স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
আন্তরিক এবং সমন্বিত প্রয়াসে আমরা জাপান থেকে ১২৪ জন এবং উহান থেকে ১১২ জনকে নিয়ে এসেছি : ডঃ হর্ষ বর্ধন
Posted On:
27 FEB 2020 2:57PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে জাপান থেকে ফিরিয়ে আনা হল ১২৪ জনকে। তার মধ্যে ১১৯ জন ভারতীয় এবং পাঁচজন শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পেরুর নাগরিক। ‘কোভিড-১৯’-এর কারণে ইয়োকোহামায় ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজে তাঁদের কোয়ার্যান্টাইন করে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও, যেখান থেকে ‘কোভিড-১৯’-এর উৎপত্তি, চিনের সেই উহান শহর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ১১২ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৭৬ জন ভারতীয় এবং ৩৬ জন বাংলাদেশ, মায়ানমার, মালদ্বীপ, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মাদাগাসকারের নাগরিক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন আজ একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান যে এঁরা আজই ভারতে পৌঁছেছেন।
ডঃ হর্ষ বর্ধন আরও জানান, জাপান থেকে আগত যাত্রীদের মানেসারে সেনা শিবিরে কোয়ার্যান্টাইনে রাখা হবে। উহান থেকে আগত যাত্রীদের রাখা হবে চাওলায় ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি)-এর অধীনে। তিনি বলেন, জাহাজে থাকা যাত্রীদের ১২২ জনের মধ্যে ১১৯ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে, আধুনিক পিসিআর-এর মাধ্যমে। তাঁদের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়নি। তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাকি তিনজন ফিরতে চাননি। জাপানের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ১৬ জনের এবং সেখানেই তাঁদের আলাদা করে রাখা হয়েছে। ভারত সরকার চিনের মানুষের প্রতি এই দুঃসময়ে সহমর্মিতা দেখিয়ে উহানে ‘কোভিড-১৯’-এর মোকাবিলায় ১৫ টন চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রক, সশস্ত্র বাহিনী, চিকিৎসক, এয়ার ইন্ডিয়া এবং চিন ও জাপানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের এবং অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের প্রতি তাঁদের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবদান রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডঃ হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেছেন, এঁদের জন্য দেশ গর্বিত। সকলেই ভারত এবং ভারতীয়দের অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি প্রত্যেকের প্রয়াসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারতের ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ আদর্শের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ভারত শুধু নিজের নাগরিকদেরই নয়, অন্য দেশের নাগরিকদেরও চিন ও জাপান থেকে নিয়ে এসেছে।
‘কোভিড-১৯’-এর সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে পূর্বেকার ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশাবলির পাশাপাশি অতিরিক্ত নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ভারতীয়দের প্রয়োজন না থাকলে সিঙ্গাপুর, কোরিয়া সাধারণতন্ত্র, ইরান এবং ইতালি ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি যাঁরা কোরিয়া, ইরান ও ইতালি থেকে আসবেন বা ২০২০-র ১০ ফেব্রুয়ারির পরে সেখানে গেছেন, তাঁরা ভারতে এলে ১৪ দিন কোয়ার্যান্টাইনে রাখা হবে।
ডঃ হর্ষ বর্ধন এও জানিয়েছেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা রাজ্যগুলিতে ঘুরে ‘কোভিড-১৯’-এর মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন। এই সফরের মাধ্যমে রাজ্যগুলির তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে এবং তাদের উদ্বেগের প্রশমন হবে। ২ মার্চের ভেতর তাঁদের রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৪,৭৮৭টি উড়ানের ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৯২৭ জন যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ২১টি বিমানবন্দর, ১২টি বড় বন্দর এবং ৬৫টি ছোট বন্দর ও দেশের সীমান্ত অঞ্চল বিশেষ করে, নেপাল সীমান্তে লাগাতার স্ক্রিনিং চলছে। আইডিএসপি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওই যাত্রীদের দৈনিক সামাজিক নজরদারির মাধ্যমে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। আইডিএসপি-র মাধ্যমে বর্তমানে মোট ২৩,৫৩১ জন যাত্রী সামাজিক তত্ত্বাবধানের অধীনে আছেন।
এর পাশাপাশি, ২,৮৩৬টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২,৮৩০টিতে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। এর আগে কেরলে যে তিনটি নমুনায় সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল, সেই তিনজন সেরে উঠেছেন এবং তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি নমুনার পরীক্ষা চলছে। এর আগে মানেসর এবং চাওলায় কোয়ার্যান্টাইনে থাকা ৬৪৫ জনের সকলকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
CG/AP/DM
(Release ID: 1604518)
Visitor Counter : 106