স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
বারাণসীর বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ)-তে ‘গুপ্তবংশক বীর : স্কন্ধগুপ্ত বিক্রমাদিত্য’ শীর্ষক আলোচনাচক্রে ভাষণ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ
Posted On:
17 OCT 2019 4:40PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯
বারাণসীর বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ)-তে ‘গুপ্তবংশক বীর : স্কন্ধগুপ্ত বিক্রমাদিত্য’ শীর্ষক আলোচনাচক্রে ভাষণ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনেন্দ্রনাথ পান্ডে।
শ্রী শাহ বিএইচইউ-র প্রতিষ্ঠাতা শ্রী মদনমোহন মালব্যকে স্মরণ করে বলেন, তাঁর এবং ভারতের উজ্জ্বল সংস্কৃতির ঐতিহ্য এই প্রতিষ্ঠান জীবন্ত করে রেখেছে। সমাজের সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং তার প্রচারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
মৌর্য এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যে ভারতের সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অগ্রগতির উল্লেখ করে শ্রী শাহ ভারতে রাজনৈতিক স্থায়িত্ব আনতে ঐ দুই সাম্রাজ্যের অবদানের কথা স্মরণ করেন। প্রাচীনকালে ভারতকে একসূত্রে বাঁধতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের ভূমিকার উল্লেখ করেন তিনি।
সমুদ্রগুপ্তের সময়টিকে ভারতের স্বর্ণযুগ বলে উল্লেখ করে শ্রী শাহ বলেন, সমুদ্রগুপ্তের সময়ে এই উপমহাদেশ জুড়ে প্রসারিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিল্প স্থাপত্যের থেকে বাণিজ্য, সাহিত্য – প্রতিটি ক্ষেত্রে গুপ্ত সাম্রাজ্যে ভারত সভ্যতার শীর্ষে উঠেছিল। ভারতের সংস্কৃতির শীর্ষে ওঠার ক্ষেত্রে স্কন্ধগুপ্তের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান শ্রী শাহ। হুনদের বিরুদ্ধে স্কন্ধগুপ্তের যুদ্ধ স্মরণ করে তিনি বলেন, স্কন্ধগুপ্ত অন্যতম রাজা যিনি হুনদের পরাজিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্কন্ধগুপ্ত যে শুধু একজন বড় যোদ্ধা ছিলেন তাই নয়, তিনি একজন দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করেছিলেন এবং কাশ্মীর এবং সংলগ্ন অঞ্চলকে মুক্ত করেছিলেন, তবুও তাঁর প্রাপ্য সম্মান স্কন্ধগুপ্তকে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, সেই ভুল সংশোধন করার দায়িত্ব বর্তমান সমাজের। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাস রচনার আহ্বান জানান। তিনি উদাহরণ দেন বীর সাভারকারের, যিনি প্রথম ১৮৫৭-র বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এইভাবেই ভারতের জাতীয়তাবাদী পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে ইতিহাস রচনা করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দর্শন এবং নেতৃত্বে ভারত আরও একবার গোটা বিশ্বে সম্মান ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, এখন ভারত গোটা বিশ্বে বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে স্বীকৃত হচ্ছে।
শ্রী শাহ এই অনুষ্ঠানে স্কন্ধগুপ্ত বিক্রমাদিত্যকে নিয়ে লেখা একটি বই প্রকাশ করেন। তাঁর আশা, বিএইচইউ-র ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছাত্র এবং শিক্ষাবিদরা বহন করে চলবে।
CG/AP/DM
(Release ID: 1588382)
Visitor Counter : 125