বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

বাড়িতে মাস্ক তৈরির বিষয়ে মুখ্য বিজ্ঞান পরামর্শদাতার নির্দেশিকা সম্বলিত পুস্তিকা প্রকাশ

Posted On: 31 MAR 2020 5:03PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ৩১ মার্চ, ২০২০

 

 

বাড়িতে মাস্ক তৈরির বিষয়ে ভারত সরকারের বিজ্ঞান বিষয়ক মুখ্য পরামর্শদাতার নির্দেশিকা সম্বলিত পুস্তিকা “মাস্কস ফর কার্বিং দ্য স্প্রেড অফ সারস-সিওভি-২ করোনাভাইরাস’ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাডব্লুএইচও-র উদ্ধৃতি দিয়ে এই পুস্তিকায় বলা হয়েছে, “যখন অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান ও জল দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোবেন, সেই সময় মাস্কের ব্যবহার ফলপ্রসূ হয়। যখন আপনি মাস্ক ব্যবহার করবেন, তখন আপনাকে জানতে হবে, কিভাবে এটি ব্যবহার করা যাবে এবং কোন পদ্ধতিতে এটিকে বাতিল করতে হবে”।  

পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যদি মোট জনসংখ্যার ৫০% মাস্ক পরেন, তাহলে মোট জনসংখ্যার ৫০% ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হন। ৮০%-র বেশি মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলে,  মহামারী সঙ্গে সঙ্গে থেমে যাবে।  

কেন মাস্ক পরব? এর উত্তরে এই পুস্তিকাতে দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনকে উদ্ধৃত করে লেখা রয়েছে, “ কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্রুত একজনের থেকে অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। যে সব তরল ফোটায় এই ভাইরাস থাকে, সেগুলি শুকিয়ে গেলে বাতাসের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তা  ছড়িয়ে পরে। সার্স-সিওভি-২ ভাইরাস, যার থেকে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হয়, দেখা গেছে এটি এরোসোলে তিন ঘন্টা পর্যন্ত এবং প্লাস্টিক বা স্টেনলেস স্টিলে ৩ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে।“

এই পুস্তিকায় বলা হয়েছে, যে কোন সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে তরল ফোঁটার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও, মাস্ক পরা থাকলে শ্বাসযন্ত্রে সেটির প্রবেশের সম্ভাবনা বেশ কমে যায়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে সেই সব মাস্ক পরা উচিত যেগুলি তাপ, আল্ট্রাভায়োলেট রে, সাবান ও অ্যালকোহলের মিশ্রণের মাধ্যমে পরিষ্কার করা যাবে। 

প্রস্তাবিত এই নির্দেশিকায় ভারতে অসরকারি সংগঠন বা ব্যক্তিবিশেষ যাতে মাস্ক তৈরি করে, সেটি ব্যবহার এবং পুণর্ব্যবহার  করতে পারে, সেই বিষয়েই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সহজেই বাড়িতে বসে সাধারণ জিনিষ দিয়ে মাস্ক তৈরির জন্য তাঁদেরকে বিশেষ করে বলা হয়েছে, যারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করেন।  

ভারত সরকারের বিজ্ঞান বিষয়ক মুখ্য পরামর্শদাতার দপ্তর থেকে এর আগে জানানো হয়েছিল, কোভিড-১৯ এর বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি এই ভাইরাসের মোকাবিলায় বিজ্ঞান সম্মত সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর, সিএসআইআর, আনবিক শক্তি দপ্তর, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ণ সংস্থা, এবং ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স বিজ্ঞানসম্মতভাবে তাঁদের গবেষণাগারগুলিতে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক এবং আইসিএমআর এই পরীক্ষাগুলিকে নিয়ম মেনে স্বীকৃতি দেবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি ১৯ মার্চ গঠিত হয়। নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক বিনোদ পাল এবং ভারত সরকারের বিজ্ঞান বিষয়ক মুখ্য পরামর্শদাতা অধ্যাপক কে বিজয় রাঘবন এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সার্স-সিওভি-২ ভাইরাস এবং কোভিড-১৯ এর বিষয়ে গবেষণারত  বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা নানা সংগঠন, বৈজ্ঞানিক, শিল্প সংস্থা, ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির মধ্যে এই কমিটি সমন্বয় বজায় রেখে চলছে।  

 

এ বিষয়ে বিশদে জানতে নীচের লিংকে ক্লিক করুনঃ-

https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/FINAL%20MASK%20MANUAL.pdf

 

 

 

CG/CB



(Release ID: 1609583) Visitor Counter : 168


Read this release in: English