অসামরিকবিমানপরিবহণমন্ত্রক

উড়ান আরসিএস প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ যাত্রী সওয়ার হয়েছেন

Posted On: 06 JAN 2020 12:48PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

 

 

     ২০১৯এর পয়লা জানুয়ারি থেকে ২০১৯এর ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত উড়ান (উড়ে দেশ কা আম নাগরিক) আরসিএস (রিজিওনাল কানেক্টটিভিটি স্কিম)-এর আওতায় ১৩৪টি রুট চালু করা হয়েছে। গত বছরের ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ১০টি বিমানবন্দরের কাজ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে বিমান চলচলের জন্য ৪টি বিমানবন্দরকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ৬টি বিমানবন্দরকে এখনও ব্যবহার করা হয়নি। ৪টি বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের যে কাজ শুরু হয়েছে সেগুলি হল- লীলাবাড়ি, বেলগাঁও, পাটনাগড় এবং দূর্গাপুর। যে ৬টি বিমানবন্দরে এখনও বিমান চলাচলের কাজ শুরু হয়নি, সেগুলি হল কুলু, কালবর্গি, কান্নাড়, ডিমাপুর, হিন্দোন এবং পিথরাগড়।

     গত বছর ৩৩টি বিমানবন্দরের মাধ্যমে ৩৩৫টি রুটে বিমান চলাচলের কাজ শুরু হয়েছে। আরসিএস উড়ান প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ লক্ষ ৭৪ হাজার যাত্রী বিমানে সওয়ার হয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলির সঙ্গে বড় শহরের ছোট বিমানবন্দরগুলির সংযোগ স্হাপন সম্ভব হয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের পর্যটন, চিকিৎসা এবং ধর্মীয় ব্যাপারে যাতায়াতের সময় কমেছে। ২০১৯এর এপ্রিল থেকে নতুন এবং অতিরিক্ত বিমানবন্দরগুলির উন্নয়নে ৩০৪.৪৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

     ২০১৯এর জুন মাসে নতুন দিল্লীর বসন্তকুঞ্জে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিগত নতুন বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালন ব্যবস্হা (এটিএফএম-সিসি)চালু করা হয়েছে। এই সেন্ট্রাল কম্যান্ড সেন্টারএর নতুন ব্যবস্হাপনা গত বছর ২২ জুন চালু করা হয়েছে। ফ্লো ম্যানেজমেন্ট পজিশন (এফএমপিএস)এর মাধ্যমে এবং সেন্ট্রাল কম্যান্ড সেন্টারের সাহায্যে ৮টি প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত বিমানবন্দর সহ গুরুত্বপূর্ণ ৩৬টি বিমানবন্দরে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই এটিএফএম ব্যবস্হাপনা মূলত বিমানবন্দরে নিরাপদে বিমানের ওঠানামা এবং মাঝ আকাশে বিমান চলাচলের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

     ২০১৯এর মে মাসে বোয়িং এবং ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমান চলাচল, নজরদারি, বিমান ওঠানামার ব্যবস্হাপনা এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে  প্রযুক্তিগত সাহায্যের ব্যাপারে ১০ বছরের জন্য চুক্তি করে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বিমান চলাচল ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল এয়ারস্পেস সিস্টেম (এনএএস)-এর আধুনিকীকরণের জন্য ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই চুক্তি করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী এই প্রকল্পে ১৮ মাসের জন্য আমেরিকার ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি আর্থিক সাহায্য দেবে। এছাড়াও ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমান পরিচালন ব্যবস্হাপনার জন্য একটি প্রযুক্তিগত কার্যকরী দল তৈরি করেছে। এই দলে বিমানবন্দর অপারেটর, ডিজিসিএ, ভারতীয় বায়ুসেনা, ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর এবং ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যরা রয়েছেন। এই দলটি বোয়িং-এর বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে একসাথে কাজ করছে।

     ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আমেদাবাদ, জয়পুর, গুয়াহাটি, তিরুবনন্তপুরম, লক্ষ্মৌ এবং ম্যাঙ্গালুরু এই ৬টি বিমানবন্দর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে লীজ দেওয়া হয়েছে।

     ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের টেলি যোগাযোগ পরিকাঠামো ব্যবস্হাপনা উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরজন্য আমেরিকার একটি সংস্হার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। ৯৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সংস্হাটি ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের টেলি যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিল্ড ওন অপারেট (বিওও)মডেল তৈরি করবে। এই মডেল ভারতের বিমান চলাচল পরিচালন ক্ষেত্রে টেলি যোগাযোগ নেটওয়ার্কে মানোন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং পরিচালন ব্যবস্হার উন্নয়নে কাজে লাগবে।

     ডিজিসিএ-র কার্মক্ষমতা এবং পদ্ধতিগত বিষয়ের উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দ্রুত পরিষেবা পাওয়ার জন্য ইজিসিএ অনলাইন ব্যবস্হাপনা চালু করা হয়েছে।

          অসামরিক ক্ষেত্রে ড্রোন উড়ানোর জন্য ডিজি স্কাই অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে।

     অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের কাজকর্মে গতি আনতে এবং ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মন্ত্রক ই স্বরাজ অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে।

     ব্যাঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিযাত্রা ব্যবস্হাপনা চালু করা হয়েছে। বিমানবন্দরে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির কাজে লাগিয়ে যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন তারজন্য এই ব্যবস্হা চালু করা হয়েছে। এতে যাত্রীদের বিমানবন্দরে বেশিক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হবেনা। এমনকি তাঁরা ই-গেট ব্যবহার করেই যাতায়াত করতে পারবেন। চেক পয়েন্টেও যাত্রীদের অপেক্ষার সময় কমবে।

     অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক গত বছর ১৭ই আগস্ট তার ড্যাশবোর্ডের আধুনিকীকরণ করেছে। এরফলে আরসিএস উড়ান প্রকল্প সহ বিমান চলাচলের সমস্ত তথ্য যথাসময়ে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এমনকি এই ড্যাশবোর্ডের ইউনিক ওয়েব বেস্ড পোর্টালের মাধ্যমে ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রে কর্মসংস্হানের তথ্যও পাচ্ছেন কর্মপ্রার্থীরা।

     অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক বিমানযাত্রীদের বিভিন্ন রকমের অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য এয়ার সেবা ব্যবস্হাপনা চালু করেছে। এরফলে যাত্রীরা বিভিন্ন অভিযোগ অনলাইনে জমা করতে পারবেন। এমনকি সেই তথ্য সোসাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেন।

     একইসঙ্গে মন্ত্রক বিমান যাত্রীদের জন্য অনলাইন লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড পোর্টাল ব্যবস্হা চালু করেছে গতবছর জুন মাসে। এই পোর্টালটি হল https://www.aai.aero/en/lost-found/item-listএখানে অনলাইনের মাধ্যমে যাত্রীরা তাদের সামগ্রী হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

     ইন্দিরা গান্ধী আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে দিল্লীর এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস কলপ্লেক্সে দেশের মধ্যে সবথেকে বৃহত্তম এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে এই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের উদ্বোধন করা হয়।

     উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হিন্দোন এবং কর্ণাটকের কালবর্গিতে নতুন বিমানবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বিমান ওঠানামার কাজ শুরু হয়েছে।

জেট এয়ারওয়েজের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও এইক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। জেট এয়ারওয়েজের বিমান চলাচল পরিষেবা যখন চালু ছিল তখন দেশে গুরুত্বপূর্ণ বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্হাগুলির বিমান চলাচলের সংখ্যা ছিল মোট ৬২৪। জেট এয়ারওয়েজ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পর তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৫২৯এ।

২০০৮ সালে এয়ারপোর্ট ইকোনমিক রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া আইনে এখন পরিবর্তন করা হয়েছে। বিমানে যাত্রী ভাড়ার সঙ্গে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ফি-র সংযুক্তি বিষয়টি বিচার-বিবেচনার মধ্যে রাখা হয়েছে।

বিমানযাত্রার সময় যাত্রীরা যাতে ওয়াই-ফাই সংযোগ পেতে পারেন তারজন্য উপযুক্ত ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধ করার ক্ষেত্রে ভারতীয় বিমাবন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে ৮৫টি বিমানবন্দরকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ইউনিভার্সাল সেফটি অডিট ওভারসাইট প্রোগ্রাম এবং কো-অর্ডিনেট ভ্যালিডেশন মিশনের আওতায় আইসিএও অডিটের পর অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক দেশে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি ১৯৩৭এ এয়ার ট্রাফিক আইনের সংশোধন করা হয়েছে ২০১৮ সালের ৫ই নভেম্বর। এই সংশোধনের মাধ্যমে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়েছে।

 

 

CG/SS/NS



(Release ID: 1598499) Visitor Counter : 93


Read this release in: English