অর্থমন্ত্রক
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯-২০’র প্রধান বিষয়গুলি
Posted On:
31 JAN 2020 7:55PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০
কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২৯-২০’র অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেন। ২০১৯-২০’র অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রধান বিষয়গুলি হ’ল :
সম্পদ সৃষ্টি : অদৃশ্য হাতকে আস্থার হাতে সমর্থন
· অর্থনৈতিক ইতিহাসের তৃতীয় – চতুর্থাংশের জন্য বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে ভারতের প্রাধান্য।
· কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র অর্থনীতিতে দামের ভূমিকার ব্যাখ্যা করে (স্পেংলার ১৯৭১)।
· ঐতিহাসিকভাবে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বাস করে যে, আস্থার হাতের সহায়তাপ্রাপ্ত বাজারে অদৃশ্য হাতকে।
বাজারের অদৃশ্য হাত প্রতিফলিত হয় অর্থনৈতিক লেনদেনের উদারীকরণের ক্ষেত্রে।
আস্থার হাত নৈতিক এবং দার্শনিক দিকের প্রতি আবেদন করে।
· আর্থিক উদারীকরণের পর ভারতের অর্থনীতি আমাদের চিরাচরিত ভাবনা অনুযায়ী, অর্থনৈতিক মডেলের দুটি স্তম্ভকেই সমর্থন করে।
· সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বাজারের অদৃশ্য হাতের দ্বারা প্রাপ্ত বিশাল সুবিধাগুলিকে।
· উদারীকরণের পরে ভারতের জিডিপি এবং মাথা পিছু জিডিপি-র হারের বিশাল বৃদ্ধি সম্পদ সৃষ্টির সঙ্গে সংযুক্ত।
· সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, উদারীকৃত ক্ষেত্রগুলি বদ্ধ ক্ষেত্রগুলির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
· ২০১১ – ১৩’র আর্থিক ক্ষেত্রের কার্যকারিতায় দেখা যাচ্ছে, অদৃশ্য হাতকে আস্থার হাতের সহায়তা কতটা প্রয়োজন।
· সমীক্ষা অনুযায়ী, ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির জন্য ভারতের প্রত্যাশা পূরণ নির্ভর করছে :
বাজারের অদৃশ্য হাতকে শক্তিশালী করা।
আস্থার হাতের সহায়তা দেওয়া।
· অদৃশ্য হাতকে শক্তিশালী করতে হবে ব্যবসা-বান্ধব নীতি গ্রহণের মাধ্যমে :
· নতুন উদ্যোগপতিদের সমান সুযোগ প্রদান।
· সুস্থ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা এবং সহজে ব্যবসা করা যায়।
· সেই সমস্ত নীতিগুলিকে বাদ দেওয়া, যেগুলি সরকারি হস্তক্ষেপের ফলে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাজারের অবমূল্যায়ন করে।
· কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ব্যবসাকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা।
· কার্যকরিভাবে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকে উজ্জীবিত করা।
· জনকল্যাণ হিসাবে আস্থার ভাবনা প্রচলন করা, যা আরও ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়তে পারে।
· সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, নীতি যেন স্বচ্ছতা এবং তথ্য ও প্রযুক্তির কার্যকরি প্রয়োগ সুনিশ্চিত করে।
উদ্যোগ এবং তৃণমূল স্তরে সম্পদ সৃষ্টি
· উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সম্পদ সৃষ্টি বাড়াতে উদ্যোগকে একটি রণকৌশল হিসাবে নেওয়া।
· বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, নতুন সংস্থা তৈরির ক্ষেত্রে ভারত তৃতীয় স্থানে।
· ২০২৪ সাল থেকে ভারতে নাটকীয়ভাবে নতুন সংস্থার সংখ্যা বেড়েছে।
২০১৪ – ২০১৮’য় অনুমোদিত ক্ষেত্রে নতুন সংস্থার পৌণপুনিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১২.২ শতাংশ, ২০০৬ – ২০১৪’য় এই হার ছিল ৩.৮ শতাংশ।
২০১৮’য় প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার নতুন সংস্থা তৈরি হয়েছে, যেখানে ২০১৪’য় হয়েছিল ৭০ হাজার। এই বৃদ্ধির হার ৭০ শতাংশ।
· সমীক্ষায় প্রশাসনিক পিরামিডের একেবারে নিম্নস্তরে সারা ভারতের ৫০০-রও বেশি জেলায় উদ্যোগ সংক্রান্ত কার্যকলাপের চালিকাশক্তি এবং তার বিষয় পরীক্ষা করা হয়েছে।
· পরিষেবা ক্ষেত্রে নতুন সংস্থা তৈরির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে উৎপাদন শিল্প, পরিকাঠামো এবং কৃষি ক্ষেত্রের থেকে বেশি।
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তৃণমূল স্তরে উদ্যোগ সংক্রান্ত কার্যকলাপ শুধুমাত্র প্রয়োজনের ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি।
· একটি জেলায় নতুন সংস্থা নথিভুক্তকরণে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে জিডিডিপি-তে ১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়।
· জেলাস্তরে উদ্যোগ সংক্রান্ত কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে তৃণমূল স্তরে সম্পদ সৃষ্টিতে।
· ভারতে নতুন সংস্থার জন্ম সম্পূর্ণ দেশজ এবং সব জেলা ও ক্ষেত্রে ছড়িয়ে।
· জেলায় সাক্ষরতা ও শিক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে স্থানীয় উদ্যোগ সংক্রান্ত কার্যকলাপে প্রভাব ফেলে :
এই প্রভাব স্পষ্ট যখন সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশের বেশি।
নতুন সংস্থার সংখ্যা পূর্ব ভারতের সবচেয়ে কম সাক্ষরতার হার (২০১১’র জনগণনা অনুযায়ী ৫৯.৬ শতাংশ)।
· কোনও জেলায় পরিকাঠামোর গুণমানের ওপর নির্ভর করে নতুন সংস্থা তৈরি।
· সহজে ব্যবসা করার পরিস্থিতি এবং সহজ সম আইন নতুন সংস্থা তৈরিতে সাহায্য করে, বিশেষ করে উৎপাদন শিল্পে।
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সহজে ব্যবসা করার পরিস্থিতি বৃদ্ধি এবং নমনীয় শ্রম আইন রূপায়ণের মাধ্যমে জেলা তথা রাজ্যগুলিতে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
বাণিজ্য-বান্ধব বনাম বাজার-বান্ধব
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৫ লক্ষ কোটি ডলার অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার ভারতের আকাঙ্খা গুরুত্বপূর্ণভাবে নির্ভর করছে :
বাণিজ্য-বান্ধব নীতি গ্রহণের ওপর, যাতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, সম্পদ সৃষ্টি হয়।
নির্দিষ্ট বেসরকারি স্বার্থ রক্ষা, তবে ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা না করার ওপর।
· শেয়ার বাজারের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, উদারীকরণের পরবর্তী যুগে বিনির্মাণ গুরুত্বপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে :
উদারীকরণের আগে সেন্সেক্স নিবদ্ধ সংস্থা আশা করা হ’ত ৬০ বছর পর্যন্ত থাকবে। উদারীকরণের পর তা মাত্র ১২ বছরে দাঁড়িয়েছে।
প্রতি পাঁচ বছরে সেন্সেক্স নিবদ্ধ সংস্থার এক-তৃতীয়াংশই বেরিয়ে যায়, যাতে প্রমাণ হয় অর্থনীতিতে নিয়মিতভাবে নতুন নতুন সংস্থা, পণ্য ও প্রযুক্তির প্রবেশ ঘটছে।
· প্রতিযোগিতামূলক বাজার সুনিশ্চিত করার কাজের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্যভাবে হওয়া সত্ত্বেও অর্থনীতির মূল্যবোধ ধ্বংস হয়েছে।
২০০৭ – ২০১০ – এ বার্ষিক ৭ শতাংশ হারে বাজারে প্রভাব ফেলেছে কিছু সংস্থা। এর ফলে প্রমাণ হয়, সাধারণ মানুষের খরচ কেটে অসম্ভব পরিমাণে লাভ করছে।
অন্যদিকে, ২০১১ থেকে ৭.৫ শতাংশ হারে বাজারে সূচকের ঘাটতি প্রমাণ করে সেইসব সংস্থাগুলি দক্ষতার অভাব ও মূল্যয়নবোধের অবমূল্যায়নে।
· ২০১১ সাল পর্যন্ত বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণির জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের বিতরণ যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল ২০১৪ সাল থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
· একইভাবে, বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণী, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ শোধ করেনি, বরং, ব্যাঙ্কগুলি থেকে সাইফন করে টাকা তুলে নিয়েছে এবং সংস্থার লোকসান দেখিয়েছে।
বাজারের অবমূল্যায়ন : যখন সরকারি হস্তক্ষেপ ভালোর থেকে খারাপ বেশি করে
· সরকারি হস্তক্ষেপ তা যতই সদিচ্ছামূলক হোক না কেন, তা বাজারে সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়তা ক্ষেত্রে অনেক সময়ই সক্ষম হয় না, বরং ঠিক উল্টোটাই হয়।
· এই ধরণের সরকারি হস্তক্ষেপের চারটি উদাহরণ :
এসেন্সিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট (ইসিএ) ১৯৫৫ :
ইসিএ-র অধীনে পণ্য মজুতের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের নানা সময় এবং অপ্রত্যাশিতভাবে সিদ্ধান্তের ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রে মজুত ব্যবস্থার পরিকাঠামোর জন্য উৎসাহভাতার সঠিক ব্যবহার হয় না; কৃষি ক্ষেত্রে মূল্যশৃঙ্খলে যথাযথ চলন হয় না; কৃষি পণ্যের জন্য জাতীয় বাজারে উন্নয়ন হয় না।
২০০৬ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ডাল, ২০০৯ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে চিনি এবং ২০১৯ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে পেঁয়াজ মজুতের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেয়ার ফলে পণ্যগুলির দামে অস্বাভাবিক হ্রাস বৃদ্ধি ঘটেছে।
ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রকের দেখা উচিৎ বর্তমান ভারতে ইসিএ-র প্রাসঙ্গিকতা আছে কিনা।
মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হলেও সেভাবে দোষী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় না, ফলে, জিনিসের দামের ওপরও কোনও প্রভাব পড়ে না। ইসিএ তখন শুধুমাত্র বিরক্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই ধরণের আইনগুলির অক্ষমতার কথা।
২) ইসিএ-র অধীনে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ
২০১৩’র ডিপিসিও’র মাধ্যমে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের ফলে ওষুধের দাম বেড়ে গিয়েছিল।
দামি ওষুধের দাম বেড়েছিল, কমদামি ওষুধের থেকে। হাসপাতালে যে ওষুধগুলি বিক্রি করা হয়, সেগুলির দাম বেড়েছিল খুচরো দোকানের থেকে।
এতে প্রমাণ হয় যে, ডিপিসিও-র যা লক্ষ্য ছিল, অর্থাৎ সুলভে ওষুধ বিক্রি তার ফলাফল হয় সম্পূর্ণ বিপরীত।
সরকার ওষুধের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা। সেই একমাত্র পারে, কার্যকরিভাবে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে, দরাদরি করে এবং সব ওষুধ ক্রয়কে একসঙ্গে দেখিয়ে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের উচিৎ এমন একটি নীতি তৈরি করা, যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারের তরফে দরাদরি করা যায়।
৩) শস্য বাজারে সরকারি হস্তক্ষেপ :
খাদ্যশস্য বাজারের নীতির ফলে -
সরকারই চাল ও গমের সবচেয়ে বড় সংগ্রাহক ও মজুতদার।
বেসরকারি ব্যবসার উৎপাদন।
খাদ্যে ভর্তুকির বোঝা।
বাজারে অকার্যকারিতা, যার ফলে দীর্ঘকালীন মেয়াদে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন না হওয়া।
খাদ্যশস্য নীতি এমন হওয়া উচিৎ যাতে স্মার্ট কার্ড, কুপন ইত্যাদির ব্যবহার বাড়ে।
৪) ঋণ মকুব :
রাজ্য ও কেন্দ্রগুলির দেওয়া ঋণ মকুবের বিশ্লেষণ :
যারা পূর্ণ মকুবের সুবিধাপ্রাপ্ত, তাঁরা কম ভোগ করে, কম সঞ্চয় করে, কম লগ্নি করে এবং ঋণ মকুবের পরে তাঁদের উৎপাদনশীলতা আংশিক সুবিধাপ্রাপ্তদের তুলনায় কমে যায়।
ঋণ মকুব ঋণ সংস্কৃতির অসুবিধা সৃষ্টি করে।
এতে ঐ একই কৃষকের সাধারণভাবে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমে। ফলে, মূল উদ্দেশ্যটাই ব্যহত হয়।
সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে :
সরকারের উচিৎ অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ এড়ানো যায়, এমন পরিস্থিতিগুলি চিহ্নিত করা। তবে তাই বলে এই নয় যে, সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবেই না।
পরিবর্তিত অর্থনীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে গেছে।
এই ধরণের বিষয়গুলি এড়াতে পারলে বাজার আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে, আসবে লগ্নি এবং অগ্রগতি হবে অর্থনীতির।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নেটওয়ার্ক পণ্যে বিশেষীকরণের দ্বারা অগ্রগতি
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতের সামনে অভূতপূর্ব সুযোগ চীনের মতো শ্রমনিবিড় ঊর্ধ্বমুখী রপ্তানির।
· ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মধ্যে ‘অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়া ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ যুক্ত করে ভারত পারে :
২০২৫ সালের মধ্যে রপ্তানি বাজারে ভারতের অংশ ৩.৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ শতাংশ করতে।
২০২৫ সালের মধ্যে ভালো বেতনের ৪ কোটি, ২০৩০ সালের মধ্যে ৮ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করতে।
· ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলার অর্থনীতিতে পরিণত করতে নেটওয়ার্ক পণ্যের রপ্তানি মূল্যযুক্তির এক-চতুর্থাংশ বৃদ্ধি করতে পারে।
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চীনের মতো একই রকম রণকৌশল নিতে হবে :
শ্রমনিবিড় ক্ষেত্র, বিশেষ করে নেটওয়ার্ক পণ্যের ক্ষেত্রে পুরোপুরি বিশেষীকরণ।
নেটওয়ার্ক পণ্যের ক্ষেত্রে বিশাল আকারে অ্যাসেম্বলিং কাজের ওপর বিশেষ নজর।
বিশেষ করে, ধনী দেশগুলিতে রপ্তানি করার লক্ষ রাখা।
সহায়ক বাণিজ্য নীতি তৈরি করা।
· সমীক্ষার বিশ্লেষণে সার্বিক বাণিজ্যিক ভারসাম্য রক্ষায় ভারতের বাণিজ্য চুক্তিগুলির প্রভাব :
উৎপাদন শিল্পে ১৩.৪ শতাংশ, সার্বিক বাণিজ্যে ১০.৯ শতাংশ ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে উৎপাদন শিল্পের ক্ষেত্রে ১২.৭ শতাংশ, সার্বিক বাণিজ্যে ৮.৬ শতাংশ।
উৎপাদন শিল্প ক্ষেত্রে বার্ষিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে ভারতের ০.৭ শতাংশ, সার্বিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে বার্ষিক ২.৩ শতাংশ।
ভারতে সহজে ব্যবসা করার সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্য
· বিশ্ব ব্যাঙ্কে সহজে ব্যবসা করার মানদন্ডে ২০১৪’র ১৪২তম স্থান থেকে ২০১৯ সালে এক লাফে ৭৯ ধাপ উঠে ৬৩তম স্থানে আছে ভারত।
· ভারত এখনও পিছিয়ে যে ক্ষেত্রগুলিতে, সেগুলি হ’ল – সহজে ব্যবসা শুরু করার পরিস্থিতি, সম্পত্তি নথিভুক্তিকরণ, কর প্রদান এবং চুক্তি রূপায়ণ।
· সমীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনার ফল দেওয়া হয়েছে :
পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স প্রক্রিয়া আমদানির ক্ষেত্রে যতটা সহজ, ততটা রাপ্তানির ক্ষেত্রে নয়।
বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর দিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স আমদানি-রপ্তানি প্রমাণ করে ভারতের লজিস্টিক্যাল প্রক্রিয়া বিশ্ব শ্রেণীর হতে পারে।
· ভারতে জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা করার সময়সীমা যেখানে ২০১০ – ১১’য় ছিল ৪.৬৭ দিন, সেখানে ২০১৮ – ১৯ সালে প্রায় অর্ধেক কমে দাঁড়িয়েছে ২.৪৮ দিন।
· সহজে ব্যবসা করার জন্য আরও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে :
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক, পরোক্ষ কর ও সীমা শুল্ক কেন্দ্রীয় পর্ষদ, জাহাজ মন্ত্রক এবং বিভিন্ন বন্দর কর্তৃপক্ষের লজিস্টিক্স বিভাগের মধ্যে নিবিড় সমন্বয় স্থাপন।
অন্য কয়েকটি ক্ষেত্র, যেমন – পর্যটন অথবা উৎপাদন শিল্প, যেখানে দরকার বিশেষ মনোযোগ, যাতে সেইসব ক্ষেত্রে নিয়মবিধি সরল করা যায় এবং দীর্ঘসূত্রতা দূর করা যায়।
ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের সুবর্ণ জয়ন্তী : খতিয়ান
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের সুবর্ণ জয়ন্তী হয় ২০১৯ সালে।
· ব্যাঙ্কগুলির লক্ষ লক্ষ কর্মীর আশাপূর্ণ হয়েছে।
· ১৯৬৯ সাল থেকে ভারতের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র অর্থনীতির কলেবর বৃদ্ধির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বেড়ে উঠতে পারেনি।
· বিশ্বে শীর্ষ ১০০টির মধ্যে ভারতের মাত্র একটি ব্যাঙ্ক আছে। ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের মতো ছোট দেশগুলিরও তাই আছে।
· এক বৃহৎ অর্থনীতির প্রয়োজন তার বৃদ্ধির সহায়ক কার্যকরি ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র।
· অর্থনীতিকে সহায়তা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির। ভারতের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের ৭০ শতাংশই যাদের দখলে :
সর্বক্ষেত্রেই সমতুল্য গোষ্ঠির তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি অদক্ষ।
২০১৯ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রতি টাকা লগ্নিতে গড়ে ২৩ পয়সা ক্ষতি। অন্যচিকে, এনপিবি-তে ৯.৬ পয়সা লাভ হয়েছে।
গত কয়েক বছরে এনপিবি থেকে বেশ কম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঋণ দানের পরিমাণ।
· রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে আরও দক্ষ করে তোলার উপায় :
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্মচারীদের জন্য এমপ্লয়ি স্টক ওনারশিপ প্ল্যান (ইএসওপি)
বোর্ডে প্রতিনিধিত্ব বাড়িয়ে কর্মচারীদের ব্যাঙ্কের অন্যান্য শেয়ার গ্রহীতাদের মতোই উৎসাহ দেওয়া।
জিএসটিএন – এর মতো একটি সত্ত্বা তৈরি করা, যাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি গড় তথ্য যোগাড় করা যায় এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায়। যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, ঋণ গ্রহীতাদের বিষয়ে সমস্ত রকম তথ্য জানতে, বিশেষ করে বৃহৎ পরিমাণের ঋণ গ্রহীতাদের।
এনবিএফসি ক্ষেত্রে আর্থিক ভঙ্গুরতা
· এই ক্ষেত্রে বর্তমানে নগদ যোগান কম থাকার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে ছায়া ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার রোল ওভার রিস্কের মূল চালকদের বিষয়ে সমীক্ষায় তদন্ত করা হয়েছে।
· রোল ওভার রিস্কের মূল চালকরা হ’ল :
অ্যাসেট লায়াবিলিটি ম্যানেজমেন্ট (এএলএম) ঝুঁকি।
আন্তঃসম্পর্কীয় ঝুঁকি।
একটি এনবিএফসি-র আর্থিক এবং কার্যকরি নিষ্ক্রিয়তা।
স্বল্পমেয়াদী পাইকারি তহবিল যোগানোর ওপর অত্যাধিক নির্ভরতা।
· সমীক্ষায় এইচএফসি-র একটি নমুনা এবং খুচরো এনবিএফসি-র একটি নমুনা নিয়ে রোল ওভার রিস্কের গুণীতকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
· এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে :
২০১৪ সালের পর থেকে এইচএফসি ক্ষেত্রে নিম্নগামীতা লক্ষ্য করা গেছে। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ এই ক্ষেত্রে সার্বিক স্বাস্থ্য উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়ে গেছে।
খুচরো এনবিএফসি ক্ষেত্রের মান ২০১৪ – ১৯ এই সময়ে সবসময়েই কাঙ্খিত মাত্রার নীচে ছিল।
বড় আকারের খুচরো এনবিএফসি-র মান বেশি হলেও মাঝারি এবং খুচরো এনবিএফসি-র মধ্যে মাঝারিগুলির মান ২০১৪ – ১৯ – এর মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল।
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নগদ যোগানের সমস্যার প্রাক্-পূর্বাভাস পাওয়া যায় এই স্বাস্থ্য পরীক্ষায়।
· একেকটি এইচএফসি এবং খুচরো এনবিএফসি-র মান বৃদ্ধি করতে শেয়ার বাজারগুলি সহায়তা করেছে।
· সমীক্ষায় এই বিশ্লেষণকে কার্যকরিভাবে নগদ যোগান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে, যাতে আর্থিক ভঙ্গুরতা রোধ হয়।
বেসরকারিকরণ এবং সম্পদ সৃষ্টি
· সমীক্ষায় ভারতের প্রেক্ষাপটে বেসরকারিকরণের সুফলগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারি পরিচালনাধীন সংস্থাগুলি বিলগ্নিকরণের বিষয়টিও উল্লিখিত হয়েছে।
· বিপিসিএল – এ সরকারের হাতে থাকা ৫৩.২৯ শতাংশ শেয়ার বিলগ্নিকরণের ফলে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
· ১৯৯৯ – ২০০০ থেকে ২০০৩ – ০৪ পর্যন্ত যে ১১টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কৌশলগত বিলগ্নিকরণ করা হয়েছে, তার পূর্বাপর পর্যালোচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
বেসরকারিকৃত কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির নীট সম্পদ, নীট মুনাফা ইত্যাদি গড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বেসরকারি কৃত কেন্দ্রীয় সরকারি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি একই উৎস থেকে আরও বেশি সম্পদ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছে।
· সমীক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে :
আরও লাভজনক করে তুলতে
দক্ষতা বাড়াতে
প্রতিযোগিতামূলক মনোবৃত্তি বৃদ্ধি করতে
পেশাদারিত্ব আনতে
ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার কি অতিরঞ্জিত? না !
· জিডিপি বৃদ্ধির হার লগ্নিকারক এবং নীতি প্রস্তুতকারকদের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটি মানদন্ড, সেই জন্য ২০১১ সালে জিডিপি স্থির করার নতুন পদ্ধতি গ্রহণের পর ভারতের জিডিপি-র হারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের ক্ষেত্রে এই প্রসঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
· যেহেতু এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের এক বা অন্যভাবে নানা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়, তাই একেকটি দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিকে আলাদা রেখেই পারস্পরিক তুলনামূলক আলোচনা করা প্রয়োজন।
· ২০১১ সালের পর যে মডেলের মাধ্যমে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ভুলভাবে ২.৭ শতাংশ বেশি দেখানো হয়েছে। সেই হিসাবেই ৯৫টি দেশের মধ্যে ৫১টিতেই একই সময়ে জিডিপি-র পূর্বাভাসে ভ্রান্তি রয়েছে।
· ব্রিটেন, জার্মানি এবং সিঙ্গাপুরের মতো অনেক উন্নত দেশই তাদের জিডিপি-র মূল্যায়ন করেছে অসম্পূর্ণ নির্দিষ্ট ইকনোমেট্রিক মডেলের দ্বারা।
· ভ্রান্তিহীন নির্দিষ্ট মডেল যাতে সব দেশের জিডিপি বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা পরীক্ষা করা যায়, তাতে ভারত ও অন্য দেশগুলির বৃদ্ধির হার নির্ধারণে কোনও ভুল পাওয়া যায়নি।
· ভারতের জিডিপি যে ভ্রান্তিমূলক তার সপক্ষে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি, তাই এটি ভিত্তিহীন।
থালিনোমিক্স : ভারতে এক থালা খাবারের অর্থনীতি
· সারা ভারতে এক থালা খাবারের জন্য একজন সাধারণ মানুষকে যা দিতে হয়, তার মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা।
· ২০১৫ – ১৬ থেকে থালার দামের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
· সারা দেশে ২০১৫ – ১৬ থেকে নিরামিষ খাবারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যদিও চারটি অঞ্চলে ২০১৯ – ২০’তে এই দাম বাড়তে দেখা গেছে।
· ২০১৫ – ১৬’র পর নিরামিষ থালির দামের ক্ষেত্রে প্রতি বছর গড়ে ১১ হাজার টাকা করে সাশ্রয় হচ্ছে গড়ে প্রতিটি পরিবারের।
· এই একই সময়ে গড়ে যে পরিবার দুটি আমিষ থালির উপভোক্তা হয়, তাদের সাশ্রয় হয় বছরে গড়ে ১২ হাজার টাকা।
· ২০০৬ – ০৭ থেকে ২০১৯ – ২০ পর্যন্ত নিরামিষ থালি খাওয়ার সুবিধা প্রাপ্তির পরিমাণ বেড়েছে ২৯ শতাংশ। আমিষ থালির ক্ষেত্রে এই হার ১৮ শতাংশ।
২০১৯ – ২০’তে ভারতের আর্থিক কাজকর্ম
· আন্তর্জাতিক উৎপাদন বাণিজ্য এবং চাহিদার নিম্নগামিতার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমিয়ে করা হবে ৪.৮ শতাংশ।
· ২০১৯-২০’র দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রকৃত উপভোগ বৃদ্ধি বেড়েছে সরকারি চূড়ান্ত উপভোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়।
· ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে ‘কৃষি এবং তৎসংক্রান্ত কাজকর্ম’ এবং ‘জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য পরিষেবা’ – এ বৃদ্ধির হার ২০১৮-১৯ – এর দ্বিতীয়ার্ধের চেয়ে বেশি।
· ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে ভারতের বহিঃক্ষেত্র আরও সুস্থিতিপ্রাপ্ত হয়েছে।
· চলতি খাতে ঘাটতি ২০১৮-১৯ – এ ছিল জিডিপি-র ২.১ শতাংশ, তা ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫ শতাংশ।
· প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সন্তোষজনক। নগদ যোগান বাড়ছে।
· বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার বেড়েছে।
· অশোধিত তেলের দাম কমায় ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে রপ্তানির তুলনায় আমদানি সঙ্কুচিত হয়েছে।
· বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতি কমার আশা।
· খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতিতে সাময়িক বৃদ্ধি হওয়ায় ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে ৩.৩ শতাংশ থেকে ২০১৯-২০’র ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ৭.৩৫ শতাংশ।
· ২০১৯-২০’র ডিসেম্বরে খুচরো এবং পাইকারি মূল্যসূচক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে চাহিদা বাড়ছে।
· বৃদ্ধি চক্রে শিথিলতার মধ্যে জিডিপি বৃদ্ধির হারের শ্লথগতিকে বিবেচনা করতে হবে।
· প্রকৃত ক্ষেত্র, যেমন – লগ্নি থেকে বৃদ্ধি থেকে উপভোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসাবে দেখা দেয় আর্থিক ক্ষেত্র।
· ২০১৯-২০’তে যে সংস্কারগুলি করা হয়েছে, তাতে বেড়েছে লগ্নি, চাহিদা ও রপ্তানি।
· আইবিসি-র অধীনে দেউলিয়া মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।
· রিয়েল এস্টেট এবং এনবিএফসি ক্ষেত্রের জন্য ঋণ দানের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে।
· ২০১৯ – ২০২৫ এই সময়ের জন্য জাতীয় ঋণ পরিকাঠামো প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে।
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৯-২০’র দ্বিতীয়ার্ধে জিডিপি বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে।
· সিএসও-র প্রথম অ্যাডভান্স এস্টিমেটের ভিত্তিতে ২০১৯-২০’তে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ।
· ২০২০-২১ – এ অর্থনীতি যাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
আর্থিক উন্নতি
· ২০১৯-২০’র প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি ঘটেছে। গত বছরের ঐ একই সময়ের তুলনায়। এটি সম্ভব হয়েছে কর ব্যতীত রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি হওয়ার ফলে।
· ২০১৯-২০’তে (২০১৯ – এর ডিসেম্বর পর্যন্ত) মোট পাঁচ বার জিএসটি বাবদ মাসিক মোট আদায় ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
· চলতি অর্থ বছরে করের ক্ষেত্রে কাঠামোগত সংস্কার করা হয়েছে।
· কর্পোরেট করের হার পরিবর্তন করা হয়েছে।
· জিএসটি রূপায়ণ সহজ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
· এফআরবিএম আইনে বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে রাজ্যগুলি আর্থিক ঘাটতি ধরে রাখা হয়েছে।
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সাধারণভাবে সরকার (কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে) আর্থিক সমন্বয়ের পথে।
বহিঃক্ষেত্র
· বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্য।
· ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্য বেড়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার ছিল ৪১২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বেড়ে হয়েছে ৪৩৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
· চলতি খাতে ঘাটতি (সিএডি) ২০১৮-১৯ – এ ছিল ২.১ শতাংশ, তা ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে কমে হয়েছে জিডিপি-র ১.৫ শতাংশ।
· ২০২০-র ১০ই জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডার ছিল ৪৬১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
· বিশ্ব বাণিজ্য।
· ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক উৎপাদনে ২.৯ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য ১.০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৭’য় এই হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।
· তবে, ২০২০ সালে এটি আরও বেড়ে ২.৯ শতাংশ হতে পারে। কারণ, সেই সময় বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
· ভারতের পণ্য আমদানি – রপ্তানির ভারসাম্য ২০০৯ – ১৪ থেকে ২০১৪ – ১৯ পর্যন্ত বেড়েছে বস্তুত শেষের দিকে ২০১৬-১৭’য় অশোধিত তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস পাওয়ায়।
· ভারতের প্রথম ৫টি বাণিজ্য সঙ্গী দেশ হিসাবে রয়ে গেছে আমেরিকা, চীন, আরব আমীরশাহী, সৌদি আরব এবং হংকং।
রপ্তানি
· সবচেয়ে বেশি যে সমস্ত পন্য রপ্তানি হয়েছে, সেগুলি হ’ল – পেট্রো পণ্য, মূল্যবান রত্ন, ওষুধ তৈরির প্রক্রিয়া, সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু।
· ২০১৯-২০’তে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে আমেরিকা, আরব আমীরশাহী, চীন এবং হংকং।
· জিডিপি এবং পণ্য রপ্তানির অনুপাত কমেছে।
· বিশ্ব উৎপাদন কমার প্রভাব পড়েছে জিডিপি রপ্তানি অনুপাত হ্রাসে। বিশেষ করে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধ পর্যন্ত।
· ২০০৯-১৪ থেকে ২০১৪-১৯ পর্যন্ত পেট্রোপণ্য ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
আমদানি
· যে সমস্ত পণ্য বেশি আমদানি করা হয়, সেগুলি হ’ল – অশোধিত তেল, সোনা, পেট্রোলিয়াম পণ্য, কয়লা, কোক এবং ব্রিকেট।
· ভারত যে সমস্ত দেশ থেকে বেশি আমদানি করে, সেগুলি হ’ল – চীন, আমেরিকা, আরব আমীরশাহী এবং সৌদি আরব।
· জিডিপি এবং পণ্য রপ্তানির অনুপাত কমেছে, এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
· বিশাল পরিমাণে অশোধিত তেল আমদানির ফলে ভারতের অশোধিত তেলের দামের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। যখনই অশোধিত তেলের দাম বাড়ে, মোট আমদানির পরিমাণে অশোধিত তেলের দরুণ খরচের পরিমাণ বাড়ে। ফলে, বাড়ে আমদানি ও জিডিপি-র অনুপাত।
· ভারতে সোনার দামের সঙ্গে সোনা আমদানির গভীর সম্পর্ক আছে। তবে, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে মোট আমদানির মধ্যে সোনা আমদানির পরিমাণ একই ছিল। যদিও দাম বেড়েছে। সম্ভবত, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সোনা আমদানির পরিমাণ কমেছে।
· পেট্রোপণ্য ও সোনা ব্যতীত অন্যান্য পণ্য আমদানির সঙ্গে জিডিপি বৃদ্ধির ইতিবাচক সম্পর্ক আছে।
· পেট্রোপণ্য ব্যতীত অন্যান্য আমদানি ও জিডিপি-র অনুপাতের হার ২০০৯ – ১৪ থেকে ২০১৪-১৯ – এ কমেছে, যদিও জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে বেশি।
· সম্ভবত, উপভোগ-ভিত্তিক বৃদ্ধির জন্য। যদিও লগ্নির হার কমেছে, বেড়েছে পেট্রোপণ্য ও সোনা ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি।
· নিয়মিত লগ্নির পরিমাণ কমায় কমেছে জিডিপি বৃদ্ধির হার, কমেছে চাহিদা, লগ্নির পরিবেশ অনুকূল নয় – এই কারণগুলির ফলে আরও কমেছে জিডিপি বৃদ্ধির হার। কমেছে পেট্রোপণ্য, সোনা ব্যতীত আমদানি।
· ব্যবসায়িক লেনদেনের সুবিধার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে ভারতের স্থান ছিল ১৪৩-এ, ২০১৯ – এ সেটি হয়েছে ৬৮। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসা করার প্রতিবেদনেরই অন্তর্গত এই সীমান্তপারের বাণিজ্য লেনদেন।
ভারতে লজিস্টিক্স শিল্প
· বর্তমানে এর পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ১৬০ বিলিয়ন মার্কিভন ডলার।
· ২০২০’তে এই পরিমাণ ২১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছোঁবে বলে আশা করা হচ্ছে।
· বিশ্ব ব্যাঙ্কের লজিস্টিক্স পারফর্ম্যান্স সূচক অনুযায়ী, ভারতের স্থান ২০১৪’য় ছিল ৫৪’তে, ২০১৮’য় তা বেড়ে হয়েছে ৪৪।
· ২০১৯-২০’তে নীট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য ছিল। প্রথম আট মাসে এর পরিমাণ ছিল ২৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ – এর ঐ একই সময়ের তুলনায় বেশি।
· ২০১৯ – ২০’তে প্রথম আট মাসে নীট বিদেশি পোর্টফোলিও লগ্নির পরিমাণ ছিল ১২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
· বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা দেশে যে টাকা পাঠান, তার পরিমাণ ক্রমশই বাড়ছে।২০১৯-২০’র প্রথমার্ধে বিদেশে কর্মরত ভারতীয়রা দেশে পাঠিয়েছেন ৩৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশেরও বেশি।
বহিঃঋণ
· ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত এটি জিডিপি-র ২০.১ শতাংশেই রয়েছে।
· ২০১৪-১৫ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসের পর ভারতে জিডিপি-র তুলনায় বহিঃঋণ ২০১৯ – এর জুন মাস পর্যন্ত বেড়েছে মূলত, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, পোর্টফোলিও বিনিয়োগ এবং বহিঃবাণিজ্যিক ঋণ বৃদ্ধির জন্য।
মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক মধ্যস্থতা
· মুদ্রা নীতি।
· ২০১৯-২০’তে গ্রহণযোগ্য রয়ে গেছে।
· বৃদ্ধির হার কমায় এবং মুদ্রাস্ফীতি কমায় এই অর্থবর্ষে চারবারে মোট ১১০ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে রেপো রেট।
· ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যে ঋণ নীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে অবশ্য এই হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
· ২০১৯-২০’র প্রথম দু’মাসে নগদ যোগানের পরিস্থিতি ছিল বেশ কঠিন। তবে, তা পরে কিছুটা সহজ হয়েছে।
· মোট অনুৎপাদক ঋণ অনুপাত ২০১৯ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধীকৃত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির জন্য এই হার ৯.৩ শতাংশেই অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
· সামান্য বেড়েছে এনবিএফসি-গুলির জন্য। ২০১৯ সালের মার্চে ৬.১ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৬.৩ শতাংশ করা হয়েছে।
ঋণ বৃদ্ধির হার
· ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসি-গুলির জন্য ঋণ বৃদ্ধির হার কমায় আর্থিক যোগানও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।
· ব্যাঙ্ক ঋণ বৃদ্ধির হার ২০১৯ সালের এপ্রিলে ১২.৯ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালের ২০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিয়ে করা হয়েছে ৭.১ শতাংশ।
· নিবন্ধীকৃত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির মূলধনের সঙ্গে ঝুঁকিসম্পন্ন সম্পদের অনুপাত ২০১৯ সালের মার্চ এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৪.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫.১ শতাংশ করা হয়েছে।
দাম ও মুদ্রাস্ফীতি
· মুদ্রাস্ফীতির ঝোঁক।
· ২০১৪ থেকে মুদ্রাস্ফীতি পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
· উপভোক্তা মূল্য সূচক-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি ২০১৮-১৯ – এর (২০১৮’র এপ্রিল – ডিসেম্বর) ৩.৭ শতাংশ থেকে ২০১৯-২০ (এপ্রিল – ডিসেম্বর, ২০১৯) – এ করা হয়েছে ৪.১ শতাংশ।
· পাইকারি মূল্য সূচক-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি ২০১৮-১৯ – এর (এপ্রিল – ডিসেম্বর ২০১৮) ৪.৭ শতাংশ থেকে ২০১৯-২০’র (এপ্রিল – ডিসেম্বর ২০১৯) – এ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫ শতাংশ।
· ২০১৮-১৯ – এ মুদ্রাস্ফীতি বাড়া-কমার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে।
· ২০১৯-২০’তে (এপ্রিল – ডিসেম্বর) খাদ্য ও পানীয়র জন্য মূলত এই পরিবর্তন হয়েছে।
· খাদ্য ও পানীয়র মধ্যে শাক-সব্জি ও ডালের দামই খুব বেশি ছিল। অসময়ে বৃষ্টির জন্য উৎপাদন ব্যহত হয়।
· কৃষকরা পূর্ব বৎসরের বাজার দামের পরিপ্রেক্ষিতে পরের বছরের চাষ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
· কৃষকদের সুরক্ষায় প্রাইস স্টেবিলাইজেশন ফান্ড (পিএসএফ) ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মাধ্যমে সংগ্রহ করার কর্মসূচিকে আরও কার্যকর করতে হবে।
· ২০১৪-১৯ সালের মধ্যে দেশের চারটি মহানগরীতে অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে দেখা গেছে খুচরো ও পাইকারি দামের মধ্যে তারতম্য।
· এই তারতম্য বিশেষ করে লক্ষ্য করা গেছে পেঁয়াজ ও টমেটোর মতো সব্জির ক্ষেত্রে। এটা হয়েছে মনে হয় ফোরে এবং লেনদেনের খরচ বাড়ায়।
· কয়েক প্রকারের ডাল বাদ দিয়ে বেশিরভাগ ও অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য দ্রব্যের দামের ওঠা-নামা কমেছে ২০০৯-১৪ – এর তুলনায় ২০১৪-১৯ এই সময়ে।
· উত্তম বিপণন ব্যবস্থা, গুদামজাতকরণ এবং কার্যকরি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ব্যবস্থার ফলে দামের বেশি ওঠা-নামা কমেছে।
· ২০১৯-২০’র এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরে বিভিন্ন রাজ্যে উপভোক্তা মূল্য সূচক-ভিত্তিক মূল্য স্থিতির হারে অত্যন্ত তারতম্য ছিল।
· বেশিরভাগ রাজ্যেই গ্রামের এই মুদ্রাস্ফীতির হার শহর এলাকা থেকে কম ছিল।
· গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি এবং শহুরে মুদ্রাস্ফীতির ভেতর যে তারতম্য তা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রকম।
দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন
· এসডিজি রূপায়ণের পথে নবতর উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত এগোচ্ছে।
হিমাচল প্রদেশ, কেরল, তামিলনাডু, চন্ডীগড় এই দৌড়ে আছে প্রথম সারিতে।
আসাম, বিহার এবং উত্তর প্রদেশ আছে এর পরেই।
· ভারতে আয়োজিত হয় ইউএনসিসিসডি-র সিওপি – ১৪, সেখানে দিল্লি ঘোষণাপত্রে বলা হয়, জমিতে লগ্নি করো এবং সুযোগের নানাদিক উন্মুক্ত হোক।
· ভারত মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ইউএনএফসিসিসি-র কপ-২৫ – এ প্যারিস চুক্তি প্রণয়নে তার দায়বদ্ধতার কথা পুনরুল্লেখ করে।
কপ-২৫ সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে রয়েছে – কার্বন নিঃসরণ, উন্নত দেশগুলি থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রতিবদ্ধতার কথা।
· বনসৃজন এবং বৃক্ষরোপণ ক্রমশ বাড়ছে। ৮০.৭৩ মিলিয়ন হেক্টর জুড়ে গাছ লাগানো হয়েছে। এর আয়তন দেশের ভৌগোলিক অঞ্চলের ২৪.৫৬ শতাংশ।
· গাছের গোড়া পোড়ানোর প্রথা দূষণ বাড়াচ্ছে। এটি দেশে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। তবে, নানা প্রচেষ্টার মাধ্যমে চাষের জমিতে গোড়া পোড়ানোর ঘটনা ক্রমশ কমছে।
· আন্তর্জাতিক সৌর জোট সদস্য দেশগুলি থেকে ৩০টি ফেলোশিপের ব্যবস্থা করে তৈরি করে এনাবলার।
ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্কের থেকে ২ বিলিয়ন এবং ফ্রান্সের এএফবি থেকে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ হিসাবে নেওয়া হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সোলার রিস্ক মিটিগেশন ইনিশিয়েটিভ – এর মাধ্যমে পরিচর্যা করা হচ্ছে। ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ এবং ২.৭ লক্ষ সৌরশক্তি চালিত জলের পাম্প তৈরি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা
· ভারতের বেশিরভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
· মূল্যযুক্ত কর ক্ষেত্রে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের অংশ অ-কৃষি ক্ষেত্রের বৃদ্ধির তুলনায় কমেছে।
· ২০১৯-২০’তে গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড কৃষি, অরণ্য ও মৎস্য চাষ ক্ষেত্রে ২.৮ শতাংশ হারে বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
· কৃষি ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার কম হওয়ায় কৃষি উৎপাদন কম। ভারতের তুলনায় চীন ও ব্রাজিলে কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশি।
· ভারতে কৃষি ঋণ পার্বত্য অঞ্চল, উত্তর ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে খুব কম।
· বহু গ্রামীণ পরিবারের বিকল্প আয় হয় পশু পালন থেকে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গত পাঁচ বছরে পশুপালন ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ঘটেছে ৭.৯ শতাংশ হারে।
· ২০১৭-১৮ এবং তার পূর্ববর্তী পাঁচ বছরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই শিল্পে গড় বার্ষিক উন্নয়ন হার প্রায় ৫.০৬ শতাংশ।
· জনগণের মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে দীর্ঘকালীন খাদ্য নিরাপত্তার ওপর। এর জন্য ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি ছাড়াও জিনিসপত্রের দাম পর্যালোচনা করার কথা বলা হয়েছে।
শিল্প ও পরিকাঠামো
· শিল্পোৎপাদন সূচক অনুযায়ী, ২০১৯-২০’র এপ্রিল থেকে নভেম্বর শিল্প ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়েছে ০.৬ শতাংশ। ২০১৮-১৯ – এর এপ্রিল – নভেম্বরে এই হার ছিল ৫ শতাংশ।
· সার ক্ষেত্রে ২০১৯-২০’র এপ্রিল – নভেম্বরে বৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ – এর এপ্রিল-নভেম্বরে ঐ হার ছিল -১.৩ শতাংশ।
· ইস্পাত ক্ষেত্রে ২০১৯-২০’র এপ্রিল-নভেম্বরে বৃদ্ধি হয়েছে ৫.২ শতাংশ হারে। ২০১৮-১৯ – এর এপ্রিল – নভেম্বরে ঐ হার ছিল ৩.৬ শতাংশ।
· ২০১৯ – এর ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে টেলিফোন সংযোগের সংখ্যা ১১৯ কোটি ৪৩ লক্ষ ছুঁয়েছে।
· ২০১৯ – এর ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্ষমতা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৬০ মেগাওয়াট। ২০১৯ সালের ৩১শে মার্চ এর পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ১০০ মেগাওয়াট।
· ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন নিয়ে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ২০২০ থেকে ২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ১০২ লক্ষ কোটি লগ্নির কথা বলা হয়েছে।
পরিষেবা ক্ষেত্র
· ভারতের অর্থনীতিতে পরিষেবা ক্ষেত্রের গুরুত্ব বাড়ছে। সম্পূর্ণ অর্থনীতির ৫৫ শতাংশই পরিষেবা ক্ষেত্রের। ভারতে মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের দুই-তৃতীয়াংশই হয় পরিষেবা ক্ষেত্রে। মোট রপ্তানির ৩৮ শতাংশই পরিষেবা শিল্পের জন্য। পরিষেবা ক্ষেত্রে মোট মূল্যযুক্তির বৃদ্ধি ২০১৯-২০’তে কিছু পরিমার্জনা করা হয়েছে কিছু তথ্যের ভিত্তিতে। তবে, আশার কথা ২০১৯-২০’র গোড়ায় পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ উত্থানের সাক্ষী হয়েছে। ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৫টি থেকে মোট মূল্য যুক্তির ৫০ শতাংশ আদায় হয়।
সামাজিক পরিকাঠামো, কর্মসংস্থান, মানবোন্নয়ন
· স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য সামাজিক পরিষেবা ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি যা ব্যয় করে, জিডিপি-র পরিপ্রেক্ষিতে তার অনুপাত ২০১৪-১৫’য় ৬.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯-২০’তে ৭.৭ শতাংশ হয়েছে।
· মানবোন্নয়ন সূচকে ভারতের স্থান ২০১৭’য় ১৩০ থেকে ২০১৮’য় হয়েছে ১২৯।
· ভারতে মানবোন্নয়ন সূচক বৃদ্ধির গড় বার্ষিক হার ১.৩৪ শতাংশ। বিশ্বের দ্রুততম উন্নতিকারী দেশগুলির অন্যতম ভারত।
· মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে নথিভুক্তির অনুপাত আরও উন্নত করা প্রয়োজন।
· নিয়মিত মজুরি বা বেতনপ্রাপ্ত কর্মচারীর সংখ্যা ৫ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বেড়ে ২০১৭-১৮’য় হয়েছে ২৩ শতাংশ। ২০১১-১২’য় এটি ছিল ১৮ শতাংশ।
· নতুন কর্মসংস্থানের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে প্রায় ২ কোটি ৬২ লক্ষ। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ১ কোটি ২১ লক্ষ এবং শহর এলাকায় ১ কোটি ৩৯ লক্ষ।
· অর্থনীতিতে নিয়মমাফিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ২০১১-১২’য় ছিল ৮ শতাংশ, তা ২০১৭-১৮’য় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৮ শতাংশ।
· গ্রামীণ এলাকায় মহিলা শ্রমিকদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় ভারতের শ্রম বাজারে লিঙ্গ বৈষম্য বেড়েছে।
· উৎপাদনশীল বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বয়স্ক মানুষের ৬০ শতাংশই গৃহকর্মে পুরোপুরি নিয়োজিত।
· আয়ুষ্মান ভারত এবং মিশন ইন্দ্রধনুষের মাধ্যমে দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা নেওয়ার সুযোগের পরিধি বেড়েছে।
· মিশন ইন্দ্রধনুষে দেশের ৬৮০টি জেলায় ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ শিশু এবং ৮৭ লক্ষ ১৮ হাজার গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ করা হয়েছে।
· গ্রামে ৭৬.৭ শতাংশ বাড়ি এবং শহরে ৯৬ শতাংশ বাড়ি পাকা।
· ১০ বছরে গ্রামীণ পরিচ্ছন্নতার রণকৌশল (২০১৯-২৯) – এর সূচনা হয়েছে পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যবহারিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে। কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবহিত করাও এর লক্ষ্য।
CG/AP/SB
(Release ID: 1601386)
Visitor Counter : 6734