স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
শিশুদের কোভিড-১৯ –এর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা ও পরিকাঠামোর কোনো ঘাটতি থাকবে না : নীতি আয়োগের সদস্য
Posted On:
01 JUN 2021 8:31PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি/মুম্বাই, ০১ জুন, ২০২১
শিশুদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয়ে পর্যালোচনা করতে একটি জাতীয় বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। এই গোষ্ঠী অতিমারির মধ্য থেকে শিশুদের রক্ষা করা এবং দেশের প্রস্তুতি জোরদার করার বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। ৪-৫ মাস আগে থেকেই এই গোষ্ঠী কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতিধ্যেই তথ্য সংগ্রহ, চিকিৎসা পরিকাঠামো, দেশের অভিজ্ঞতা, রোগের পরিবর্তন, ভাইরাস ও অতিমারির ধরণ সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। দিল্লিতে পিআইবি-র জাতীয় মিডিয়া সেন্টারে আজ কোভিড-১৯ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ ভি কে পল। তিনি বলেন, সরকার এই ক্ষেত্রে পদ্ধতিগতভাবে বিজ্ঞান সম্মত উন্নতিসাধনে পর্যালোচনা চালাচ্ছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নজরদারি চালাতে এই গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কোভিড-১৯ সংক্রমণে শিশুরা আক্রান্ত হলে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর কোনো ঘাটতি থাকবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ডঃ ভি কে পল বলেন, শিশুদের মধ্যে প্রায়সই কোভিড-১৯ –এর অ্যাসিম্পটোমেটিক লক্ষণ দেখা গেলেও খুব কমই হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে, অতিমারি ক্রমশই রূপ বদলাচ্ছে এবং ভাইরাসের ধরণ পরিবর্তনের ফলে পরিস্থিতিও পরিবর্তিত হচ্ছে। যে কারণে সংক্রমণের প্রবণতা বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত পেডিয়াট্রিক কেয়ার বা শিশুদের চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। তবে, এই সংক্রমণে দুই থেকে তিন শতাংশ শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পেডিয়াট্রিক কোভিড-১৯ -এর দুটি ধরণ -
ডঃ পল জানিয়েছেন যে শিশুদের মধ্যে কোভিড-১৯ দুটি রূপ নিতে পারে :
১) সংক্রমণ, কাশি, জ্বর এবং নিউমোনিয়ার মতো এক ধরণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন হতে পারে।
২) দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কোভিড হওয়ার ২ থেকে ৬ সপ্তাহ পরে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাসিম্পটোমেটিক থাকবে, সেই সামান্য অংশের শিশুদের জ্বর, গায়ে ব়্যাশ বেরোনো, চোখ জ্বালা, কনজাংটিভিটিস, শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়া, বোমি বোমি ভাব ইত্যাদি লক্ষ্যণ দেখা দিতে পারে। তবে, এটি শুধুমাত্র ফুসফুসে আক্রান্ত নিউমোনিয়ার মতো রোগেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একে মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম বলে। এটি একটি কোভিড পরবর্তী লক্ষণ। এই সময়ে শরীরে কোনো সংক্রমণ পাওয়া যাবে না এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলও নেতিবাচক আসবে। তবে, অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করলে দেখা যাবে যে শিশুটি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিল।
কিছু শিশুদের মধ্যে পাওয়া এই অনন্য রোগের চিকিৎসার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করা হচ্ছে, যা জরুরি পরিস্থিতিতে প্রকাশ করা হবে। ডঃ পল জানান, যদিও এই রোগের চিকিৎসা কঠিন নয়, তবে সময় মতো করাতে হবে।
CG/SS/SKD
(Release ID: 1723531)
Visitor Counter : 890