প্রতিরক্ষামন্ত্রক
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং বলেছেন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনভুক্ত দেশগুলির সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবার সামনে নতুন আশঙ্কাগুলির অন্যতম জৈব সন্ত্রাসবাদ
प्रविष्टि तिथि:
12 SEP 2019 5:27PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনভুক্ত (এসসিও) দেশগুলির সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবাকে যুদ্ধক্ষেত্রের উন্নত প্রযুক্তির সামনে জওয়ানদের নতুন নতুন আশঙ্কার মোকাবিলায় পন্থা-পদ্ধতি বের করার আহ্বান জানালেন। নতুন দিল্লিতে এসসিও দেশগুলির সামরিক ঔষধ সংক্রান্ত প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধন করে শ্রী রাজনাথ সিং বলেন, চলতি সমস্যাগুলির জটিলতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে পারমানবিক, রাসায়নিক এবং জৈবপ্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জৈব-সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কার মোকাবিলায় কর্মক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের সামনে এটাই প্রকৃত চ্যালেঞ্জ। তিনি জৈব-সন্ত্রাসবাদকে সংক্রামক বলে বর্ণনা করেছেন এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অগ্রবর্তী হয়ে এর মোকাবিলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এএফএমএস-কে হতাহতদের চিকিৎসায় স্বচ্ছ এবং কার্যকরী ধারণা নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র রণক্ষেত্রের পরিবেশ এবং বৈশিষ্ট্যের বৈচিত্র্য নিয়ে ভাবলেই হবে না, এএফএমএস-এর দক্ষতাও বাড়াতে হবে।
শ্রী রাজনাথ সিং বিপর্যয়ের সময় সব দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলার এবং সময়মতো সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক সময় বিপর্যয়ের পরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতিতে দেশগুলি বিচলিত হয়ে পড়ে এবং ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হয়। এমন ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
রোগীর সুরক্ষা আরও একটি ক্ষেত্র যাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শ্রী সিং এই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন এবং বলেছেন তাতে এর মোকাবিলা করা সহজ হবে, রোগীর সুরক্ষা শুধুমাত্র সঠিক রোগ নির্ণয় বা ঔষধ প্রয়োগেই শেষ হয়ে যায় না, প্রকৃত রোগীর কাছে প্রকৃত পদ্ধতিতে সেই ঔষধ পৌঁছে দেওয়াই রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, এসসিও ‘পূর্বের জোট’ কারণ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার কেন্দ্রিভূত হওয়ার প্রক্রিয়া বৃদ্ধি। তিনি বলেছেন, এসসিও বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সংগঠন ভৌগোলিক দিক থেকে এবং জনসংখ্যার দিক থেকে। তিনি বলেছেন, ভারত এসসিও-তে ইতিবাচক অবদান রাখছে এবং রাশিয়য় এক্স পিস মিশনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনী অন্য এসসিও দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ায় এক্স সেন্টার, ২০১৯-এ অংশ নিচ্ছে। নিয়মিত সামরিক মহড়া আয়োজিত হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য বহিঃআক্রমণের বিরুদ্ধে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
চিফ্স অফ স্টাফ কমিটি এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া বলেন, যত প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে ততই জটিল হচ্ছে তার ফলাফল। তাই, এএফএমএস-কে প্রযুক্তি এবং দক্ষতার ওপর জোর দিতে হবে।
চিফ অফ ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ টু চেয়ারম্যান, চিফ অফ স্টাফ কমিটি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি এস রাজেশ্বর বলেন, ভারত এই সম্মেলন আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এজন্য যে একজন সেনার সক্ষমতা বজায় রাখতে তাঁকে সুস্থ রাখা জরুরি। তিনি বলেন, সব দেশের সামনে যেসব আশঙ্কা আছে তার বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াইয়ের জন্য সহযোগিতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।
CG/AP/DM
(रिलीज़ आईडी: 1584876)
आगंतुक पटल : 128
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English