অর্থমন্ত্রক

এলটিসি-তে উৎসাহদান এবং এর সুবিধাগুলি সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যার জন্য অর্থ মন্ত্রকের বিবৃতি

Posted On: 13 OCT 2020 9:54PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

 

ইকনমিক টাইমস মার্কেটস (ETMarkets.com)-এ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের জন্য এলটিসি ভাউচার কর্মসূচিটি আকর্ষণীয় নাও হতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে যে অংশটির ওপর নির্ভর করে এলটিসি সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা ইকনমিক টাইমস মার্কেটস সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি না করতে পেরেই প্রকাশ করেছে। এর ফলে, এলটিসি সম্পর্কিত বিষয়গুলি বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুতর ত্রুটি হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে অনুমান করে বলা হয়েছে, ছুটিতে ভ্রমণে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অর্থ ভ্রমণ না করে আয়কর মিটিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মী নিজের কাছে রাখতে পারেন। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, এলটিসি-বাবদ প্রাপ্ত অর্থ ভ্রমণে না গিয়ে নিজের কাছে রেখে তার ওপর কর প্রদান করা ভালো। এ সম্পর্কে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সরকারি এলটিসি কর্পোরেট খাতের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই, যে কর্মচারী এলটিসি নেবেন, সেই অর্থও যদি তিনি ভ্রমণ খাতে খরচ করতে ব্যর্থ হন, তবে, সমপরিমাণ অর্থ তাঁর বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে। এমনকি, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই এলটিসি-বাবদ প্রদেয় অর্থ নিজের কাছে রাখার এবং তাতে কর দেওয়ার কোনও বিকল্প সংস্থান নেই। সরকারি ব্যবস্থার আওতায় কর্মচারীরা কেবল দুটি পছন্দের বিষয় স্থির করতে পারেন। এগুলি হল – ভ্রমণ ও হোটেলে থাকা-খাওয়া প্রভৃতি খাতে খরচ তথা দ্বিতীয়টি হল,  এলটিসি-বাবদ প্রাপ্ত অর্থ ভ্রমণে গিয়ে না থাকলে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জমা করা। তবে, কর্মচারীদের এখন এলটিসি-বাবদ প্রাপ্য অর্থ ভ্রমণ ব্যতীত অন্য খাতে ব্যয় করার একটি তৃতীয় বিকল্প দেওয়া হয়েছে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে ভ্রমণ ঝঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে এই সিদ্ধান্ত। 

 

ওই প্রতিবেদনে আরও অনুমান করা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্মী নিজের অর্থ থেকে কোনও সামগ্রী ক্রয় করলে এবং কেবল এলটিসি খাতেই খরচ করলে জিএসটি দেবেন, অন্যথায় তাঁরা জিএসটি দেবেন না। তবে, প্রত্যেকেই তাঁদের কেনাকাটার ক্ষেত্রে জিএসটি মিটিয়ে থাকেন যদি কেনাকাটায় কোনও অসাধু পন্থা বা ব্ল্যাক বিল অবলম্বন করা না হয়। ইকনমিক টাইমস মার্কেটস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এলটিসি সম্পর্কে কর্মীদের অনুৎসাহিত করা হয়েছে। 

 

আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে যে লকডাউনের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা সাশ্রয়ের দিক থেকে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এমনকি, তাঁদের বেতন নষ্ট হয়নি। এই কারণে তাঁরা পছন্দসই জিনিসপত্র বা পরিষেবাগুলিতে খরচ বাড়াতে এবং এলটিসি-বাবদ প্রাপ্ত অর্থ কার্যকরভাবে পছন্দসই জিনিস কেনার ক্ষেত্রে কম খরচ করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এর ফলে,  সংশ্লিষ্ট কর্মচারী এলটিসি-বাবদ প্রাপ্ত অর্থ খরচ কম করে তা বেশি সাশ্রয় করেছেন যাতে খরচের ওপর কর হার কম রাখা যায়। তাই কর্পোরেট ক্ষেত্রের পন্থাপদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে সরকারি নিয়ম-নীতিগুলির ব্যাপারে অনুমান কখনই বাস্তবে পর্যবসিত হয় না। 

 

CG/BD/DM



(Release ID: 1664320) Visitor Counter : 147