প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

মন কি বাত ২.০র দশম পর্বে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 29 MAR 2020 10:18PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ২৯ মার্চ, ২০২০

 

 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ‘মন কি বাত ২.০’এর দশম পর্বে কঠোর  সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সমস্ত দেশবাসীর কাছে মাপ চেয়ে নেন এবং জানান, কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়েছে। 


তিনি বলেন, ভারতের জনসাধারণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এটা খুব জরুরী ছিল এবং কোভিড-১৯ এর লড়াই-এর বিরুদ্ধে ভারত জয়লাভ করবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এই লকডাউন আপনাদের নিজেদের বাঁচার জন্যে। আপনাদের নিজেকে বাঁচতে হবে, নিজের পরিবারকে বাঁচাতে হবে। এখন আগামী বেশ কিছু দিন পর্যন্ত আপনাদের এই ধৈর্য দেখাতে হবে, লক্ষণরেখাটি মেনে চলতে হবে। সাথীরা, আমি জানি, আইন কেউ ভাঙতে চান না, নিয়মকেও ভাঙতে চান না, তবু কিছু লোক যে তা করছেন তার কারণ হল, তাঁরা পরিস্থিতির গুরুত্বটাই এখনও বুঝতে পারছেন না। এঁদের একথাই বলব যে, লকডাউনের নিয়ম যদি ভাঙেন তাহলে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা মুশকিল হয়ে যাবে”।

মন কি বাত অনুষ্ঠানে তাঁর চিন্তাভাবনা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেবার সময় তিনি বলেন, যে কষ্ট সকলকে, বিশেষ করে গরীবদের ভোগ করতে হচ্ছে, তাঁর জন্য তাঁর খারাপই লাগছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতের মত ১৩০ কোটি জনসংখ্যার একটি দেশে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্য আর কোনো রাস্তা ছিল না। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ হল জীবন আর মৃত্যুর যুদ্ধ, আর এই যুদ্ধ আমাদের জিততেই হবে।

শ্রী মোদী ‘এবংএবংবিকারঃ, অপিতরুনহাসাধ্যতেসুখং’ এই শ্লোকের উদ্ধৃতি দেন, যার অর্থ রোগ এবং তার প্রকোপের ব্যাপারে শুরুতেই ব্যবস্থা নিতে হয়,  কারণ পরে যখন তা আয়ত্বের বাইরে চলে যায় তখন প্রতিকার করাই মুশকিল হয়ে যায়। আজ গোটা ভারত, প্রত্যেক ভারতবাসী তা-ই করছেন। তিনি আরো বলেন, “ করোনা ভাইরাস সারা দুনিয়াকে বন্দি করে দিয়েছে। সে জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধনী, দরিদ্র, দুর্বল, শক্তিমান — সকলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। একে কোনো রাষ্ট্রসীমায় বাঁধা যায় না, কোনো এলাকা বা আবহাওয়ারও এ তোয়াক্কা করে না।“ 

শ্রী মোদী বলেন,  এই ভাইরাস মানুষকে শুধু মারা নয়, একেবারে শেষ করে দেবার জেদ ধরে বসে আছে, আর সেই জন্যেই সবাইকে, পুরো মানবজাতিকে একজোট হয়ে এই ভাইরাসকে খতম করার সংকল্প নিতে হবে। তিনি বলেন, কিছু মানুষের মনে হচ্ছে, 'লকডাউন' পালন করে তাঁরা অন্যের উপকার করছেন। এরকম ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করা ঠিক নয়। এই লকডাউন  নিজেদের বাঁচার জন্যে। নিজেকে বাঁচতে হবে, নিজের পরিবারকে বাঁচাতে হবে। এখন আগামী বেশ কিছু দিন পর্যন্ত সকলকে এই ধৈর্য দেখাতে হবে, লক্ষণরেখা মেনে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কিছু মানুষ পরিস্থিতির গুরুত্বটাই এখনও বুঝতে পারছেন না। এঁদের ধারনা নেই যে, লকডাউনের নিয়ম যদি তাঁরা ভাঙেন তাহলে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা মুশকিল হয়ে যাবে। সারা পৃথিবীতে কিছু লোক, যাঁরা এই রকম ভুল করেছিলেন, তাঁরা আজ পস্তাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরেকটি শ্লোক উল্লেখ করেন- ‘আরোগ্যমপরমভাগ্যম / স্বাস্থ্যংসর্বার্থসাধনম’ অর্থাৎ আরোগ্যই সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য, এবং স্বাস্থ্যই দুনিয়ার সমস্ত সুখের সাধন।
 
 
 

CG/CB


(Release ID: 1609173) Visitor Counter : 191


Read this release in: English