রেলমন্ত্রক

ভারতীয় রেলের গ্র্যান্ড কর্ড রুটে সর্বাধুনিক ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থার সূচনা

Posted On: 22 OCT 2019 6:27PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২২ অক্টোবর, ২০১৯

 

 

 

ভারতীয় রেলের গ্র্যান্ড কর্ড রুট বা পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম রুটে সর্বাধুনিক ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থার সূচনা হয়েছে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে ট্রেনের গতি যেমন বাড়বে, তেমনই দিল্লি-হাওড়া রুটে সফরের বর্তমান সময় ১৭-১৯ ঘন্টা থেকে কমে প্রায় ১২ ঘন্টায় দাঁড়াবে। হাওড়া-গয়া-দিল্লি এবং হাওড়া-এলাহাবাদ-মুম্বাই রেল নেটওয়ার্ককে গ্র্যান্ড কর্ড রুট হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই দুটি রেল নেটওয়ার্ক পশ্চিমবঙ্গের সীতারামপুর এবং উত্তরপ্রদেশের পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশনের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। ভারতীয় রেলের উত্তর-মধ্য রেলের অন্তর্গত সীতারামপুর থেকে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশনের দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। নতুন দিল্লি-হাওড়া রুটের প্রায় ৫৩ শতাংশ ট্রেন চলাচল এই নেটওয়ার্ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। বর্তমানে নতুন দিল্লি-হাওড়া রুটে ৬৫ বছরের পুরনো যে মেকানিক্যাল সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকর ছিল, তার পরিবর্তে আধুনিক এই ইন্টারলকিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের টুন্ডলা স্টেশনে এই ইন্টারলকিং ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

 

সর্বাধুনিক এই ইন্টারলকিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন কর্মী দিবারাত্রি এক নাগাড়ে কাজ করেছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এবং যাত্রী পরিবহণে ন্যূনতম অসুবিধার সৃষ্টি করে অত্যন্ত জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। টুন্ডলা জংশন নতুন দিল্লি-হাওড়া রুটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। এখানে ট্রেন যাতায়াতের গড় হার ১৬০ শতাংশ যা ক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি। এই রেল পথটি প্রধান রুট হিসেবে আগ্রা ক্যান্টমেন্ট জংশনের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছে। টুন্ডলা স্টেশনে গড়ে ওঠা এই ইন্টারলকিং ব্যবস্থায় ৬১৩টি রুট কম্বিনেশন রয়েছে যা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুরের পর দ্বিতীয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, খড়্গপুরে এ ধরনের ৮০০টি রুট কম্বিনেশন রয়েছে।

 

টুন্ডলা স্টেশনে সর্বাধুনিক এই ইন্টারলকিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে ট্রেনের রুট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বর্তমান ৫-৭ মিনিট সময় কমে ৩০-৬০ সেকেন্ডে দাঁড়াবে। এমনকি, সেন্ট্রালাইজড পাওয়ার কেবিন ব্যবস্থার দরুণ এই স্টেশনে ট্রেন পরিচালনার সংখ্যা দৈনিক ২০০ থেকে বেড়ে ২৫০ হবে। এর ফলে, টুন্ডলায় বাইরে থেকে আসা ট্রেনগুলির সময় সাশ্রয় হবে এবং যাত্রাপথে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় থাকবে। এই স্টেশনে ইয়ার্ড লাইনগুলির দৈর্ঘ্য বাড়ানোর ফলে যাত্রী ও পণ্যবাহী বহু সংখ্যক কামরার ট্রেনগুলিও দাঁড়াতে পারবে এবং তাদের নির্দিষ্ট রুটে পরিচালিত করা সম্ভব হবে। নতুন এই ইন্টারলকিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় টুন্ডলা স্টেশন থেকে প্রস্থানের যে দুটি পৃথক লাইন চালু হয়েছে, তার ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মেডিকেল রিলিফ ট্রেন পরিচালনা করাও সহজ হবে।

 

সর্বাধুনিক এই ইন্টারলকিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় নতুন দিল্লি-হাওড়া মেইন লাইনে চলাচলকারী ট্রেনগুলির সময়ানুবর্তিতা বাড়বে এবং এই ব্যবস্থা রেল নেটওয়ার্কের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে।

 

 

CG/BD/DM


(Release ID: 1588757) Visitor Counter : 89


Read this release in: English