বস্ত্রমন্ত্রক

বস্ত্র মন্ত্রকের ২০১৯-এর বর্ষ পরিক্রমা

Posted On: 01 JAN 2020 9:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০১ জানুয়ারী, ২০১৯

 

 

    কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রক বিশ্ব কার্পাস দিবস উপলক্ষ্যে জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন ডাব্লুটিও-তে ৭ থেকে ১১ই অক্টোবর আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন (ফাও), বাণিজ্য উন্নয়ন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংগঠন (ইউএনসিটিএডি), আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র (আইটিসি),আন্তর্জাতিক তুলো উপদেষ্টা কমিটি (আইসিএসি-র যৌথ উদ্যোগে ডাব্লুটিও এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী শ্রীমতি স্মৃতি জুবিন ইরানী-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির প্রধানরা এই অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন। তুলোর উৎপাদন, রূপান্তর, বাণিজ্য ও ব্যবহার-সহ বিশ্বজুড়ে তুলো অর্থনীতির ওপর নানা আলোচনা হয়।

    ২০১১-১৮ সালে ভারত তুলো সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তার আওতায় বেনিন, বুরকিনা ফাসো, মালি, চাদ, উগান্ডা, মালাউই এবং নাইজেরিয়াকে ২৮ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থ সহায়তা জুগিয়েছে। জেনিভায় বস্ত্রমন্ত্রী জানান, এই কারিগরি সহায়তার দ্বিতীয় পর্বে ৫ বছর ধরে আফ্রিকার এই দেশগুলির সঙ্গে আরও পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বর্তমানে তুলো সারা পৃথিবীতে উৎপাদিত হয়। ১ টন তুলো থেকে গোটা বছরে গড়পরতা হিসেবে পাঁচ জনের কর্মসংস্হানের সুযোগ তৈরি হয়। শুষ্ক আবহাওয়াতেও তুলো উৎপাদন সম্ভব। সারা বিশ্বের ২৭ শতাংশ বস্ত্র বয়ন শিল্পে ব্যবহৃত তুলো পৃথিবীর ২.১ শতাংশ আবাদযোগ্য জমিতে উৎপাদিত হয়। এছাড়া, ভোজ্য তেল এবং পশুপাখিদের খাওয়ার জন্য তুলো ব্যবহৃত হয়।

    পশমিনা শালের প্রসার

    কেন্দ্র পশমিনা শাল-সহ তাঁতজাত সমস্ত সামগ্রীর সহজে বাজারজাত করার লক্ষ্যে হ্যান্ডলুম মার্কেটিং অ্যাসিসটেন্স প্রকল্প শুরু করেছে। ন্যাশনাল হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় এই প্রকল্পে ২০১৬-১৭ সাল থেকে মোট ৬৭৮টি বিপণনযোগ্য প্রদর্শনির আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে তন্তুবায়রা তাঁদের সামগ্রী বিক্রি করতে পেরেছেন। ভারতীয় মানক ব্যুরো পশমিনা সামগ্রীর শুদ্ধতা সংক্রান্ত শংসাপত্র আগস্ট মাস থেকে চালু করেছে। এরফলে লাদাখ অঞ্চলে সঠিক পশমিনা সামগ্রীর উৎপাদকরা লাভবান হবেন।

 

ভারতে প্রযুক্তিগত বস্তশিল্প

কৃষি, চিকিৎসা, ভূ-বিজ্ঞান, রক্ষণাবেক্ষণ, ক্রীড়া-সহ বিভিন্ন শিল্পে যেসব বিশেষ ধরণের কাপড় ব্যবহৃত হয় সেগুলি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। এছাড়া, সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাকে ব্যবহৃত কাপড় এবং মহাসড়ক, রেল, বন্দর ও বিমানবন্দরে ব্যবহৃত নানা ধরণের কাপড়ের উৎপাদন শিল্পে ভারতের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে ১০টি কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রক/দপ্তরে ৯২ রকমের বস্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতীয় মানক ব্যুরো ৩৪৮ রকমের প্রযুক্তিগত কাপড়ের মান নির্ধারণ করেছে।

২০১৫ সালে প্রযুক্তিগত বস্ত্রশিল্পের সম্ভাবনার বিষয়ে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছিল ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে এই শিল্পের বাজার হবে ১,১৬,২১৭ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে এই পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ২ লক্ষ কোটি টাকা।

 

উত্তর পূর্বাঞ্চলে কৃষিকাজে ব্যবহৃত কাপড়ের প্রকল্প

উত্তরপূর্ব ভারতে কৃষিকাজের জন্য কাপড় ব্যবহার করার ফলে ওই অঞ্চলে কৃষকের আয় ৬৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫ শতাংশ হয়েছে। এরফলে, জলের ব্যবহার ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং পাখি ও শিলাবৃষ্টির থেকে ফসলের ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।

বর্তমানে, দেশে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (এনআইএফটি)-র ১৬টি ক্যাম্পাস রয়েছে। হরিয়ানার পাঁচকুলা এবং ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে আরও নতুন দুটি ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। বস্ত্রবয়ন শিল্পে চাহিদা বৃদ্ধির জন্য শিলং ও ভূপালে এনআইএফটি-র ক্যাম্পাসে স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রম চালু করা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক মানের বস্ত্রবয়ন শিল্পের ইউনিট খোলার লক্ষ্যে সুসংহত বস্ত্রবয়ন পার্ক (এসআইটিপি)র পরিকল্পনা করা হয়। সরকার এই প্রকল্পে ৪০ শতাংশ তহবিল যোগাবে। তবে, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মনিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড এবং জম্ম-কাশ্মীরে এই ধরণের পার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রথম দুটি প্রকল্পে সরকার ৯০ শতাংশ সাহায্য দেবে। বস্ত্র মন্ত্রক ৫৯টি পার্কের অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে ২২টি বস্ত্র পার্ক তৈরি করা হয়ে গেছে। বাকিগুলির নির্মাণ কাজ চলছে।

 

বস্ত্রশিল্প ক্ষমতা বৃদ্ধি

সরকার বস্ত্রশিল্প দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমর্থ প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের মধ্যে ১৩০০ কোটি টাকার সংস্হান রাখা হয়েছে, যার আওতায় ১০ লক্ষ মানুষ প্রশিক্ষিত হবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মন্ত্রক ১৮টি রাজ্যে সংগঠিত ও প্রথাগত ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। এই কাজে কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদ, ডেভেলপমেন্ট কমিশনার অফ হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট, ডেভেলপমেন্ট কমিশনার অফ হ্যান্ডলুম, জাতীয় পাট পর্ষদের সহায়তা নেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রূপায়ণের প্রতিটি স্তর ওয়েব-ভিত্তিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের নজরদারিতে করা হবে।

রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন করের ছাড়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৬ই মার্চ একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল।

 

পাওয়ারটেক্স ইন্ডিয়া

পাওয়ারটেক্স ইন্ডিয়ার আওতায় ৪৭৯৭টি তাঁতের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ৪৪ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গোষ্ঠীবদ্ধ কাজের জন্য ১৪১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে মঞ্জুর করা হয়েছে। ইয়ার্ন ব্যাঙ্ক প্রকল্প অনুযায়ী আটটি প্রকল্পের আঁশ সংগ্রহ করার জন্য ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১২টি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এক্ষেত্রে বস্ত্র মন্ত্রক ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে।

রেশম উপাদন বৃদ্ধি

রেশম শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে সুসংহত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে পাঁচটি প্রযুক্তিগত কর্মসূচির জন্য পেটেন্ট নেওয়া হয়েছে, ৫০টি গবেষণামূলক কাজ করা হয়েছে। ১৩,৮৮৫ জনকে কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কাঁচা রেশমের উৎপাদন ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৫,৪৬৮ মেট্রিক টন। রেশমের উৎপাকদের বিভিন্ন চাহিদার কথা মনে রেখে তাদের স্বার্থে মন্ত্রক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদ সিল্ক সমগ্র এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য ৩৮টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে রেশম চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন। মালবেরি প্রজাতির রেশমের চাষ ৩২,৫৫২ একর জমিতে হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেশের মোট রেশম উৎপাদনের ২২ শতাংশ উত্তর পূর্বাঞ্চলে হচ্ছে। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রাম কর্ম নিশ্চয়তা আইন, রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদ এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার রেশম চাষে অতিরিক্ত অর্থের যোগান দিচ্ছে।

 

পাট ও পাটবস্ত্র শিল্প

দেশের অর্থনীতিতে পাট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলে চটশিল্প প্রথম সারির একটি শিল্প। স্বর্ণ তন্তু অর্থাৎ পাট থেকে প্রাকৃতিক, পুনর্নবীকরণযোগ্য, পরিবেশবান্ধব সামগ্রী উপাদিত হয়। চটশিল্পে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্হান হয়। ৪০ লক্ষ মানুষ এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। চটশিল্পের উন্নয়নে পাট-চাষিদের জন্য ইনপ্রুভড কাল্টিভেশন অ্যান্ড অ্যাডভান্স রেটিং এক্সারসাইজ (আইসিএআরই)-এর মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় চাষ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাট কলগুলির নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ইনসেনটিভ স্কিম ফর অ্যাকুইজেশন অফ সিলেক্ট মেশিনারি চালু করা হয়েছে। চটশিল্পের কর্মচারীদের কল্যাণের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

সুসংহত তন্তু উন্নয়ন কর্মসূচি

সুসংহত তন্তু উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সরকার পাঁচ বছরে ১৫ হাজার বৃহৎ তন্তু ক্লাস্টার গঠন করার লক্ষ্য ধার্য করেছে। প্রতিটি ক্লাস্টারে কেন্দ্র ৪০ কোটি টাকা দেবে। এই অর্থ দিয়ে কাঁচামাল কেনার পাশাপাশি, তাঁতে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী, আসামের শিবসাগর, তামিলনাড়ুর বিরুধুনগর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম ও গুন্টুর, ঝাড়খন্ডের গোড্ডা ও সংলগ্ন জেলাসমূহ, বিহারের ভাগলপুর এবং তামিলনাড়ুর ত্রিচিতে আটটি মেগা ক্লাস্টারের উন্নয়নের কাজ চলছে। মুদ্রা যোজনার আওতায় ৩৫,৯৫২ জন তাঁতিকে ১৮১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। হাতকারঘা সম্বর্ধন সহায়তার আওতায় ৭ হাজার ৪১৭টি সামগ্রী ৭ হাজার ২৮৫ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে বন্টন করা হয়েছে। ৩৪টি উচ্চাকাঙ্খী জেলার জন্য ৩৮ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশজুড়ে হস্তকলা সহযোগ শিবিরের মাধ্যমে শিল্পী এবং তন্তুবায়দের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা হচ্ছে।  

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ২৯ লক্ষ ৯৩ হাজার গাঁট তুলো আমদানি করা হয়েছে। কলকাতার কর্মাশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্সের মহানির্দেশকের দপ্তর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায় কটন অ্যাডভাইজারি বোর্ডের কাছ থেকে।

প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা এবং মহাত্মা গান্ধী বাঙ্কার বিমা যোজনার আওতায় তন্তুবায়দের জীবনবিমা এবং দুর্ঘটনা বিমার ব্যবস্হা করা হয়েছে।

তন্তুবায় এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষার জন্য বস্ত্র মন্ত্রক ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (ইগনু) এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ অপেন স্কুলিং (এনআইওএস)-এর সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে। দূরশিক্ষার মাধ্যমে তন্তুবায়দের নকশা বাজারজাত করার প্রক্রিয়া, ব্যবসা উন্নয়নের মতো বিষয় এনআইওএস মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে এবং উচ্চশক্ষার জন্য ইগনু সহায়তা করছে। তপশীলি জাতি, উপজাতি, দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী এবং মহিলাদের জন্য এই কোর্সগুলিতে ভর্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ বস্ত্রমন্ত্রক বহন করে।

 

তন্তুবায়দের উন্নতিকরণ

তন্তুবায়দের উন্নতিকরণের লক্ষ্যে মুদ্রা লোন যোজনার আওতায় তিন বছরের মেয়াদকালে ৬ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তন্তুবায়রা ঋণ পেতে পারেন। ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা না অতিক্রম করলে ২০ শতাংশ ঋণের ব্যবস্হা করা হয়। শিল্পগুরু পুরস্কার, জাতীয় পুরস্কার, জাতীয় মেধা শংসাপত্র প্রাপক এবং রাজ্যস্তরে নানা পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে যাদের বয়স ৬০-এর ওপরে এবং বার্ষিক রোজগার ৫০ হাজার টাকার কম তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।

    আম্বেদকর হস্তশিল্প বিকাশ যোজনার আওতায় উত্তরপ্রদেশের শিল্পীদের জন্য সরকার ক্লাস্টার উন্নয়নের কাজ করছে। উত্তরপ্রদেশে গত তিন বছরে ৬২টি ক্লাস্টার থেকে ৩১ হাজার শিল্পী উপকৃত হচ্ছেন। ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেহচান প্রকল্পের আওতায় ২৩ লক্ষ ৬৮ হাজার শিল্পীর হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। ৭ হাজার ৬০০ শিল্পীর উন্নয়নের লক্ষ্যে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রস্তাব করেছে। ১২,০৭৫ জন শিল্পীর সুবিধার্থে ৬৩টি আন্তর্দেশীয় ও ৫৪টি আন্তর্জাতিক বাজারজাত করার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

 

 

SSS/CB /NS


(Release ID: 1598217) Visitor Counter : 300


Read this release in: English