স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
সংসদ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) সংশোধন বিল, ২০১৯ অনুমোদন করল
Posted On:
02 AUG 2019 6:03PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২ অগাস্ট, ২০১৯
রাজ্যসভায় আজ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) সংশোধন বিল, ২০১৯ পাশ হয়েছে। এই বিলের ওপর বিতর্কে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ এই বিলটি ঐক্যবদ্ধভাবে পাশ করার জন্য সকলের প্রতি আবেদন জানান। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে এই বার্তাই পৌঁছবে যে সন্ত্রাসবাদীরা মানবতার শত্রু এবং ভারত দেশ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ দূর করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, যাঁরা এই বিলটির বিরোধিতা করছেন তাঁদের মনে রাখা উচিৎ আসল আইনটি বর্তমান সরকার প্রণয়ন করেনি। “আমরা চাই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একটি কড়া আইন প্রণয়ন করা হোক। এই লক্ষ্যে যে কোন সংশোধন আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। ভারত থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার জন্য একটি কঠোর আইনের প্রয়োজন এবং আমরা সেটিকে সমর্থন করি।”
শ্রী শাহ বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্ম হয় না। কোন একটি ধর্মের ব্যক্তি এর শিকার হতে পারেন না। তিনি সংসদকে আশ্বস্ত করে বলেন, প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সরকার দায়বদ্ধ। জঙ্গি কার্যকলাপ ব্যক্তি বিশেষের মাধ্যমে সংগঠিত হয়, কোন সংগঠনের দ্বারা নয়।
কোন সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করলেই কোন ব্যক্তি বিশেষকে এই ধরনের কাজ থেকে নিবৃত্ত করা যায় না। কোন ব্যক্তি বিশেষকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিলে তারা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অন্য নামে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে পারে।
এই সংশোধনী পাশের ফলে যারা জঙ্গি কার্যকলাপে অংশ নেয়, যারা এই ধরনের কার্যকলাপে প্রশয় দেয় বা জঙ্গি আদর্শকে ছড়িয়ে দেয় এবং একইসঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য তারা সকলেই জঙ্গি হিসেবে ঘোষিত হবে। শ্রী অমিত শাহ বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘও কোন চিহ্নিত ব্যক্তিকে জঙ্গি ঘোষণার পক্ষে আইন বলবৎ করেছে।
এই সংশোধনীর ফলে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র ডিরেক্টর জেনারেল জঙ্গি কার্যকলাপ দ্বারা অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এই আইন রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে না। এনআইএ যখন আন্তর্জাতিক বা আন্তঃরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া কোন মামলার তদন্ত শুরু করবে, তখন তারা স্বাধীনভাবে এই কাজটি করতে পারবে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, জঙ্গি কার্যকলাপ দ্বারা অর্জিত কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে এনআইএ-কে সংশ্লিষ্ট রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের অনুমতি নিতে হয়। এই ধরনের সম্পত্তি বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকলে পুরো প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি হয়ে পড়ে।
এনআইএ-র দক্ষতার প্রশংসা করে ঐ বিতর্কে মন্ত্রী জানান, এই সংস্থার সাফল্যের হার ৯১ শতাংশ, আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে যা এক ব্যতিক্রমী নিদর্শন।
ইউএপিএ-এর ৪৩ নং ধারা অনুযায়ী, ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা বিভিন্ন মামলার তদন্ত করতে পারতেন। সংশোধনীতে এই ক্ষমতা ইন্সপেক্টর এবং তার ওপরের পদমর্যাদার আধিকারিকদেরও দেওয়া হচ্ছে। শ্রী শাহ বলেন, এর ফলে এনআইএ-র মানবসম্পদের যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে তার সমাধান হবে। বিভিন্ন সময়ে ইউএপিএ-র আওতায় রুজু করা মামলাগুলিতে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকরা দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করেছেন। নতুন ব্যবস্থায় ইউএপিএ সংক্রান্ত মামলাগুলিতে বিচার দ্রুততার সঙ্গে হবে।
SSS/CB/DM
(Release ID: 1581168)
Visitor Counter : 109