কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা

২০১৯-এর ‘রিসাইক্লিং অফ শিপ্‌স বিল’ আইনে পরিণত করার এবং হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী সুরক্ষিত এবং পরিবেশ-বান্ধব ‘রিসাইক্লিং অফ শিপ্‌স, ২০০৯’-এ যোগ দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

Posted On: 21 NOV 2019 4:10PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২০নভেম্বর, ২০১৯

 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০১৯-এর ‘রিসাইক্লিং অফ শিপ্‌স বিল,’ আইনে পরিণত করার এবং ২০০৯-এর হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী সুরক্ষিত এবং পরিবেশ-বান্ধব ‘রিসাইক্লিং অফ শিপ্‌স’-এ যোগ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করল।

ক্ষতিকারক পদার্থ ব্যবহার বা তা স্থাপনের নিষেধাজ্ঞা আছে এই বিলে। নতুন জাহাজের ক্ষেত্রে এটি তৎক্ষণাৎ কার্যকর করা হবে, অর্থাৎ যেদিন থেকে আইনটি বলবৎ করা হবে। আর যে জাহাজগুলি চালু রয়েছে সেগুলিকে আইন বলবৎ হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। তবে, যুদ্ধজাহাজ এবং সরকার পরিচালিত অবাণিজ্যিক জাহাজের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। যেখানে জাহাজের পুনর্নবীকরণ হবে, সেটিকে মান্যতাপ্রাপ্ত হতে হবে এবং জাহাজগুলিকে শুধুমাত্র সেইসব জায়গাতেই পুনর্নবীকরণ করা যাবে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই পুনর্নবীকরণ করার সংস্থান রাখা হয়েছে বিলে। ভারতে যেগুলি পুনর্নবীকরণ করা হবে, সেগুলিকে এর জন্য পূর্বে শংসাপত্র নিতে হবে।

ভারত সরকার, ২০১৯-এর ‘রিসাইক্লিং অফ শিপ্‌স, বিল’ আইনে পরিণত করার চিন্তা করে যাতে নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী এই পুনর্নবীকরণ করা হয়। সেজন্য বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া-পদ্ধতিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এও সিদ্ধান্ত হয়, সুরক্ষিত এবং পরিবেশ-বান্ধব জাহাজ পুনর্নবীকরণের জন্য ২০০৯-এর হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশন মেনে চলা হবে। যখন ঐ কনভেনশন বলবৎ হবে, তার সংস্থানগুলি সরকারি বিলের অধীনে রূপায়িত করা হবে এবং সেইমতো বিধি-নিয়মও তৈরি হবে।

জাহাজ পুনর্নবীকরণ শিল্পে ভারত আছে সামনের সারিতে। গোটা বাজারের ৩০ শতাংশই তার দখলে। ২০১৭-য় ৬,৩২৩ টন জাহাজ ভাঙার কাজ করেছিল ভারত। এই শিল্পে কর্মসংস্থান হয় বেশি পরিমাণে কিন্তু পরিবেশ সুরক্ষার দিকটিও ভাবতে হবে শিল্পের তাগিদেই।

 

 

SSS/AP/DM


(Release ID: 1592791) Visitor Counter : 191


Read this release in: English