কমানো এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থায় আরও কর্মচারী নিয়োগে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কেন্দ্র দু-বছরের মেয়াদে এই যোজনার মাধ্যমে ভবিষ্যনিধি তহবিলের অর্থ যোগাচ্ছে। ভবিষ্যনিধি তহবিলে কর্মচারীর ১২ শতাংশ এবং যে প্রতিষ্ঠানে তিনি কর্মরত সেই প্রতিষ্ঠানের দেয় ১২ শতাংশ অর্থ౼অর্থাৎ মোট ২৪ শতাংশ অর্থ কেন্দ্র এই তহবিলে জমা দেবে। তবে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের নিবন্ধীকৃত যেসব সংস্থায় কর্মচারীদের বেতন মাসে ১৫ হাজার টাকার কম শুধুমাত্র সেইসব সংস্থাগুলির ১২ শতাংশ অর্থই সরকার সংশ্লিষ্ট তহবিলে জমা দেবে। যে সমস্ত নতুন কর্মী কোভিডের কারণে কাজ হারিয়েছিলেন এবং ২০২০র ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভবিষ্যনিধি তহবিলের অন্তর্ভুক্ত কোনো সংস্থায় কাজ করেননি তারাই এই সুযোগ পাবেন। আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনার আওতায় সুবিধাভোগীদের নাম নথিভুক্ত করার সময়সীমা ৩০ জুন থেকে বাড়িয়ে আগামী বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে।

কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় ২০২০র মার্চ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে কর্মচারী এবং নিয়োগকারীর ১২ শতাংশ অর্থ অর্থাৎ মোট ২৪ শতাংশ জমা দিয়েছে। তবে যেসব সংস্থায় কর্মচারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০০ জন এবং এদের মধ্যে ৯০ জনের মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার কম তারাই এই সুযোগ পেয়েছেন। এর ফলে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে নিবন্ধীকৃত বিভিন্ন সংস্থায় কোভিড পরবর্তী সময় নতুন করে কর্মী নিয়োগ করতে সুবিধা হয়েছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী রোজগার প্রোৎসাহন যোজনা শুরু করা হয়েছিল। এই যোজনায় কেন্দ্র তিন-বছরের মেয়াদে ভবিষ্যনিধি তহবিলের অর্থ যোগাচ্ছে। ভবিষ্যনিধি তহবিলে কর্মচারীর ১২ শতাংশ অর্থ কেন্দ্র তহবিলে জমা দেবে। তবে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের নিবন্ধীকৃত যেসব সংস্থায় কর্মচারীদের বেতন মাসে ১৫ হাজার টাকার কম সেইসব সংস্থাগুলি এই সুবিধা পাবে। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা ২০২১৯এর ৩১ মার্চ নাম নথিভুক্ত করেছেন। তাঁরা তিন বছর অর্থাৎ ২০২২এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন।    

রাস্তার হকাররা যাতে আবারও তাঁদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন তার জন্য পিএম স্বনিধি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে হকারদের এক বছরের মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে মূলধনের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য এই প্রকল্প থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়ককারী ঋণ পাবে।

এছাড়াও সরকার দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিনিয়োগ করা যাবে এ ধরণের নানা প্রকল্প গড়ে তুলতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রাইম মিনিস্টারস এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম (পিএমইজিসি), মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চিত প্রকল্প (এমজিনারেগা), পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্য যোজনা (ডিডিইউ-জিকেওয়াই) ও দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা- জাতীয় শহরাঞ্চল জীবিকা মিশন (বিএওয়াই-এনইউএলএম)এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি যথাক্রমে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এবং দক্ষতা বিকাশ ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের সাহায্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এইসব উদ্যোগগুলি ছাড়াও মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্বচ্ছ ভারত মিশন, স্মার্ট সিটি মিশন, অটল মিশন ফর রেজুভিনেশন অ্যান্ড আর্বান ট্রান্সফরমেশন, হাউসিং ফর অল, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্প করিডরের মতো কেন্দ্রীয় বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচিরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দর যাদব লোকসভায় আজ এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন।

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1736967) Visitor Counter : 230


Read this release in: English , Urdu , Punjabi