খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণশিল্পমন্ত্রক

জৈব খাদ্য উৎসবে মহিলা উৎপাদকদের ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ

Posted On: 21 FEB 2020 6:44PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

 

 

কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রী শ্রীমতী হরসিমরত কাউর বাদল বলেছেন, জৈব খাদ্য উৎসবের মাধ্যমে মহিলা শিল্পোদ্যোগীরা আর্থিক ক্ষমতায়নে সুযোগ পান। নতুন দিল্লিতে আজ তিনদিনের এই উৎসবের উদ্বোধন করে মন্ত্রী এই ধরনের মঞ্চের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক সমৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হয়। তিনি বলেন, বিভিন্ন অঞ্চলের নির্দিষ্ট পণ্যসামগ্রীর ওপর ভিত্তি করে সরকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরও ঘন ঘন এই ধরনের জৈব খাদ্য উৎসবের আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে। শ্রীমতী বাদলের সঙ্গে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিকাশ এবং বস্ত্র মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি। অনুষ্ঠানে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামেশ্বর তেলি এবং নারী ও শিশুবিকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী দেবশ্রী চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। এই দুই মন্ত্রকের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের প্রেক্ষিতেই মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের জন্য এই জৈব খাদ্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

শ্রীমতী বাদল বলেন, প্রতি বছর জৈব ক্ষেত্রে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ১৭ শতাংশ এবং এই বৃদ্ধি যথেষ্ট দ্রুতগতিতে হচ্ছে কারণ সমাজের সকল স্তরের মানুষের চাহিদা পূরণে এটি সাহায্য করছে। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব স্বাস্থ্যকর ও ভালো খাদ্যসামগ্রীর খোঁজ করে এবং বড় বড় দেশগুলি ভারতের থেকে জৈব খাদ্য পাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী যা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতির পক্ষে সহায়ক।

শ্রীমতী ইরানি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রক এই ধরনের জৈব খাদ্য উৎসবের মাধ্যমে বিভিন্ন কারিগরি গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন যার ফলে মহিলা শিল্পোদ্যোগীরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী পুষ্পা সুব্রাহ্মনিয়াম বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে মন্ত্রক মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের সাফল্য তুলে ধরবে। তিনি বলেন, ভারতে খাদ্য ও পানীয় শিল্প পঞ্চম বৃহত্তম উৎপাদন শিল্প এবং ভারতই সর্বাধিক জৈব সামগ্রী উৎপাদন করে।

৬ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে আয়োজিত এই উৎসবে ১৮০-র বেশি মহিলা শিল্পোদ্যোগী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা দেশের ২৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে এসেছেন। এই উৎসবে এমন অনেক সামগ্রীর দেখা মিলবে যা সহজে পাওয়া যায় না। অরুণাচল প্রদেশের কিউই, লাদাখের কালো গম ও পেস্তো সস, উত্তরাখণ্ডের চিয়া বীজ থেকে তৈরি কুকি এবং অ্যাপ্রিকট তেলের মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক সামগ্রী এই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। এই মেলার লক্ষ্য লোকজন যেন বিভিন্ন রাজ্যের নানা ধরনের জৈব ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যের স্বাদ পেতে পারেন।

দেশের প্রথম সারির গবেষণা সংস্থা যেমন, আইআইএফপিটি, এনআইএফটিইএম সিএফটিআরআই, সিআইএফটি, ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান বায়োসোর্স টেকনলজি, সি-ড্যাক এই উৎসবে স্টল দিয়েছে। এখান থেকে শিল্পোদ্যোগী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা তাঁদের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পেতে পারেন। মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্যের লক্ষ্যে ২০০-র বেশি বাণিজ্যিক বৈঠকের আয়োজন করেছে সিআইআই। বিখ্যাত পাচকরা মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জানাচ্ছেন যে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় কিভাবে জৈব সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও, সফল মহিলা শিল্পোদ্যোগীরা তাঁদের সাফল্যের কথা এখানে জানাচ্ছেন যা, কৃষকদের জৈব পণ্যসামগ্রী উৎপাদনে সহায়ক হবে।

বিশ্ব জুড়ে ভারতীয় জৈব খাদ্যসামগ্রীর চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৫১ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমতুল জৈব খাদ্যসামগ্রী ভারত থেকে রপ্তানি হয়েছে। তৈলবীজ, দানাশস্য, চিনি, ফলের ঘন রস, চা, মশলাপাতি, ডাল, শুকনো ফল, ঔষধি গাছের থেকে উৎপাদিত সামগ্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইজরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড এবং জাপানে রপ্তানি করা হয়।

কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিকাশ দপ্তরের সচিব শ্রী রবীন্দ্র পানোয়ার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প দপ্তরের যুগ্ম সচিব শ্রীমতী রীণা প্রকাশ, এনআইএফটিইএম-এর উপাচার্য ডঃ চিন্দি বাসুদেবাপ্পা, সিআইআই-এর মহানির্দেশক শ্রী চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

CG/CB/DM


(Release ID: 1603994) Visitor Counter : 155


Read this release in: English