প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে সর্দার সরোবর বাঁধে ‘নমামী নর্মদা উৎসব’-এ অংশ নিলেন
কেভাড়িয়ায় প্রজাপতি পার্ক, ইকো ট্যুরিজম এলাকা ঘুরে দেখলেন
স্ট্যাচু অফ ইউনিটি গুজরাটকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে এনে দিয়েছে, বললেন প্রধানমন্ত্রী
জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত সরকারের দৃঢ় সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে সর্দার প্যাটেলের স্বপ্ন : প্রধানমন্ত্রী
সরকারের সিদ্ধান্তে জম্মু , কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের সমৃদ্ধি ও আস্হা ফিরে আসবে বলে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী
Posted On:
18 SEP 2019 7:35PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার গুজরাটের কেভাড়িয়ায় ‘নমামী নর্মদা উৎসব’-এ যোগ দেন। সর্দার সরোবর বাঁধের মোট জলধারণ ক্ষমতা ১৩৮.৬৮ মিটার পূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে গুজরাট সরকার এই উৎসবের আয়োজন করেছে। ২০১৭ সালে বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর পর এই প্রথমবার গত ১৬ই সেপ্টেম্বর সোমবার জলস্তর সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় গুজরাটের জীবনরেখা নর্মদা নদীর জল নিয়ে পুজার্চনায় অংশ নেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী কেভাড়িয়ায় গড়ে ওঠা খালভানি ইকো পর্যটন কেন্দ্র এবং একটি ক্যাকটাস গার্ডেন ঘুরে দেখেন। কেভাড়িয়ার প্রজাপতি উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী একটি বাক্স থেকে অসংখ্য প্রজাপতি পরিবেশে ছেড়ে দেন। স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কাছেই গড়ে ওঠা একতা নার্সারিও ঘুরে দেখেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র কাছে এক জনসভায় ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্দার সরোবর বাঁধে জলস্তর ১৩৮ মিটার উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া দেখে আমি আনন্দিত। এই বাঁধ গুজরাটের মানুষের আশার আলো। কঠোর পরিশ্রমী লক্ষ লক্ষ কৃষকের কাছে এই বাঁধ আর্শিবাদ স্বরূপ।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’র সঙ্গে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’তে পর্যটক সমাগমের তুলনা টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই স্ট্যাচু উদ্বোধনের ১১ মাসের মধ্যেই এতো বিপুল সংখ্যক পর্যটককে আকৃষ্ট করেছে, যা ১৩৩ বছরের পুরানো স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে আসা পর্যটকের সমান। স্ট্যাচু অফ ইউনিটির জন্য গুজরাটের কেভাড়িয়া বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। আমাকে জানানো হয়েছে গত ১১ মাসে দেশ-বিদেশ থেকে ২৩ লক্ষের বেশি পর্যটক স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে এসেছেন।’ গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার পর্যটক স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দেখতে আসেন। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে এই স্ট্যাচু ১৩৩ বছরের পুরানো। অন্যদিকে, স্ট্যাচু অফ ইউনিটির বয়স কেবল ১১ মাস। তাসত্ত্বেও এই স্ট্যাচু গড়ে রোজ ৮ হাজার ৫০০র বেশি পর্যটককে আকৃষ্ট করেছে। এ এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা বলে প্রধানমন্ত্রী বর্ণনা করেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মের শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে গত বছরের ৩১শে অক্টোবর স্ট্যাচু অফ ইউনিটি উদ্বোধন করা হয়।
সর্দার প্যাটেলের দূরদৃষ্টির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীরকে নিয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজনের সিদ্ধান্ত সর্দার প্যাটেলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই নেওয়া হয়েছে। কয়েক দশক পুরানো সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের সক্রিয় সমর্থনে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখে সমৃদ্ধি তথা সেখানকার মানুষের আস্হা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সেবক, ভারতের অখন্ডতা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিগত ১০০ দিনে আমরা এই অঙ্গিকারকে সুদৃঢ় করেছি, নতুন সরকার পূর্বের তুলনায় এখন আরও দ্রুত গতিতে কাজ করবে এবং আরও বড় লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে যাবে।’
SSS/BD/NS
(Release ID: 1585498)
Visitor Counter : 198