পর্যটনমন্ত্রক
পর্যটন মন্ত্রকের ২০১৯ – এর বর্ষশেষ পর্যালোচনা
Posted On:
06 JAN 2020 6:35PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৩ জানুয়ারি, ২০২০
পর্যটনের উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে পর্যটন দপ্তর প্রয়োজনীয় নীতি রূপায়ণে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন, বিদেশি মুদ্রা অর্জন, প্রতিটি স্তরে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ এই ক্ষেত্র থেকে হওয়া সম্ভব। এই কারণে পর্যটন মন্ত্রক বিভিন্ন মন্ত্রক, সংস্থা, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন এবং বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করে থাকে। মন্ত্রক ২০১৯ সালে ই-ভিসার মূল্য হ্রাস, হোটেল ভাড়ার জিএসটি কমানো, দেশের ১২০টি পর্বতশৃঙ্গ আরোহনের সুযোগ সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া, স্বদেশ দর্শন ও প্রসাদ - এর মতো বিভিন্ন প্রকল্প ও ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর মতো কর্মসূচিকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা হচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভ্রমণ ও পর্যটন প্রতিযোগিতার সূচকে ২০১৯ সালে ভারতের স্থান ছিল ৩৪। ২০১৩ সালে এর স্থান ছিল ৬৫। গত বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ৯৩,৬৬,৪৭৮ বিদেশি পর্যটক এদেশে এসেছেন। এই সময়কালে ২৫,৫১,২১১ জন পর্যটক ই-ট্যুরিস্ট ভিসার সুযোগ গ্রহণ করেছেন। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের ভারত ভ্রমণের ফলে ১,৮৮,৩৬৪ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা আয় হয়েছে। স্বদেশ দর্শন যোজনার আওতায় ৭৭টি প্রকল্পের জন্য ৬০৩৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রসাদ যোজনার আওতায় তীর্থস্থানগুলির পর্যটনের জন্য ২৮টি প্রকল্পকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮০ কোটি ২ লক্ষ টাকা। ঐতিহ্যশালী স্থানগুলিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে মন্ত্রক ২৭টি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে। ‘ঐতিহ্যকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ : আপনি ধারোহার, আপনি পেহচান’ যোজনার আওতায় বিভিন্ন সংস্থা ঐতিহ্যশালী স্থানগুলির উন্নয়ন ঘটাতে পারে। ই-ট্যুরিস্ট ভিসা, ই-বিজনেস ভিসা, ই-মেডিকেল ভিসা এবং ই-মেডিকেল অ্যাটেনডেন্ট ভিসার সুযোগ ২৮টি বিমানবন্দর ও ৫টি বন্দরে ১৬৯টি দেশের পর্যটকরা পেয়ে থাকেন।
সরকার ই-ভিসায় মাশুলের পরিমাণ হ্রাস করেছে। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে যেসব পর্যটকরা এদেশে ৩০ দিন থাকবেন, তাঁদের দিতে হবে ১০ মার্কিন ডলার। জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ৩০ দিন থাকতে হলে ২৫ মার্কিন ডলার দিতে হবে। কেউ যদি এক বছর থাকতে চান, তা হলে ৪০ মার্কিন ডলার এবং ৫ বছর থাকতে হলে ৮০ মার্কিন ডলার দিতে হবে। পর্যটকদের হোটেল ভাড়া বাবদ প্রতিদিন ১ হাজার ১ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হলে জিএসটি বাবদ ১২ শতাংশ কর দিতে হবে। ৭ হাজার ৫০১ টাকার ওপরে এই করের পরিমাণ ১৮ শতাংশ। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে পর্যটন মন্ত্রক ‘ভারত পর্ব’ – এর আয়োজন করেছে। ২১শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বেঙ্গালুরুর লালবাগে মেগা ফ্যাম ট্যুর – এর আয়োজন করা হয়েছিল। যোগ দিবস উপলক্ষে পর্যটন ক্ষেত্র সরকারি আধিকারিক, পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ৬৯টি জায়গায় আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। মন্ত্রক আয়োজিত নতুন দিল্লির অশোক হোটেলে ২০শে আগস্ট রাজ্য পর্যটন মন্ত্রীদের সম্মেলনে ১৮টি রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী এবং রাজ্য পর্যটন দপ্তরগুলির প্রবীণ আধিকারিকরা যোগ দেন। পর্যটন মন্ত্রক অতুল্য ভারত পর্যটক সহায়ক শংসাপত্র (আইআইটিএফসি) কর্মসূচির সূচনা করেছে। এর ফলে, পর্যটকদের সহায়তার জন্য দক্ষ কর্মী পাওয়া সম্ভব।
লাদাখের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখতে ২০১৯ সালের ৩ থেকে ৬ই সেপ্টেম্বর পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রবীণ আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল ঐ অঞ্চলে সফর করেন। ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশনস্ ইন ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি আয়োজিত ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট মার্ট ২০১৯ নতুন দিল্লিতে ২৩ – ২৫শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ৫১টি দেশের ২৪০ জন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি এতে যোগদান করেন।
মন্ত্রক নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ২৭শে সেপ্টেম্বর পর্যটনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রাখার জন্য জাতীয় পর্যটন পুরস্কার ২০১৭ – ১৮ প্রদান করে। মোট ৭৬টি পুরস্কার ঐ অনুষ্ঠানে দেওয়া হয়। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় পর্যটন সংগঠন ‘ফাইন্ড দ্য ইনক্রেডিবল ইউ’ বিজ্ঞাপনের জন্য মন্ত্রককে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। দোসরা থেকে ১৩ই অক্টোবর জাতীয় স্তরে মন্ত্রক পর্যটন পর্ব উদযাপন করেছে। এবারের এই উৎসবের মূল ভাবনা ছিল মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ।
পর্যটন মন্ত্রক মণিপুর সরকারের সহযোগিতায় ইম্ফলে ২৩ থেকে ২৮শে নভেম্বর অষ্টম আন্তর্জাতিক পর্যটন মার্ট – এর আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে ১৮টি দেশের ৩৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭৯ জন পর্যটন ব্যবসায়ী এবং দেশের অন্যান্য প্রান্তে ৩২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এখানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
CG/CB/SB
(Release ID: 1598562)
Visitor Counter : 912