প্রতিরক্ষামন্ত্রক
নৌবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কম্যান্ড কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অসামরিক প্রশাসনকে সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছে
Posted On:
29 APR 2021 3:34PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৯শে এপ্রিল, ২০২১
কোভিড – ১৯ সংক্রমণ যথেষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর চাপ বাড়ছে এবং অক্সিজেন দেওয়া যায় এধরণের বেডের চাহিদাও উর্দ্ধমুখী। অসামরিক প্রশাসন, নৌবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কম্যান্ডের তিনটি হাসপাতাল গোয়ার আইএনএইচএস জীবন্তী, কারওয়ারের আইএনএইচএস পতঞ্জলী এবং মুম্বাইয়ের আইএনএইচএস সন্ধানীর বেশকিছু বেড ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। এই বেডগুলিতে রোগীরা অক্সিজেন নিতে পারবেন।
মুম্বাইতে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে না হয়, তার জন্য নৌবাহিনীর এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসামরিক কর্তৃপক্ষের অনুরোধে নৌবাহিনী, প্রয়োজনে সব ধরণের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
কারওয়ারে নৌকর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১৫০০ পরিযায়ী শ্রমিককে অত্যাবশক পণ্যসামগ্রী, রেশন এবং ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে আইএনএইচএস পতঞ্জলী অসামরিক ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছিল। দেশের মধ্যে যা প্রথম। এবছরও যদি সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে এই হাসপাতালে আবারও অসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা করা যাবে।
গোয়ার নৌবাহিনীর কর্মীরা কোভিড – ১৯ এর প্রথম ঢেউয়ের সময় কমিউনিটি কিচেন পরিচালনা করেছিলেন। এবছরও যদি সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে তারা একই পদক্ষেপ নেবে। আইএনএইচএস জীবন্তীতে অক্সিজেনের সুবিধাযুক্ত কিছু বেডে সাধারণ মানুষ যাতে চিকিৎসা করাতে পারেন, সে ব্য়বস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও অসামরিক প্রশাসন অনুরোধ জানালে গোয়ার নৌবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে অক্সিজেন পাঠানো হয়।
নৌবাহিনীর গুজরাট অঞ্চলের দপ্তর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, অসামরিক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোভিড প্রভাবিত এলাকায় দরিদ্র মানুষদের সাহায্যার্থে কমিউনিটি কিচেন খোলা হয়েছে।
বর্তমানে নৌবাহিনীর সব হাসপাতালে বাহিনীর সদস্য এবং তাদের উপর নির্ভরশীল মানুষদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নিয়ম মেনে টিকাকরণ চলছে। পয়লা মে থেকে ১৮ বা তার বেশি বছরের মানুষদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী এক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদেরও নৌবাহিনীর হাসপাতাল থেকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতে পারে।
মুম্বাইয়ের আইএনএইচএস অশ্বিনী, প্রয়োজন হলে কম সময়ের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স সহ অন্যান্য কর্মীদের অসামরিক প্রশাসনের কাজে লাগানোর জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। এসব সত্ত্বেও পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌকম্যান্ড যৌথ মহড়া এবং নজরদারীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় কম্যান্ড, সম্প্রতি ম্যাঙ্গালোরে ফরাসী নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে “বরুণ ২১” মহড়া চালিয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকায় জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌ কম্যান্ড সফলভাবে বিপুল পরিমাণে নেশার জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে।
SC/CB/SFS
(Release ID: 1714917)
Visitor Counter : 227