প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

নিউইয়র্কে ব্লুমবার্গ বিশ্ব বাণিজ্য ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণ

Posted On: 01 OCT 2019 5:26PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

 

 

 

বন্ধুগণ,

 

বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতির অন্যতম মূল কেন্দ্র নিউইয়র্কে আপনাদের মধ্যে উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ভারতের অনুভূতি ও ভবিষ্যৎ, ভারতের প্রত্যাশা ও ইচ্ছা, ভারতের অগ্রগতির কাহিনী এবং ভবিষ্যৎ দিশা সম্পর্কে আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ব্লুমবার্গ বিশ্ব বাণিজ্য ফোরামের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ আমরা আরও একবার ভারতে সেই একই সরকারকে দেখছি, যে সরকার পাঁচ বছর ধরে মানুষের স্বার্থে কাজ করেছে এবং পুনরায় আরও বেশি সংখ্যাধিক্য নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। আপনারা আলাপ-আলোচনার সময় প্রায়শই ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে কথা বলে থাকেন। ভারতে এবারের নির্বাচনে ১৩০ কোটি ভারতীয় না কেবল তাঁদের ভাবাবেগ প্রকাশ করেছেন, সেই সঙ্গে উন্নয়নই যে তাঁদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, তাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখানে উপস্থিত শিল্পপতিরা উন্নয়নের প্রেক্ষিতে নিশ্চয় সাধারণ মানুষের বিপুল জনাদেশের কথা উপলব্ধি করতে পারছেন। এই জনাদেশ ভারতে নতুন সুযোগ-সুবিধার কথা প্রতিফলিত করে। আজ সাধারণ মানুষ সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানাতে চাইছে যে, এই সরকার দেশে বাণিজ্যিক পরিমণ্ডলের মানোন্নয়নে বড় ও সাহসী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধাবোধ করে না। আজ ভারতে এমন এক সরকার রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্য ও সম্পদ তৈরিকে সম্মান জানায়

 

বন্ধুগণ,

 

আপনাদের স্মরণ রয়েছে যে, দিন কয়েক আগে আমরা দেশে কর্পোরেট কর উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর জন্য এক দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছি। বিনিয়োগের দিক থেকে এ এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের পর বিশ্ব বাণিজ্য জগতের মানুষ, যাঁদের সঙ্গে আমার দেখা ও কথাবার্তা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন। দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার পর্যায়ক্রমে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। আমরা এমন ৫০টি আইন চিরতরে বিলোপ করেছি, যেগুলি উন্নয়নের কাজে বাধা সৃষ্টি করছিল। আমি আরও একবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এই সরকারের কার্যকালের মেয়াদ এখনও তিন – চার মাসের বেশি হয়নি। আজ এই মঞ্চে আমি বলতে চাই যে, এটা সূচনা মাত্র। আমাদের আরও অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। সারা বিশ্বের বাণিজ্য মহলের কাছে  ভারতের সঙ্গে অংশীদার হয়ে এই যাত্রাপথে অগ্রসর হওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ এসেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ ভারত এমন এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে, যেখান থেকে আমাদের দ্রুত অগ্রগতিমূলক প্রচেষ্টাগুলি বিভিন্ন ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আমাদের দেশের মানুষ দ্রুত দারিদ্র্য ও ক্ষুধার কবল থেকে বেরিয়ে আসছেন। অর্থনীতির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে তাঁরা নিজেদের দৈনিক ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছেন। তাই, আপনারা যদি বিনিয়োগ করতে চান, তা হলে ভারতে আসুন, এখানে অনেক বাজার তৈরি হচ্ছে, যার পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। আমাদের বিপুল সংখ্যক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ, যাঁদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে এবং তাঁরা আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করেন। তাই, আপনারা যদি আধুনিক ধারা ও বৈশিষ্ট্য সম্বলিত বাজারে বিনিয়োগ করতে চান, তা হলে ভারতে আসুন। আমাদের যুবরা বিপুল সংখ্যায় আর্থিক লেনদেনের জন্য মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেন। খাবার থেকে পরিবহণ, সিনেমা দেখা থেকে পরিষেবা প্রদান প্রায় সব ক্ষেত্রেই অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেন চলছে। তাই, এ ধরনের স্টার্ট আপ উপযোগী বিরাট বাজারে আপনারা যদি বিনিয়োগ করতে চান – তা হলে ভারতে আসুন। আমাদের পরিকাঠামো ব্যবস্থা অপ্রত্যাশিত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহাসড়ক থেকে মেট্রো পরিষেবা, রেল থেকে বন্দর ব্যবস্থা, বিমানবন্দর থেকে পণ্য পরিষেবা ক্ষেত্র – প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিপুল বিনিয়োগ ও অগ্রগতির ব্যাপক সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই, আপনারা যদি এ ধরনের বৃহৎ পরিকাঠামো ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করতে চান, তা হলে ভারতে আসুন। আমরা দ্রুতগতিতে আমাদের শহরগুলির আধুনিকীকরণ করছি, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সেখানে কাজে লাগাচ্ছি এবং নাগরিক-বান্ধব পরিকাঠামোও গড়ে তুলছি। তাই, শহরাঞ্চলের ক্রমশ সম্প্রসারণ উপযোগী বাতাবরণের সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগ করতে চাইলে, ভারতে আসুন। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে বিনিয়োগের জন্য খুলে দিয়েছি, যা আগে কখনও হয়নি। তাই, আপনারা যদি ভারতে উৎপাদন করে ভারত ও বিশ্বের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চান, তা হলে ভারতে আসুন।

বন্ধুগণ,

 

আজ আমাদের সরকার দেশে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উন্নয়নে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে, তা আগে কখনও হয়নি। আগামী বছরগুলিতে আমরা আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছি। এছাড়াও, ভারতের সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উন্নয়নে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। ভারতের অগ্রগতির যাত্রাপথে ব্যাপক উন্নতি প্রত্যাশাকে বাস্তবে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ভারত এখন ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠার এক উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্য ধার্য করেছে।

 

২০১৪ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন ভারতের অর্থনীতি ছিল ২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের। বিগত পাঁচ বছরে আমরা দেশের অর্থনীতিতে আরও ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার যুক্ত করেছি। এখন আমরা ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠতে কঠোর পরিশ্রম করছি।

 

বন্ধুগণ,

 

অর্থনীতির এই উচ্চাকাঙ্খী প্রত্যাশা পূরণে আমাদের সক্ষমতা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সাহস ও উপযুক্ত পরিবেশ। আজ ভারতের অগ্রগতির যাত্রাপথে যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, তা সারা বিশ্বে দেখতে পাওয়া জটিল। এগুলি হ’ল – গণতন্ত্র, জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্য, চাহিদা এবং দৃঢ় সংকল্প। আমি যদি প্রথম বিষয়টি নিয়ে কথা বলি, তা হলে বলতে হয় যে, ভারতের গণতন্ত্রে এরকম সুযোগ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বহু দশক পর ফিরে এসেছে। গণতন্ত্রে যদি আদর্শ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রত্যাশামূলক নীতি এবং নিরপেক্ষ বিচার-ব্যবস্থা থাকে, তা হলে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্য করা যায়।

 

বন্ধুগণ,

 

ভারতের এই বিরাট অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে, জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্য তথা তরুণ ও প্রাণবন্ত মানুষের প্রয়াসের ফলেই। আজ ভারতে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার বিরাট পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে এবং বিশ্বের অন্যতম গবেষণা ও উন্নয়নমূলক প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়েছে। আজ ভারতের যুবরা উদ্ভাবন ক্ষেত্রে যে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, তার ফলে দেশ, আমেরিকা ও চিনের পর তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

 

বন্ধুগণ,

তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হ’ল – চাহিদা। ভারতের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল হয়ে উঠছেন। এদের ক্রয় ক্ষমতা ক্রমশ বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে চাহিদাও। উদাহরণ-স্বরূপ বলতে পারি, বিগত কয়েক বছরে বিমান যাত্রীর সংখ্যায় অগ্রগতির হার দুই অঙ্কে পৌঁছেছে। এই সমস্ত কারণেই ভারত আজ বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ বাজারে পরিণত হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

গণতন্ত্র, জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্য ও চাহিদার পাশাপাশি, চতুর্থ যে বিষয়টি ভারতকে সারা বিশ্বের কাছে অনন্য করে তুলেছে, তা হল – দৃঢ় সংকল্প গ্রহণের ক্ষমতা। এক বৈচিত্র্যসম্পন্ন ও যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সত্ত্বেও বিগত পাঁচ বছরে আমাদের সরকার সারা দেশ জুড়ে এক সহজ ও সরল, সামগ্রিক ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপ্র জোর দিয়েছে। এক সময় ভারতে একাধিক কর ব্যবস্থা ছিল। এখন জিএসটি নামক এক অভিন্ন পরোক্ষ কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই পরোক্ষ কর ব্যবস্থা দেশের ব্যবসায়িক কাজকর্মের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে।

 

আমরা মেধাস্বত্ত্ব অধিকার এবং ট্রেড মার্ক ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। একইভাবে, দেউলিয়া ঘোষণা ও ঋণ পরিশোধে অক্ষমতার মতো বিষয়গুলির মোকাবিলায় দেউলিয়া ও ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা আইন কার্যকর করা হয়েছে। কর সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন ও ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট সংক্রান্ত কর ব্যবস্থাকে বিশ্ব কর ব্যবস্থার সমতুল করে তুলতে আমাদের প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

 

কর ক্ষেত্রে সংস্কারের পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ কর্মসূচি খুব অল্প সময়ে ভারতে রূপায়িত হয়েছে। বিগত ৪-৫ বছরে ৩৭ কোটি মানুষকে এই প্রত্থমবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আজ ভারতে প্রায় প্রত্যেক নাগরিকের একটি অভিন্ন পরিচিতি, মোবাইল ফোন ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ফলেই সুনির্দিষ্ট মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার হার বেড়েছে। বিভিন্ন পরিষেবায় অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে এবং স্বচ্ছতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

নতুন ভারতে আমরা বি-নিয়ন্ত্রণ, লাইসেন্স বহির্ভূত ব্যবস্থা এবং সমস্যা মুক্ত বাতাবরণ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছি। এ ধরনের সংস্কারমূলক উদ্যোগের ফলেই ভারতের স্থান ক্রমতালিকায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক সূচকে ভারতের স্থান ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে, বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকে ২৪ পয়েন্ট অগ্রগতি হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হ’ল বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ সংক্রান্ত সূচকে ভারত ৬৫ ধাপ উঠে এসেছে। বিভিন্ন ব্যবস্থা ও নীতিতে সংস্কারের দরুণ এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। একাধিক নিয়ম-কানুন শিথিল করা হয়েছে। উদাহরণ-স্বরূপ বলতে পারি, আগে শিল্প সংস্থাগুলির জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে কয়েক বছর লেগে যেত, এখন কয়েক দিনের মধ্যেই এই সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। একইভাবে, একটি সংস্থাকে নথিভুক্ত করতে আগে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেত, এখন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নথিভুক্তিকরণ সম্পন্ন হচ্ছে। বিগত পাঁচ বছরে কি পরিবর্তন হয়েছে, সে সম্পর্কে আমি আপনাদের একটি উদাহরণ দিতে চাই। বিগত পাঁচ বছরে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বিগত ২০ বছরে ভারতে যে পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, এটি তার অর্ধেক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিগত দশকে ভারতে যে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ করেছে, তার অর্ধেক করা হয়েছে বিগত চার বছরেই। ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ এমন সময়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন সারা বিশ্ব জুড়ে বিনিয়োগে মন্দা চলছে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল – প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ৯০ শতাংশই হয়েছে স্বয়ংক্রিয় পথে। ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে গ্রিনফিল্ড ক্ষেত্রে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরার উদ্দেশ্য হ’ল – ভারতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে এবং দীর্ঘ সময় পর তাঁরা বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছেন।

 

বন্ধুগণ,

 

ব্লুমবার্গের নিজস্ব প্রতিবেদনে ভারতের যে পরিবর্তন ঘটছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। ব্লুমবার্গের ২০১৮’র সমীক্ষায় এশিয়া মহাদেশে বিনিয়োগের দিক থেকে ভারতকে এক নম্বর স্থান দেওয়া হয়েছে। এই সমীক্ষায় ১০টি সূচকের মধ্যে ৭টিতে ভারত এক নম্বর স্থানে রয়েছে। অন্যান্য সূচকেও ভারতকে এক নম্বর জায়গা দেওয়া হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আপনাদের প্রত্যাশা ও আমাদের স্বপ্ন যথাযথভাবে মিলে গেছে। আপনাদের প্রযুক্তি এবং আমাদের মেধা বিশ্বকে বদলে দিতে সক্ষম। আপনাদের সঞ্চয় এবং আমাদের দক্ষতা বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার অগ্রগতিতে গতি সঞ্চার করতে পারে। আপনাদের চিরাচরিত পদ্ধতি ও আমাদের মূল্যবোধ বিশ্বকে সঠিক দিশা দেখাতে পারে। এর পরেও যদি কোনও ফারাক থেকে থাকে, তা হলে সেখানে আমি সেতু হিসাবে কাজ করবো।

 

ধন্যবাদ।

 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1586880) Visitor Counter : 76


Read this release in: English