সামাজিকন্যায়ওক্ষমতায়নমন্ত্রক

বরিষ্ঠ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা

Posted On: 23 MAR 2021 3:47PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ২৩  মার্চ, ২০২১
 
সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ দপ্তর বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য জাতীয় কর্ম পরিকল্পনার কর্মসূচি তৈরি করেছে ১.৪.২০২০ থেকে যার মধ্যে উপকর্মসূচি আছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সোস্যাল ডিফেন্স ফর সিনিয়র সিটিজেন্সের জন্য প্রকল্পে। এর মধ্যে আছে সচেতন করার কর্মসূচি যাতে নিম্নলিখিত কার্যাবলী আছে-
 
• মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা ছড়াতে বিশেষ অভিযান
 
• মেন্টেনেন্স অফ ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস সিনিয়র সিটিজেন আইন ২০০৭এর সংস্থানগুলির সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সচেতনতা আয়োজন। 
 
• বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব যার মধ্যে আছে বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণ মূলক কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতনতা।
 
• বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দেখাশোনার জন্য সম্প্রদায়, পরিবার প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি।
 
• নিজের দেখাশোনা, পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারি কর্মসূচির তথ্য ইত্যাদির জন্য তথ্যশিক্ষা যোগাযোগ সংক্রান্ত পুস্তিকা।
 
দপ্তর রাষ্ট্রীয় বয়সী যোজনা শুরু করেছে ২০১৭য় যাতে বয়স জনিত কারণে অশক্ত এবং পঙ্গু নাগরিকদের দেওয়া হয় সাহায্যকারী উপকরণ যাতে তারা শারীরিক চলাফেরায় স্বাভাবিকত্ব আনতে পারেন। প্রতিটি জেলায় সম্ভাব্য সুবিধাপ্রাপকদের চিহ্নিত করেন চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ এবং অন্যান্য পেশাদারদের দল কি প্রয়োজন, কি ধরনের উপকরণ দিতে হবে ইত্যাদির মূল্যায়ণ করা হয়। আর্টিফিসিয়াল লিম্বস ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া রূপায়ণকারী সংস্থা যার সহায়তায় মূল্যায়ণ শিবির থেকে প্রচার চালিয়ে উপকরণ বিতরণ করা হয়। 
 
অবসর ভাতা এবং অবসরভাতা প্রাপক কল্যাণ দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯৭২এর সিসিএস বিধির ৫৪ নম্বর বিধি অনুযায়ী পরিবার অবসর ভাতা কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে যেখানে প্রকৃত পরিবারের সদস্যকে সারা জীবনের জন্য অবসরভাতা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে যারা কাজে থাকাকালীন অথবা অবসরের পর মারা গেছেন। এই কর্মসূচির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হল :
 
১) যে সমস্ত পরিবার পাবেন- যারা সরকারি চাকরিতে ঢুকেছেন ২০০৪এর পয়লা জানুয়ারির আগে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদেরও যারা চাকরিতে ঢুকেছেন ২০০৩এর ৩১ ডিসেম্বরের পরে এবং মারা গেছেন কাজে থাকাকালীন।
 
২) পারিবারিক অবসরভাতা সাধারণ হারে : সর্বশেষ পাওয়া বেতনের ৩০ শতাংশ। তবে সর্বশেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দেওয়া হয় উপযু্ক্ত পরিবারের সদস্যকে ১০ বছরের জন্য সরকারি চাকরির ভিত্তিতে কাজে থাকাকালীন এবং ৭ বছরের জন্য অবসরভাতা প্রাপকের ভিত্তিতে অথবা ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত।
 
• পারিবারিক অবসর ভাতা দেওয়া হয় সরকারি চাকরি বা অবসর ভাতা প্রাপকের মৃত্যুর পরের দিন থেকে।
 
১) ন্যূনতম পারিবারিক অবসর ভাতা মাসিক ৯ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ পারিবারিক অবসর ভাতা মাসিক ১ লক্ষ ২৫ হাজার বর্ধিত হারে এবং ৭৫ হাজার টাকা সাধারণ হারে। 
 
২) পারিবারিক অবসর ভাতা দেওয়া হয় স্ত্রী বা স্বামীকে আমৃত্যু বা পুনর্বিবাহ করা পর্যন্ত। তবে স্বামী স্ত্রী বাদে অন্যান্য পারিবারিক সদস্যদের ক্ষেত্রে আয়ের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় যেমন ন্যূনতম পারিবারিক অবসর ভাতা+মহার্ঘ সুবিধা। সন্তানহীন বিধবা পুনর্বিবাহের পরেও, শিশু এমনকি অবৈধ শিশু বা দত্তক নেওয়া শিশু এখানেও শর্ত আছে বয়স, বিবাহ এবং অক্ষমতা। নির্ভরশীল অভিভাবক এবং নির্ভরশীল অক্ষম ভাই-বোনেরাও পারিবারিক অবসরভাতা পাওয়ার যোগ্য।
 
৩) ২৫ বছরের নিচে সব ছেলেমেয়ে পারিবারিক অবসরভাতা পাওয়ার যোগ্য। তবে পঙ্গু ছেলেমেয়ে এবং অবিবাহিত, বিবাহ বিচ্ছিন্ন, বিধবা কন্যারাও ২৫ বছরের ওপরে অবসরভাতা পাবেন।
 
• সিসিএস (অবসরভাতা) বিধি ১৯৭২এর অধীনে পারিবারিক অবসর ভাতার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এনপিএস কর্মচারীদেরও মৃত্যু ক্ষেত্রে এবং অক্ষমতার জন্য চাকরি গেছে সেইসব ক্ষেত্রে। অন্যথায় সিসিএস (অবসরভাতা) বিধি ১৯৭২ এনপিএস কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
 
লোকসভায় আজ লিখিত জবাবে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী রতনলাল কাটারিয়া এই তথ্য জানান।
 
***
 
 
 
 
CG/AP /NS

(Release ID: 1707108) Visitor Counter : 136


Read this release in: English , Urdu