তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক

আইএফএফআই-এর ভারতীয় প্যানোরামা বিভাগের উদ্বোধনী ছবিগুলির নির্দেশক ও কলাকুশলীদের সংবাদিক সম্মেলন

Posted On: 22 NOV 2019 4:18PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

 

 

 

‘হিল্লারো’ ছবিতে গুজরাটি নৃত্য গারবার মধ্য দিয়ে মহিলাদের নিজ-সত্ত্বা ও মুক্ত মানসিকতার নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। গোয়ায় ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফআই) ভারতীয় প্যানোরামা কাহিনীচিত্র বিভাগে উদ্বোধনী ছবিগুলির মধ্যে ‘হিল্লারো’ জায়গা করে নিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ছবির নির্দেশক অভিষেক শাহ তাঁর জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই ছবিটি সম্পর্কে বলেন, ১৯৭৫-এর প্রেক্ষাপটকে স্মরণে রেখে ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে তরুণী মঞ্জরির বিবাহ হয় কচ্ছের রণের এক ছোট গ্রামে। এই গ্রামে মঞ্জরির একদল মহিলার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। মহিলাদের এই দলটি প্রতিদিন সকালে দূরবর্তী জলাধার থেকে বহু পথ পেরিয়ে জল নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। একদিন জল আনার পথে তাঁরা মরুভূমির মাঝখানে এমন একজনের দেখা পান, যার সাক্ষাতে সবার জীবন চিরকালের মতো পালটে যায়। এই ছবিতে ব্যক্তি বিশেষের হতাশা থেকে নিজস্ব সত্ত্বার প্রকাশের পথে উত্তরণকে তুলে ধরা হয়েছে। ‘হিল্লারো’ প্রথম গুজরাটি ছবি যেটি জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এই ছবির অভিনেতা নিলম পঞ্চল এবং তেজা পঞ্চসারা, ছবির সম্পাদক ও চিত্রনাট্যকার প্রতীক গুপ্তা এবং ছবির নির্মাতা আয়ুষ প্যাটেল উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবের ভারতীয় প্যানরামা বিভাগের অ-কাহিনীচিত্র বিভাগে প্রদর্শিত হবে আশিস পান্ডে পরিচালিত ছবি ‘নুরেহ’। এই ছবি প্রসঙ্গে নির্দেশক বলেছেন, হিংসা ও অশান্তিদীর্ণ এক অঞ্চলে শিশুরা স্বপ্ন দেখে এক শান্তিপূর্ণ ও দ্বন্দ্বহীন পৃথিবীর। কাশ্মীর উপত্যকায় ভারত-পাক সীমান্ত লাগোয়া ছোট্ট গ্রামের শিশুদের স্বপ্নকে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই গ্রামের মানুষ সর্বদাই দুই দেশের গোলা বর্ষণের আবহে জীবন কাটান। একদিন রাত্রিবেলায় আট বছর বয়সী কন্যাশিশু নুরেহ ঘুমের মধ্যে দেখে যে দ্বন্দ্ব ও গোলা-গুলি বর্ষণ আগের মতোই চলছে। পরক্ষণেই চোখ খুললে সে দেখতে পায় এসবই কেমন যেন থেমে গেছে। ছবির দৃশ্যায়ন হয়েছে ভারত-পাক সীমান্ত লাগোয়া কাশ্মীরের ছোট গ্রামে যেখানে শিশুরা অশান্তির মধ্যে বেড়ে ওঠে এবং স্বপ্ন দেখে এক শান্তিপূর্ণ ও উজ্জ্বল বিশ্বের।

 

 

SSS/BD/DM



(Release ID: 1593088) Visitor Counter : 67


Read this release in: English