আয়ুষ

কোভিড -১৯ সঙ্কট কালে নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আয়ুর্বেদিক পরামর্শ

Posted On: 31 MAR 2020 9:43PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩১ মার্চ, ২০২০

 

 

কোভিড-১৯ অতিমারীর দরুন সারা বিশ্বজুড়ে মানব জাতি এখন বিপন্ন। মানব দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলাই এখন স্বাস্থ্য রক্ষার সর্বোত্তম উপায়। আমরা সকলেই জানি যে রোগের চিকিৎসার থেকে, রোগ প্রতিরোধই বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রামকের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয় নি, সেক্ষেত্রে এই সময় কতো প্রতিরোধমূলক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া গেলে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।


আয়ুর্বেদ হলো জীবন বিজ্ঞান, প্রকৃতির উপহার যা সুস্বাস্থ্য এবং সুখী জীবন যাত্রার সহায়ক। আয়ুর্বেদ এমন এক জ্ঞান যা রোগ প্রতিরোধে "দিনাচার্য" বা প্রতিদিনের নিয়ম পালন এবং "ঋতুচার্য" বা সময়কালীন কিছু নিয়ম পালনের মাধ্যমে সুস্থ জীবন যাপনে সাহায্য করে। এটি উদ্ভিদ ভিত্তিক একটি বিজ্ঞান। সনাতনী আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নিজেকে জানার মতন সহজ কিছু বিষয় আয়ত্ত করা এবং সে গুলির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে, প্রতিটি মানুষ সহজেই তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন।


কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক, আত্মরক্ষায় কতকগুলি নির্দেশিকা পালনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এই নির্দেশিকাগুলি মেনে চললে শ্বাসযন্ত্র সহ দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। নির্দেশিকা গুলি আয়ুর্বেদ শাস্ত্র এবং বৈজ্ঞানিক পত্র পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে ।

সাধারণ নিয়মাবলি :
(১) সারাদিনে গরম জল পান করুন ।
(২) আয়ুশ মন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন নিয়ম করে কমপক্ষে ৩০ মিনিট যোগাভ্যাস ও প্রানায়ম এবং ধ্যান করুন।
(৩) রন্ধনের সময় হলুদ,জিরা,ধনে,রসুন ব্যবহার করুন।

আয়ুর্বেদ প্রতিরোধক নিয়মাবলী:
(১) প্রতিদিন সকালে ১০ গ্রাম(১ চা চামচ) চ্যবন প্রাশ সেবন করুন। যে সকল ব্যক্তির বহুমুত্র রোগ আছে,তাদের চিনিহীন চ্যবন প্রাশ সেবন করতে হবে।
(২) ভেষজ চা বা কধা পান করুন। যাতে থাকবে তুলসি, দারচিনি, কালো মরিচ, শুকনো আদা এবং মুনাক্কা।স্বাদ অনুযায়ী জষ্টি মধু এবং পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।এই ভেষজ চা দিনে এক বা দু বার পান করুন।

সহজ আয়ুর্বেদিক প্রক্রিয়া:
(১) নাকে প্রয়োগ- সকাল ও রাতে তিল / নারিকেল তেল বা ঘি দিয়ে নাসারন্ধ্র তে লাগাতে হবে।
(২) তেলের মাধ্যমে চিকিৎসা- এক চা চামচ তিল বা নারিকেল তেল মুখে নিতে হবে। তেল গিলে না ফেলে তা দিয়ে দুই বা তিন মিনিট কুলকুচি করতে হবে।
তেল ফেলে দিয়ে,গরম জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে এটি দিনে এক বা দু বার করা যেতে পারে।

শুকনো কাশি বা গলা ব্যথা হলে:
(১) গরম জলে পুদিনা পাতা বা জোয়ান মিশিয়ে তার ভাপটা নিতে হবে। এটি দিনে একবার করলেই হবে।
(২) গলায় ব্যথা, কাশি বা অস্বস্তি থাকলে লবঙ্গ ও জষ্টি মধু গুড়ো দিনে দু তিন বার সেবন করা যেতে পারে।
(৩) এই প্রক্রিয়া সাধারণত শুকনো কাশি বা গলা ব্যথার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে এই লক্ষণ চলতে থাকলে অবশ্য ই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

যে পরামর্শ গুলির মেনে চলার কথা বলা হয়েছে তা কোনো ব্যক্তির ক্ষমতা অনুযায়ী প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়মনীতি গুলি সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত বৈদ্যরা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কোয়েম্বাটুরের পদ্মশ্রী বৈদ্য পি আর কৃষ্ণকুমার, দিল্লীর পদ্ম ভূষণ বৈদ্য দেবেন্দ্র তিগুনা, কোটাক্কলের বৈদ্য পি এম ভারিয়ের, নাগপুরের বৈদ্য জয়ন্ত দেবপূজারী, থানের বৈদ্য বিনয় ভেলাঙ্কার, বেলগামের বৈদ্য বি এস প্রসাদ, জাম নগরের পদ্মশ্রী বৈদ্য গুরদীপ সিংহ, হরিদ্বারের আচার্য বালকৃষান জী, জয়পুরের বৈদ্য এম এস বাঘেল, উত্তর প্রদেশের হারদৈ এর বৈদ্য আর বি দ্বিবেদী, বারাণসী র বৈদ্য কে এন দ্বিবেদী, চণ্ডীগড়ের বৈদ্য রাকেশ শর্মা, কলকাতার বৈদ্য অবিচল চট্টোপাধ্যায়, দিল্লির বৈদ্য তনুজা নেসারি, জয়পুরের বৈদ্য সঞ্জীব শর্মা ও জামনগরের বৈদ্য অনুপ ঠাকুর।

সতর্কিকরণ: যে সমস্ত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তা কখনোই, কোভিড -১৯ এর চিকিৎসা বলে দাবি করা হচ্ছে না ।

 

 


CG/PPM


(Release ID: 1609731) Visitor Counter : 663


Read this release in: English