অর্থমন্ত্রক

৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে গেলে বাণিজ্য-বান্ধব নীতি প্রয়োজন, বলা হ’ল অর্থনৈতিক সমীক্ষায়

Posted On: 31 JAN 2020 8:00PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০

 

 

২০১৯-২০’র অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হ’ল ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার ভারতের প্রত্যাশা নির্ভর করছে বাণিজ্য-বান্ধব নীতির ওপর, যাতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সম্পদ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে, বিশেষ কোনও গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব দূর হয়। কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০১৯-২০ অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করলেন। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের পর থেকে অর্থনৈতিক যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা এর পক্ষে সাক্ষ্য বহন করছে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, গঠনমূলক বিনির্মাণ বেড়েছে সংস্কারের পর থেকে। ১৯৯১-তে ভারতীয় অর্থনীতির যে উদারীকরণ হয়, তাতে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মনোবৃত্তি বৃদ্ধি পায়। গঠনমূলক বিনির্মাণ বাজারে নিয়ে আসে নতুন উদ্ভাবন, পুরনো প্রযুক্তির তুলনায় তা মানুষকে আরও ভালো করে পরিষেবা দিতে পাচ্ছে। বাজারে আসে নতুন নতুন সংস্থা, চালু সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে থাকে তারা। এই প্রতিযোগিতার ফলে কম দামে ক্রেতারা জিনিস পান। শেয়ার বাজারেও উদারীকরণের পর আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সেন্সেক্স বাড়ছে দ্রুতগতিতে। যেখানে ৫ হাজার পয়েন্ট পার হতে লেগেছিল ১৩ বছর, তা এখন বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। উদারীকরণের আগে একেকটি সংস্থার নাম সূচক তালিকায় ৬০ বছরের জন্য থাকতো, এখন তা ১২ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। এত্যে প্রমাণ হয়, প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্থা তৈরি হচ্ছে। ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থার মতো নতুন ক্ষেত্র এই প্রথম সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উৎপাদন শিল্পকে সরিয়ে উঠে এসেছে পরিষেবা ক্ষেত্র। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বৈচিত্র্য বাড়ছে। পরিষেবা ক্ষেত্রের অবদান অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য-বান্ধব নীতির জায়গায় পক্ষপাতমূলক নীতি দেশের অর্থনীতিতে সম্পদ ধ্বংস করে। বেনামী সংস্থাগুলি এই নীতি থেকে ফায়দা তোলে। এমনকি, মূল্যবোধেরও অবক্ষয় ঘটে। ২০০৭-১০ – এর মধ্যে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের খরচে কিছু কিছু সংস্থা অস্বাভাবিক মুনাফা করেছে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে এইসব সংস্থাগুলির প্রতিপত্তি কমেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে আরও স্বাভাবিক সম্পদের পক্ষপাতমূলক বন্টনে লাভবের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি। উৎপাদনশীলতার বদলে সেই সম্পদ থেকে উল্টো পথে আয় করে নিয়েছে সংস্থাগুলি। এরাই ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করেনি, গ্রামোন্নয়নের নামে অনুসারি সংস্থা সৃষ্টি করে লোকসান দেখিয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে ঐ একই সম্পদ প্রতিযোগিতামূলক বন্টনের দ্বারা ঐ পর্বের সমাপ্তি ঘটেছে, আর্থিক সচলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাঙ্ক ঋণ পরিশোধ কেউ না করলে, তার ভার চাপে অন্যের উপর। তাতে আগ্রহী ব্যক্তিরাও লগ্নি বা নতুন উদ্যোগ করা থেকে পিছিয়ে যান।

 

 

CG/AP/SB


(Release ID: 1601390) Visitor Counter : 135


Read this release in: English