প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী কোভিড – ১৯ পরিস্থিতির বিষয়ে রাজ্য ও জেলাস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন

আধিকারিকদের সবথেকে ভালো পন্থা - পদ্ধতিগুলি অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে দেশের অন্যান্য জায়গায় কাজে লাগানোর পরামর্শ

Posted On: 18 MAY 2021 7:02PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৮ই মে, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কোভিড – ১৯ মহামারির ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়ে রাজ্য ও জেলাস্তরের তৃণমূল পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। আধিকারিকরা তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এই আলোচনায় ভাগ করে নিয়েছেন।
আলোচনার সময় আধিকারিকরা কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় সামনে সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেবার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সম্প্রতি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁরা যে সব উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা পরিকাঠামো ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আধিকারিকদের অনুরোধ করেছেন, ভালো পন্থা – পদ্ধতি ও নতুন নতুন উদ্ভাবনগুলি নিয়ে আলোচনা করতে যাতে, সেগুলি দেশের অন্যত্র ব্যবহার করা যায়।
দেশের স্বাস্থ্যকর্মী, সামনের সারির যোদ্ধা এবং প্রশাসকরা সঙ্কটের এই সময়ে যে অধ্যাবসায় ও নিষ্ঠা দেখিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার জন্য তাঁদের প্রশংসা করেছেন। একইভাবে ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় রাখার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, দেশের প্রত্যেকটি জেলাই আলাদা এবং প্রত্যেকটি জেলায় ভিন্ন ভিন্ন সঙ্কট আছে। তিনি জেলাস্তরের আধিকারিকদের বলেছেন, “আপনাদের জেলার সমস্যাগুলি আপনারাই সব থেকে ভালো বুঝবেন। তাই যখন আপনাদের জেলা জিতবে, তখন দেশও জয়ী হবে। যখন আপনাদের জেলায় করোনাকে মোকাবিলা করা যাবে, তখনই দেশ করোনাকে পরাজিত করবে।” তিনি যে সব আধিকারিক কোনো ছুটি না নিয়েও কোভিড – ১৯ এ সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এসে কাজ করছেন, তাঁদের কাজের প্রশংসা করেছেন। এরাই অন্যের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস এবং তিনি তাদের আত্মত্যাগের বিষয়টি ভালোভাবে উপলদ্ধি করতে পারেন।
শ্রী মোদী বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব আধিকারিকরাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতির মতোই তাঁদের ভূমিকা। স্থানীয় স্তরে কনটেনমেন্ট জোন নির্ধারণ করা, নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানো এবং মানুষের কাছে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য পৌঁছে দেওয়াই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। এই মুহুর্তে কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমছে, আবার কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। যে সব জায়গায় সংক্রমণ কমছে, সেখানে সকলকে সতর্ক থাকার উপর তিনি গুরুত্ব দিতে বলেন। এককভাবে প্রত্যেকের জীবন বাঁচানোর এই লড়াই গ্রামাঞ্চল এবং দুর্গম এলাকাগুলিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আধিকারিকদের তিনি অনুরোধ করেছেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষরা যাতে ত্রাণ সামগ্রী সহজেই পান, সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী, আধিকারিকদের পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁদের নিজ নিজ জেলায় প্রত্যেকের জীবনযাত্রা যাতে সহজ হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সংক্রমণ রোধের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি অত্যাবশক পণ্য সামগ্রীর সরবরাহ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর জন্য কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্ল্যান্ট তৈরির অর্থ পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে আসছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ইতিমধ্যেই এধরণের প্ল্যান্ট কাজ শুরু করেছে।
শ্রী মোদী টিকাকরণের ফলে কিভাবে অসুখে প্রাবল্য হ্রাস পাচ্ছে এবং হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা করানো যাচ্ছে, মৃত্যুর হার কমছে ౼ সেগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। করোনার টিকার সরবরাহ বাড়াতে প্রতিনিয়ত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক, টিকাকরণের প্রক্রিয়াকে যথাযথভাবে পরিচালনা করছে। বিভিন্ন রাজ্যের জন্য পরবর্তী ১৫ দিনের টিকাকরণের প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া হচ্ছে। টিকা যাতে নষ্ট না হয়, সেবিষয়ে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। যখন হাসপাতালে শয্যার ব্যবস্থা থাকে এবং টিকা সহজেই পাওয়া যায়, তখন মানুষেরও সুবিধা হয়। একইভাবে কালোবাজারি আটকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে কৃষিকাজে মানুষ যেভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন, প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করছেন। তিনি বলেছেন, গ্রামের মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে এবং তাদের চাহিদা মতো তথ্যাদি পৌঁছে দিতে হবে। গ্রামের মূল শক্তি এখানেই নিহিত রয়েছে। আমাদের করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব থেকে ভালো পন্থা – পদ্ধতিগুলি মেনে চলতে হবে। শ্রী মোদী, আধিকারিকদের নতুন নতুন পন্থা – পদ্ধতি উদ্ভাবন করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণের হার কমলেও তিনি সকলকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য, স্বাস্থ্য সচিব, ফার্মাসিউটিক্যাল সচিব, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

 

CG/CB/SFS


(Release ID: 1719684) Visitor Counter : 226


Read this release in: English