প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী ; বললেন ঐতিহাসিক দিন


প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে ১০ হাজার কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠনের উদ্বোধন করলেন

Posted On: 02 MAR 2020 2:09PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

 

 

উত্তরপ্রদেশ প্রতিরক্ষা শিল্প করিডরের এক অন্যতম পরিপূরক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ চিত্রকূটে ২৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৮র ফেব্রুয়ারিতে এই প্রতিরক্ষা শিল্প করিডর স্হাপনের কথা ঘোষনা করা হয়েছিল। ১৪ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকার এই এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে চিত্রকূট, বান্দা, মাহোবা, হামিরপুর, জালাউন, অউরাইয়া এবং এটওয়া জেলা লাভবান হবে। এই উপলক্ষ্যে শ্রী মোদী সারা দেশ জুড়ে ১০ হাজার কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠন (এফপিও)-এর সূচনা করেন। পিএম-কিষাণ কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রী সুফলভোগীদের হাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বন্টন অভিযানেরও সূচনা করেন।

দেশে কর্মসংস্হান বাড়াতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন, বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে বা প্রস্তাবিত গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশে কেবল যোগাযোগ ব্যবস্হারই উন্নতি ঘটাবে না, সেইসঙ্গে বিপুল কর্মসংস্হানেরও সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই এক্সপ্রেসওয়েগুলির ফলে সাধারণ মানুষ বড় শহরগুলির সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবেন।

প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বিপুল চাহিদার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছরের বাজেটে উত্তরপ্রদেশ প্রতিরক্ষা করিডরের জন্য ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার সংস্হান রাখা হয়েছে। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের ফলে এই প্রতিরক্ষা শিল্প করিডরে আরও গতি সঞ্চারিত হবে।

দেশে কৃষকদের উপার্জন বাড়াতে ও তাঁদের ক্ষমতায়ণে প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠন (এফপিও) গড়ে তোলার জন্য একটি কর্মসূচির সূচনা করেন। তিনি বলেন, এই সংগঠনগুলির মাধ্যমে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের লেনদেন করতে পারবেন। কৃষক কল্যাণে গৃহীত একাধিক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী জানান, সরকার কৃষকদের স্বার্থে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, সয়েল হেল্থ কার্ড, ১০০ শতাংশ নিমের প্রলেপযুক্ত ইউরিয়া সহ কয়েক দশক ধরে বকেয়া অসম্পূর্ণ কৃষি সেচ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত গতিতে শেষ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠনগুলি কৃষকদের আরও ভালো দামে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ে সাহায্য করবে। এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী জানান, উন্নয়নে আগ্রহী ১০০টি জেলায় কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠনগুলিকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এই জেলাগুলির প্রতিটি ব্লকে অন্তত একটি করে এ ধরনের সংগঠন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

চিত্রকূট সহ সমগ্র উত্তরপ্রদেশে প্রায় ২ কোটি কৃষক পরিবার বার্ষিক ১২ হাজার কোটি টাকার সহায়তা পাচ্ছেন। এই অর্থ মধ্যসত্ত্বভোগীদের হস্তক্ষেপ ও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়ছে। অতীতে বুন্দেলখন্ডের কৃষকদের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষনা করা হলেও, তার সুফল কৃষকদের কাছে পৌঁছায়নি। এখন পিএম কিষাণ যোজনার সুফলভোগীদের পিএম জীবন জ্যোতি বীমা এবং পিএম জীবন সুরক্ষা বীমা কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। এরফলে কৃষকরা প্রয়োজনের সময় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুবিধা পাবেন।

কৃষকদের উপার্জন বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী ১৬ দফা কর্মসূচির কথা ঘোষনা করে বলেন, দেশে বাজারের সঙ্গে কৃষকদের যোগসূত্র গড়ে তুলতে কৃষিজমির কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই যাতে গ্রামীণ হাট গড়ে তোলা যায়, তা সুনিশ্চিত করতে সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস নিচ্ছে। আগামী দিনগুলিতে এই গ্রামীণ হাটগুলি কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

 

 

CG/BD/NS


(Release ID: 1604809) Visitor Counter : 137


Read this release in: English