স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
হালকা উপসর্গযুক্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য এইমস-এর চিকিৎসকদের পরামর্শ
Posted On:
15 MAY 2021 6:59PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ১৫ মে, ২০২১
কোভিড-১৯এ কেউ সংক্রমিত হলে যেসব উপসর্গ দেখা যায় সেগুলি হল : জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, খাবারে স্বাদ না পাওয়া, গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা, ডাইরিয়া, ত্বকে চুলকানি এবং মাঝেমধ্যে চোখ লাল হয়ে যাওয়া। যদি আপনার এই লক্ষ্যণগুলির মধ্যে কোন একটি হয়ে থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে নিন। যেসব রোগী কোভিড-১৯এ আক্রান্ত তাদের জন্য ‘বাড়িতে থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক আলোচনায় দিল্লীর এইমস-এর চিকিৎসক ডঃ নিরজ নিশ্চল এই পরামর্শ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এই ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল।
দেখা গেছে ৮০ শতাংশ সংক্রমিতের মৃদু উপসর্গ হয়ে থাকে। যদি আরটিপিসিআর টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে অথচ সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যায় তখন আর একবার নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। অসুখের তীব্রতা অনুযায়ী সংক্রমিতকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
চিকিৎসার জন্য সঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়া জরুরি। তবে ওষুধ খাওয়াটাই যথেষ্ট নয় তাই রোগীদের জানতে হবে কখন-কতটা ওষুধ খাওয়া দরকার।
হোম আইসোলেশনের সিদ্ধান্ত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নেওয়া প্রয়োজন। ষাটোর্ধ নাগরিক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগী সহ যাঁরা নানান জটিল অসুখে ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোভিড-১৯এ সংক্রমিতদের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি জীবানুমুক্ত করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বাধ্যতামূলক। ওষুধপত্র আগেই সংগ্রহ করে রাখা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য, স্বাস্থ্যকর্মী, হটলাইন নাম্বার ইত্যাদির একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এছাড়াও জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের ফোন নাম্বারের একটি তালিকা করে রাখা প্রয়োজন। বাড়ির শিশুদের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা নিতে হবে।
হালকা ও যাঁদের কোনো রোগ উপসর্গ নেই এ ধরণের লোকেদের হোম আইসোলেশনে থাকা প্রয়োজন। রোগী যাতে নিয়মিতভাবে ওষুধ পায় সেদিকে সচেতন থাকতে হবে। চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখা অত্যন্ত জরুরি। যাঁদের কোভিড হবে তাঁদের তৃস্তরীয় মাস্ক পড়তে হবে। প্রতি ৮ ঘণ্টা অন্তর মাস্ক ফেলে দিতে হবে এবং ফেলা দেওয়ার আগে সেই মাস্কটিকে স্যানিটাইজ করা জরুরি। যখন স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সংক্রমিতের কথা হবে সেইসময় দু-জনেরই এন-৯৫ মাস্ক পড়ে থাকা প্রয়োজন।
শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য পাল্স্ অক্সিমিটার ব্যবহার করা প্রয়োজন। নেলপালিশ বা কৃত্রিম নখ পড়ে থাকলে চলবে না। রোগীর হাত যদি ঠান্ডা থাকে তাহলে সেটিকে গরম করা প্রয়োজন। রেমডেসিভির বাড়িতে থাকা অবস্থায় কখনই ব্যবহার করা উচিত নয়। হোম আইসোলেশনে থাকার সময় ইতিবাচক মানসিকতা ও ব্যায়াম করতে হবে। যদি অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-এর নিচে চলে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি। ইভারমেকটিন ওষুধ খাওয়ার আগে দেখতে হবে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা আছে। প্যারাসিটামলের ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য। অর্থাৎ চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিয়েই এগুলি খাওয়া যেতে পারে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে ফেবিফ্লু-এর জন্য কি ধরণের ব্যবস্থাপনা নিতে হবে।
অনেক রোগীরা অ্যাজিথ্রোমাইসিন খাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা এই ধরণের ওষুধ খেতে পরামর্শ দেন না। আলোচনার সময় বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন হোম আইসোলেশনে থাকার সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
CG/CB /NS
(Release ID: 1718872)
Visitor Counter : 13430