ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার তৃতীয় পর্যায়ের সূচনার প্রথম ১০ দিনে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২ কোটির বেশি সুফলভোগীকে ১ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য বন্টন

Posted On: 10 MAY 2021 4:15PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১০ মে, ২০২১

কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের সচিব শ্রী সুধাংশু পান্ডে আজ এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার তৃতীয় পর্যায় এবং এক দেশ এক রেশন কার্ড কর্মসূচি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার তৃতীয় পর্যায় সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলতে গিয়ে শ্রী পান্ডে জানান, ইতিমধ্যেই তাঁর দপ্তর মে ও জুন মাসের জন্য এই কর্মসূচির রূপায়ণ শুরু করেছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের প্রায় ৮০ কোটি সুফলভোগী নিয়মিতভাবে মাসিক ভিত্তিতে যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, এই কর্মসূচির তৃতীয় পর্যায়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যক্তি পিছু ৫ কোজি করে চাল বা গম অতিরিক্ত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, এই খাতে খাদ্যশস্যে ভর্তুকি বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে।
শ্রী পান্ডে আরও জানান, মে মাসে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী খাদ্যশস্যের বন্টন চলছে। ইতিমধ্যেই ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মে মাসের জন্য ভারতীয় খাদ্য নিগমের ডিপোগুলি থেকে আজ পর্যন্ত ১৫ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২ কোটির বেশি সুফলভোগীকে ১ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য কর্মসূচির তৃতীয় পর্যায়ে বন্টন করা হয়েছে।
শ্রী পান্ডে জানান, তাঁর দপ্তর সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে এই কর্মসূচি রূপায়ণের দিকগুলি নিয়ে নিয়মিত ভাবে পর্যালোচনা করছে। কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রান্ত যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে খাদ্যশস্য বৈধ সুফলভোগীদের বন্টন করা হচ্ছে। খাদ্যশস্য বন্টনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ই-পয়েন্ট অফ সেলিং যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। খাদ্যশস্য বন্টন প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সচিব/প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত ২৬ এপ্রিল ও ৫ মে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয়েছে।
এক দেশ এক রেশন কার্ড কর্মসূচির গুরুত্ব সম্পর্কে দপ্তরের সচিব বলেন, উচ্চাকাঙ্খী এই কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হল, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩-র আওতায় দেশব্যাপী অভিন্ন রেশন কার্ড চালু করা। এর ফলে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সমস্ত প্রবাসী মানুষ লাভবান হবেন। বর্তমানে এক দেশ এক রেশন কার্ড কর্মসূচি ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপায়িত হয়েছে এবং প্রায় ৬৯ কোটি সুফলভোগী এর সুবিধা পাচ্ছেন।
শ্রী পান্ডে আরও জানান, এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ১ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ নিজ রাজ্যে না থেকেও অন্যত্র এই সুবিধা গ্রহণ করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ২০২০-র এপ্রিল থেকে ২০২১-এর এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১৮ কোটি ৩০ লক্ষ ক্ষেত্রে এধরণের কার্ডে খাদ্যশস্যের বন্টন হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এক দেশ এক রেশন কার্ড কর্মসূচি সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা মূলক অভিযান গ্রহণে অনুরোধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দপ্তরের পক্ষ থেকে রেশন সম্পর্কিত নিঃশুল্ক নম্বর ১৪৪৪৫ চালু করা হয়েছে। এছাড়া দপ্তর সম্প্রতি মেরা রেশন মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপে হিন্দি সহ ৯টি আঞ্চলিক ভাষায় পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে পরিষেবার জন্য কাজে লাগানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলেও শ্রী পান্ডে জানান।
শ্রী পান্ডে আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ২০২০-র ১ এপ্রিল থেকে ২০২১-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯ কোটি ২৮ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য, ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি গম এবং ৫ কোটি ৬৪ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি চাল কেন্দ্রীয় ভান্ডার থেকে বন্টন করা হয়েছে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রী পান্ডে জানান, সরকার ভোজ্য তেলের দামের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। চিনিতে ভর্তুকি সম্পর্কে আরও এক প্রশ্নের জবাবে শ্রী পান্ডে বলেন, চিনি ও ইথানল শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা চলছে।

CG/BD/AS



(Release ID: 1717678) Visitor Counter : 109


Read this release in: English