স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের সদস্য দেশগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ডাঃ হর্ষ বর্ধনের ভাষণ
Posted On:
30 JUN 2021 7:45PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০শে জুন, ২০২১
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের (এসসিও) সদস্য দেশগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন।
সংগঠনের সদস্য দেশগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ভাষণে ডাঃ হর্ষ বর্ধন সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন। জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরী অবস্থা হিসেবে কোভিড – ১৯ ঘোষিত হওয়ার সময় থেকে ১৮ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ে উন্নত দেশগুলি সহ সমগ্র বিশ্বেই মহামারির প্রভাব পড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “এই মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজেদের নিরাপদ করতে পারছি, ততক্ষণ কেউই সুরক্ষিত নয়। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশগুলির মধ্যে আরো বেশি সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা প্রকট হয়েছে। তাই এটা অত্যন্ত জরুরী যে আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা আরো মজবুত, স্বাস্থ্য পরিষেবায় সেরা পন্থা পদ্ধতির প্রয়োগ, পরস্পরের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় আরো নিবিড় করতে হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতির উদ্ভবের ফলে বিশ্ব পরিস্থিতি আরো সঙ্কটগ্রস্থ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি মোকাবিলা ও প্রতিকূল প্রভাব দূর করা আরো বেশি জরুরী হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পাশাপাশি বিশ্ব অংশীদারিত্ব আরো মজবুত করে তোলা প্রয়োজন।
ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের সদস্য দেশগুলিতে মহামারির দরুণ স্বাস্থ্য ও আর্থিক ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে এবং জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধিতে। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব সমুদয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোভিড – ১৯ জনিত অসুখ বিসুখ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কৌশল বর্তমানে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারত, একথা বিশ্বাস করে যে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি বহুপাক্ষিক পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, ভারত বর্তমানে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং ব্রিটেন সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে নার্স আদান – প্রদান কর্মসূচী কার্যকর করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করছে।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজস্ব সক্ষমতা বাড়িয়ে ও তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে ভারত, ভবিষ্যতে এধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত হয়ে উঠছে। অন্যান্য দেশের মতো ভারতও এটা বিশ্বাস করে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আশু প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যৎ মহামারির মোকাবিলায় এবং কার্যকর পন্থা গ্রহণ করা যায়। ভারতে কোভিড টিকাকরণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, ভারত একাধিক দেশে টিকা সরবরাহে “ভ্যাক্সিন মৈত্রী” কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ডাঃ হর্ষ বর্ধন, ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে জানান, কোভিড – ১৯ মহামারির সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। “তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে চিকিৎসা পদ্ধতির পরম্পরাগত জ্ঞানকে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন” বলে ডাঃ হর্ষ বর্ধন অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান, ভারতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সুদক্ষ নেতৃত্বে পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কিত একটি বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী গঠন করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। গত বছর সংগঠনের সদস্য দেশগুলির মধ্যে এই গোষ্ঠী গঠনের জন্য একটি খসড়া বিনিময় করা হয়। এ সম্পর্কে ডাঃ হর্ষ বর্ধন এই বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী গঠনের পন্থা পদ্ধতি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য সংগঠনের সদস্য দেশগুলির প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের সদস্য দেশগুলির মধ্যে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করে ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, এই দেশগুলি ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকেও একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত। তাই শতাব্দী প্রাচীন বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ককে অগ্রভাবে রেখে, “আমাদের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে আরো উন্নত ও উজ্জ্বল সাংহাই সহযোগিতা অঞ্চল গড়ে তোলা।” পরিশেষ ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, “কেবল অভিন্ন দায়বদ্ধতা ও আদর্শগত মূল্যবোধ এই উদ্দেশ্য পূরণে আমাদের আলোর দিশারী হতে পারে।”
CG/BD/SFS
(Release ID: 1731663)
Visitor Counter : 217