আইনওবিচারমন্ত্রক
সমস্ত হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে এখন শারীরিক দিক থেকে অসমর্থ ব্যক্তিদের সুবিধার্থে ক্যাপচা পদ্ধতি চালু
Posted On:
27 JUN 2021 3:53PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৭শে জুন, ২০২১
মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের ই-কমিটি গত কয়েক মাস ধরে ভারতীয় বিচার ব্য়বস্থায় ডিজিটাল পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে, যাতে ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তি বা দিবাঙ্গজনরা এই ডিজিটাল ব্যবস্থার সুবিধা আরো বেশি করে গ্রহণ করতে পারেন। বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থায় ডিজিটাল পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে আরো একটি লক্ষণীয় মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের ই-কমিটির নিরন্তর প্রচেষ্ঠার ফলে এখন ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা ক্যাপচা পদ্ধতি বা প্রাথমিক বৈধ্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে সমস্ত হাইকোর্টের ওয়েবসাইটের পরিষেবা নিতে পারবে।
এই ক্যাপচা পদ্ধতির মাধ্যমে ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তি বা দিবাঙ্গজনরা যে কোনো আদালতের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরিষেবা যেমন আদালতের রায় বা বিচার, মামলার বর্তমান পরিস্থিতি প্রভৃতি সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন। অনেক হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে ভিজ্যুয়াল ক্যাপচা ব্যবস্থা চালু থাকায় স্বল্প দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিরা অসুবিধায় পড়তেন। এর ফলে তারা ওয়েবসাইটের পরিষেবাগুলি নিতে পারতেন না। এই সমস্যার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সমস্ত হাইকোর্টের সঙ্গে সহযোগিতায় মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের ই-কমিটি ভিজ্যুয়াল ক্যাপচার পাশাপাশি লিখিত / শ্রবণযোগ্য ক্যাপচা পদ্ধতি শুরু করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছে। এর ফলে স্বল্প দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিরাও যে কোনো হাইকোর্টের ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা নিতে পারবেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে বিচারপতি ড. ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় –এর নেতৃত্বাধীন ই-কমিটি গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর এক চিঠিতে সমস্ত হাইকোর্টকে তাদের ডিজিটাল পরিকাঠামো ব্যবস্থা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের উপযোগী করে তোলার পরামর্শ দেন। বিচারপতি ড. চন্দ্রচূড় ঐ চিঠিতে লেখেন, সাংবিধানিক এবং বিধিবদ্ধ ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
বিচারপতি ড. চন্দ্রচূড়ের লেখা ঐ চিঠির প্রেক্ষিতে মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের ই-কমিটি সমস্ত হাইকোর্টের ওয়েবসাইটগুলিতে ডিজিটাল ব্য়বস্থার মানোন্নয়নে এক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। কর্ম পরিকল্পনায় বলা হয়, ডিজিটাল পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে ওয়েবসাইটগুলিতে নির্দিষ্টভাবে কয়েকটি পরিষেবা ব্যবস্থায় সংস্কার করতে হবে। এর মধ্যে ছিল, আদালতের রায় বা আদেশ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পৌঁছে দেওয়া, মামলার বর্তমান পরিস্থিতি ডিজিটাল পদ্ধতিতে জানা, ওয়েবসাইটে লিখিত শব্দের আকার এ+এএ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং স্ক্রীন রিডারের সুবিধা।
মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের ই-কমিটি সমস্ত হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে ডিজিটাল ব্যবস্থার মানোন্নয়নে হাইকোর্টগুলির টেকনিক্যাল বা কারিগরি দলের সদস্যদের জন্য একাধিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী আয়োজন করে। এর ফলে অধিকাংশ ওয়েবসাইটই এখন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ব্যবহারবান্ধব হয়ে উঠেছে। এমনকি মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের ই-কমিটি এবং ই-আদালতগুলির ওয়েবসাইট এখন ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কাছেও ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠেছে। ই-কমিটির ওয়েবপেজ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে এস৩ডব্লুএএএস প্ল্যাটফর্মের উপযোগী হয়ে উঠেছে। এর ফলে ই-কমিটির ওয়েবপেজ ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কাছেও সহজবোধ্য হয়ে উঠেছে। আইনজীবীদের জন্য ই-কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে অ্যাডভোকেটদের সচেতন করে তোলা হচ্ছে, যাতে তারা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াতেও এমন পন্থা অনুসরণ করেন, যাতের তার ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কাছেও সহজবোধ্য হয়ে ওঠে।
CG/BD/SFS
(Release ID: 1730702)
Visitor Counter : 224