বস্ত্রমন্ত্রক

পশমিনা পণ্য সামগ্রীর বিআইএস স্বীকৃতি

Posted On: 02 AUG 2019 6:04PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০২ অগাস্ট, ২০১৯

 

 

পশমিনা পণ্য সামগ্রীর সতন্ত্র বৈশিষ্ট্যকে স্বীকৃতি দিতে ভারতীয় মানক ব্যুরো বিআইএস এই ধরণের পণ্য সামগ্রী চিহ্নিতকরণ, প্রতীকিকরণ ও লেবেলিং-এর জন্য মানক প্রকাশ করেছে। আজ জম্মু-কাশ্মীরের লে-তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মানক প্রকাশ করা হয়।

 

এক বার্তায় কেন্দ্রীয় বস্ত্র তথা মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতি স্মৃতি জুবিন ইরানী বলেছেন, মানক ব্যুরোর এই স্বীকৃতি নকল পশমিনা পণ্য সামগ্রীর উৎপাদন রোধের পাশাপাশি স্হানীয় শিল্পী ও যাযাবরদের স্বার্থ সুরক্ষায় কার্যকর হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, যাযাবর শ্রেণীর মানুষরাই কাঁচা পশমিনা সমগ্রীর উৎপাদন করে থাকে। মানক ব্যুরোর এই স্বীকৃতির ফলে গ্রাহকরা পশমিনার শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে।

 

তিনি আরও বলেন, পশমিনা পণ্য সামগ্রীর বিআইএস স্বীকৃতি নকল ও নিকৃষ্ট মানের পণ্য উৎপাদনে অনুৎসাহিত করতে সুদুর প্রসারী ভূমিকা নেবে। বর্তমানে বাজারে নিকৃষ্ট মানের পশমিনা পণ্য প্রকৃত পশমিনা হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, এই স্বীকৃতির ফলে লাদাখের ছাগল পালক সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাবেন এবং স্হানীয় হস্তশিল্পী যারা প্রকৃত পশমিনা তৈরি করে থাকেন তারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, বিপণনের ক্ষেত্রে ব্যাপক অসাধু পন্হা অবলম্বনের জন্য শিল্পী ও ছাগপালক সম্প্রদায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছে। যাযাবর পশমিনা ছাগ পালকরা অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে বসবাস করেন। পশমিনার ওপরই এদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে। বর্তমানে ২ হাজার ৪শো পরিবারের কাছে প্রায় আড়াই লক্ষ ছাগল রয়েছে। মানক স্বীকৃতি দানের এই উদ্যোগের ফলে এই পরিবারগুলির স্বার্থ যেমন সুরক্ষিত হবে, তেমনই তরুণ প্রজন্মও পশমিনা পণ্য সামগ্রী উৎপাদন পেশা হিসেবে গ্রহণে উৎসাহিত হবে। এমনকি আরও বহু পরিবারকে এই পেশা গ্রহণে প্রেরণা যোগাবে এই স্বীকৃতিদান।

 

লাদাখ থেকে অতি উন্নত মানের ৫০ মেট্রিক টন পশমিনা উৎপাদিত হয়। এই অঞ্চলে পশমিনা ক্ষেত্রের উন্নয়নে বস্ত্র মন্ত্রক ২০ কোটি টাকার তহবিল গঠনে উদ্যোগ নিচ্ছে।

 

 

 

SSS/BD/NS



(Release ID: 1581171) Visitor Counter : 199


Read this release in: English