কৃষিমন্ত্রক

দেশে জৈব পদ্ধতিতে চাষ

Posted On: 18 SEP 2020 3:12PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২0

 

 

দেশে জৈব চাষকে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১) পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা (পিকেভিওয়াই) – কৃষকদের জৈব চাষের ক্ষেত্রে শংসাপত্র প্রদান, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণে এর মাধ্যমে সাহায্য করা হয়। এই প্রকল্পে ক্লাস্টার গঠন করে জৈব চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। তিন বছর ধরে কৃষকদের মোট ৫০ হাজার টাকা হেক্টর পিছু সাহায্য করা হয়। এর মধ্যে ৬২ শতাংশ অর্থ জৈব চাষে উৎসাহের জন্য দেওয়া হয়।

২) মিশন অর্গানিক ভ্যালু চেন ডেভেলপমেন্ট ফর নর্থ-ইস্টার্ন রিজিয়ন (এমওভিসিডিএনইআর) – উত্তর-পূর্ব ভারতের কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে জৈব চাষে উৎসাহ দেওয়াই এর লক্ষ্য। উৎপাদিত ফসল বিদেশে রপ্তানিতে উৎসাহ দেওয়াও এই কর্মসূচির আরেকটি উদ্দেশ্য। কৃষকদের তিন বছরে হেক্টর পিছু ২৫ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হয়। এই অর্থ তাঁরা জৈব সার কিনতে ব্যবহার করেন। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা তৈরি, ফসল গুদামজাত করার পরিকাঠামো তৈরির জন্য ২ কোটি টাকা পর্যন্ত সাহায্যের ব্যবস্থা রয়েছে।

৩) মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচির আওতায় ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট সাবসিডি স্কিম (সিআইএসএস) – রাজ্য সরকারগুলি এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় ফলমূল ও শাকসব্জির বর্জ্য থেকে সার তৈরির উদ্যোগ নিলে তাঁদের ১০০ শতাংশ সাহায্য করা হয়। এক্ষেত্রে উৎপাদনকারী সংস্থাকে প্রতি বছর ৩ হাজার টিপিএ সার বা ১৯০ লক্ষ টাকা ইউনিট প্রতি উৎপাদন ক্ষমতা থাকতে হবে। যেসব বেসরকারি সংস্থা ৬৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন, তাঁদের এই পরিকাঠামো তৈরিতে ৩৩ শতাংশ সাহায্য করা হবে।

৪) ন্যাশনাল মিশন অন অয়েল সীড অ্যান্ড অয়েল পাম – এক্ষেত্রে হেক্টর পিছু ৩০০ টাকা করে অর্থ ব্যয়ের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই অর্থ বিভিন্ন জৈব সার, রিজোবিয়াম কালচার, মাটিতে ফসফেট উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া চাষ, অ্যাজ্যাটোব্যাক্টরের জন্য ব্যয় করতে হবে।

৫) জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা মিশন – জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহ দিতে হেক্টর পিছু ৩০০ টাকা খরচ করলে তাতে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাওয়া যায়।

কৃষি জমিতে জৈব পদ্ধতিতে চাষ ক্রমশ বাড়ছে। ২০১৪ সালে যেখানে ১১ লক্ষ ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে জৈব চাষ হ’ত, সেখানে ২০২০-তে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৯ লক্ষ ১৭ হাজার হেক্টর। সচেতনতামূলক কর্মসূচি, ফসল তোলার পর নানা পরিকাঠামো, জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের ভালো দাম পাওয়ার কারণেই কৃষকরা এই ব্যবস্থায় উৎসাহিত হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি থেকে প্রাপ্ত্য তথ্যানুযায়ী ২০২০ সালের হিসাবে ভারত কৃষি জমির নিরিখে জৈব চাষের ক্ষেত্রে নবম স্থান দখল করেছে। চীন এই তালিকায় তৃতীয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম এবং ব্রাজিল দ্বাদশ স্থানে রয়েছে। ভারতীয় প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি কর্মসূচির মাধ্যমে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ না করে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টর পিছু ১ লক্ষ টাকা এবং কেরলে হেক্টর পিছু ৮০ হাজার টাকা সাহায্য করা হয়। কৃষকদের বিভিন্ন সংস্থা, রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলি সহ কৃষি কাজে ঋণদাতা সংস্থাগুলি উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণের জন্য পরিকাঠামো তৈরিতে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় ১ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো তহবিল থেকে সাহায্য পেতে পারে।

রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।

 

 

CG/CB/SB


(Release ID: 1656408)
Read this release in: English , Punjabi , Tamil