অর্থমন্ত্রক
চাষির আয়, ফসল গুদামজাত করা এবং পশুপালনে গুরুত্ব দিতে ১৬ দফা কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রী- কুসুম সম্প্রসারণ করে ২০ লক্ষ চাষিকে এর আওতায় আনা হবে
২০২০-২১ সালে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা কৃষি ঋণের লক্ষ্য
চালু হবে “কিষান রেল” ও “কৃষি উড়ান”
ব্লক স্তরে সরকারি, বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গুদাম তৈরি
গ্রাম স্তরে “ধান্য লক্ষ্মী” রূপে খাদ্য গুদামজাত করতে মহিলা ও স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভূমিকার আরও বিকাশ
মৎস্য ক্ষেত্রে যুবাদের অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে ৩ হাজার ৪৭৭ সাগর মিত্র
Posted On:
01 FEB 2020 6:37PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
চাষিদের আয় দ্বিগুন, উদ্যানবিদ্যা, শস্যের গুদাম এবং পশুপালনে গুরুত্ব দিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ১৬ দফা কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছেন। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ ও জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারে জোর দিয়ে অর্থমন্ত্রী একথা জানান।
চাষিদের আয় দ্বিগুন করা
২০২২ সালের মধ্যে চাষিদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষ্যে, অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে প্রধানমন্ত্রী- কুসুম সম্প্রসারণ করে ২০ লক্ষ চাষিকে এর আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছেন। এই প্রকল্পে সৌর পাম্প এবং আরও ১৫ লক্ষ চাষিকে গ্রিড সংযুক্ত পাম্প বসাতে সাহায্য করা হবে। তাঁদের পতিতি বা কৃষিজমি নয় এসব জমিতে সৌরশক্তি উৎপাদন ও তা গ্রিডে বিক্রি করার জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কৃষকদের আয় দ্বিগুন করতে তাদের মৌমাছি পালন, সৌর পাম্প, সৌর শক্তি উৎপাদনের ব্যপারেও উৎসাহিত করা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, অনলাইন জাতীয় জৈব কৃষিপণ্য বাজার- ‘জৈবিক খেতি’ পোর্টালটি আরও জোরদার করা হবে।
দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে জলের সঙ্কট মেটাতে, অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার জল সঙ্কটে থাকা ১০০টি জেলায় সার্বিক ব্যবস্হা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে।
গুদাম ও পরিবহন
গুদাম পরিকাঠামো বাড়ানো এবং খাদ্য শস্যের অপচয় কমাতে অর্থমন্ত্রী ব্লক স্তরে সরকারি, বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গুদাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে। ফুট কর্পোরেশন এবং সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউসিং কর্পোরেশনও তাদের জমিতে গুদাম তৈরি করবে।
দুধ, মাংস সহ পচনশীল পণ্য মসৃণভাবে পরিবহনের জন্য ভারতীয় রেল সরকারি, বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কিষান রেল চালু করবে। এক্সপ্রেস ও মালবাহি গাড়িতে হিমায়িত কোচ থাকবে। বিশেষত উত্তরপূর্বাঞ্চল এবং আদিবাসী জেলায় চাষিরা যাতে ফসলের উপযুক্ত দাম পান সেইজন্য অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক কৃষি উড়ান চালু করবে।
পশুপালন
চাষির আয়ে পশুপালনের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে শ্রীমতী সীতারমন ২০২৫ সালের মধ্যে এঁশো (ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ) দূর করার লক্ষ্য নিয়েছেন। এখনকার ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে কৃত্রিম প্রজনন ৭০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী জানান, দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বর্তমানের ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ টন থেকে দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ কোটি ৮০ লক্ষ টনে নিয়ে যাওয়া হবে।
কৃষি ঋণ
২০২০-২১ সালে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধির উপকৃত সমস্ত ব্যক্তি কিষান ঋণ পত্রের আওতায় আসবে।
বাগিচা চাষ (হর্টিকালচার)
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিপণন ও রপ্তানী বাড়ানোর জন্য রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা হবে।
সাগর অর্থনীতি
অর্থমন্ত্রী সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ, শৈবাল, সামুদ্রিক গাছগাছড়া এবং খাঁচায় মাছ চাষের উন্নয়নে এক কাঠামোর পরিকল্পনা করেছেন। এরফলে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে মাছের উৎপাদন ২ কোটি টনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
সরকার ৩ হাজার ৪৭৭ জন সাগর মিত্র এবং ৫শো মৎস্য উৎপাদনকারী সংস্হার মাধ্যমে মাছ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যুবাদের কাজে লাগাবে। অর্থমন্ত্রী আশা ২০২৪-২৫এ মাছ রপ্তানি এক লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
CG/ SM /NS
(Release ID: 1601576)
Visitor Counter : 154