কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
মহারাষ্ট্রের বধবনে একটি নতুন বৃহৎ বন্দর নির্মাণে নীতিগতভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সায়
Posted On:
05 FEB 2020 5:00PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ মহারাষ্ট্রের দাহানুর কাছে বধবনে একটি নতুন বৃহৎ বন্দর নির্মাণে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ৬৫,৫৪৪ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা।
বধবন বন্দরটি ‘ল্যান্ডলর্ড মডেল’-এ তৈরি করা হবে। এর জন্য জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট (জেএনপিটি)-কে প্রধান অংশীদার হিসেবে ব্যবহার করা হবে যাতে জেএনপিটি-র সম-পরিমাণ অথবা ৫০ শতাংশের বেশি অংশীদারিত্ব থাকবে। সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যকলাপ বেসরকারি অংশীদারদের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে করা হবে।
জওহরলাল নেহরু বন্দর ভারতের সবথেকে বড় কন্টেনার বন্দর। বিশ্বে মাল পরিবহণের ক্ষেত্রে এই বন্দরের স্থান ২৮তম। বন্দরের চতুর্থ টার্মিনালটি ২০২৩ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে গেলে এর ক্ষমতা ১ কোটি টিইইউ-তে পৌঁছবে। তখন এই বন্দরের স্থান হবে ১৭তম। বধবন বন্দরটি তৈরি হলে বিশ্বের প্রথম ১০টি কন্টেনার বন্দরের তালিকায় ভারত ঢুকে পড়বে।
মহারাষ্ট্রের জেএনপিটি ভারতের সর্ববৃহৎ কন্টেনার বন্দর। মহারাষ্ট্র, উত্তর কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু কিছু চাহিদা এই বন্দরের মাধ্যমে মেটানো হয়। বড় বড় জাহাজ থেকে মাল খালাস করার জন্য এখানে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। জাহাজের মাল খালাস করার নিরিখে জেএনপিটি এবং মুন্দ্রা দেশের মধ্যে দুটি মাঝারি মাপের বৃহৎ বন্দর। বধবন বন্দরটি তৈরি হলে এর ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
ভারতের পশ্চিম উপকূলের কন্টেনার বন্দর ব্যবহারের ক্ষমতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২-২৫ সালের মধ্যে জেএনপিটি-র পণ্য পরিবহণের পরিমাণ বর্তমান ৪.৫ এমটিইইউ থেকে বেড়ে হবে ১০.১ এমটিইইউ। সেই সময় জেএনপিটি-র পুরো ক্ষমতা ব্যবহৃত হবে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় দেশে পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে কন্টেনার পরিবহণের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
SSS/CB/DM
(Release ID: 1602060)
Visitor Counter : 188