প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর লোকসভায় ধন্যবাদ সূচক প্রস্তাবের জবাবী ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর

Posted On: 07 FEB 2020 5:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

 

 

লোকসভায় রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ সূচক প্রস্তাবের জবাবী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ প্রত্যাশার প্রেরণা যোগায় এবং এই ভাষণে দেশকে আগামীদিনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশা নির্দেশ রয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি এমন এক সময়ে ভাষণ দিয়েছেন যখন আমরা এই শতকের তৃতীয় দশকে প্রবেশ করছি। রাষ্ট্রপতিজির ভাষণ প্রত্যাশার প্রেরণা যোগায় এবং এই ভাষণে দেশকে আগামীদিনে নিয়ে যাওয়ার দিশা-নির্দেশ রয়েছে।”

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ এখন আর অপেক্ষায় আগ্রহী নন। তাঁরা চান দ্রুততা ও বিচক্ষণতা, একাগ্রতা ও নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত, সংবেদনশীলতা ও সমাধানসূত্র। আমাদের সরকার দ্রুতগতিতে কাজ করেছে এবং এর ফলস্বরূপ পাঁচ বছরে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হয়েছে, ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের বাড়িতে শৌচাগার হয়েছে এবং ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন। আজ ২ কোটি মানুষের নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। দিল্লিতে অননুমোদিত ১,৭০০-রও বেশি কলোনির ৪০ লক্ষ মানুষের নিজস্ব মালিকানাধীন বাড়ির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

 

কৃষিক্ষেত্রে বাজেট পাঁচগুণ বেড়েছে

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কৃষকদের আয় বাড়ানোই আমাদের অগ্রাধিকার। উচ্চহারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, শস্যবিমা এবং কৃষি-সেচ সম্পর্কিত প্রকল্পগুলি দশকের পর দশক ধরে পড়েছিল। আমরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেড়গুণ বাড়িয়েছি এবং বিলম্বিত কৃষি-সেচ প্রকল্পগুলির রূপায়ণ সম্পূর্ণ করতে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছি।

 

তিনি বলেন, “সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি কৃষক প্রধানমন্ত্রী শস্য বিমা যোজনায় সামিল হয়েছেন; কৃষকদের প্রিমিয়াম-বাবদ ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং ৫৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিমা সংক্রান্ত দাবি-দাওয়ার নিষ্পত্তি হয়েছে। আমাদের সরকারের মেয়াদকালে কৃষিক্ষেত্রে বাজেট পাঁচগুণ বাড়ানো হয়েছে। পিএম-কিষাণ সম্মান যোজনা অগণিত কৃষকের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার কোটি টাকা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর ফলে, তাঁরা উপকৃত হয়েছেন। এই কর্মসূচিতে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের ভূমিকা লোপ করা হয়েছে এবং কাগজপত্রের ব্যবহার কমানো হয়েছে।”

 

আমাদের পরিকল্পনা হল আরও বেশি বিনিয়োগ, উন্নত পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভায় বলেন, তাঁর সরকার রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। “মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ম্যাক্রো-অর্থনীতির অবস্থাও স্থিতিশীল” বলেও তিনি জানান।

 

লগ্নিকারীদের আস্থা বাড়াতে এবং দেশে অর্থ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা শ্রী মোদী উল্লেখ করেন।

 

“আমরা শিল্পক্ষেত্র, কৃষি-সেচ, সামাজিক পরিকাঠামো, গ্রামীণ পরিকাঠামো, বন্দর এবং জলপথ ক্ষেত্রে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি” বলে তিনি জানান।

 

শ্রী মোদী আরও বলেন, “স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া এবং মুদ্রা যোজনার ফলে বহু মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি এসেছে। মুদ্রা যোজনায় সুফলভোগীদের অধিকাংশই মহিলা। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে যুবাদের কল্যাণে ২২ কোটি টাকারও বেশি ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”

 

“সরকার শ্রমক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে” বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কাছে পরিকাঠামো হল প্রত্যাশা ও সাফল্যের মেলবন্ধন। মানুষের স্বপ্নকে যুক্ত করাই এর লক্ষ্য। পরিকাঠামো একজন শিশুকে তার স্কুলে সঙ্গে, একজন কৃষককে বাজারের সঙ্গে, একজন ব্যবসায়ীকে তাঁর গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত করছে। প্রকৃত অর্থে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”

 

এ প্রসঙ্গে আরও বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, যে বিষয়টি ভারতের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে তা হল, আগামী প্রজন্মের পরিকাঠামো।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অতীতের দিনগুলিতে পরিকাঠামো নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছে। এখন আমরা এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছি এবং যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।”

 

তিনি আরও বলেন, আগামীদিনগুলিতে আমরা পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি লগ্নি করতে চলেছি। এর ফলে, সার্বিক বিকাশ ঘটবে, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

 

 

CG/BD/DM



(Release ID: 1602458) Visitor Counter : 185


Read this release in: English