অর্থমন্ত্রক

২০১৯-২০-র কেন্দ্রীয় বাজেটের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য

Posted On: 05 JUL 2019 9:44PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৫ জুলাই, ২০১৯

 

 

কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০১৯-২০-র কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করে তাঁর প্রথম বাজেট ভাষণ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাজেটের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :

চলতি দশকের জন্য ১০ দফা পরিকল্পনা

·        জন-অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘টিম ইন্ডিয়া’ গঠন : ন্যূনতম সরকার, সর্বাধিক প্রশাসন।

·        দূষণমুক্ত ভারত গড়ে তোলার মাধ্যমে ‘গ্রিন মাদার আর্থ’ এবং ‘ব্লু স্কাইজ’ লক্ষ্য অর্জন।

·        অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল ভারতের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।

·        গগণায়ন ও চন্দ্রায়ন সহ বিভিন্ন মহাকাশ ও উপগ্রহ প্রেরণ কর্মসূচির সূচনা।

·        বাস্তবিক এবং সামাজিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা।

·        জল, জল ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত নদ-নদী।

·        নীল অর্থনীতি।

·        আত্মনির্ভরশীলতা এবং খাদ্যশস্য, ডাল, তৈলবীজ, ফলমূল ও শাকসব্জি রপ্তানি।

·        আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে এক সুস্থ, সবল সমাজ গড়ে তোলা। সেইসঙ্গে, মহিলা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য, নাগরিকদের নিরাপত্তায় গুরুত্ব।

·        ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সহ প্রতিরক্ষা উৎপাদন, মোটরগাড়ি শিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স ও ব্যাটারি শিল্পক্ষেত্রে গুরুত্বদানের পাশাপাশি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জামে অগ্রাধিকার।

পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে

·        আশা, বিশ্বাস ও আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে মানুষের হৃদয় পরিপূর্ণ হয়েছে, বললেন অর্থমন্ত্রী।

·        চলতি বছরেই ভারতীয় অর্থনীতি ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে।

·        ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে সরকারের প্রয়াস অব্যাহত।

·        ভারতের শিল্প সংস্থাগুলি কর্মসংস্থানের উৎসস্বরূপ, এমনকি, সম্পদেরও উৎস, বললেন অর্থমন্ত্রী।

·        বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে :

 

o   পরিকাঠামো ক্ষেত্র

o   ডিজিটাল অর্থনীতি

o   ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে

 

·        বিনিয়োগ প্রবাহের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব।

·        মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা।

·        অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যবস্থা :

 

o   প্রধানমন্ত্রী কর্ম যোগী মানধন প্রকল্প

 

§  বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫০ কোটি টাকার কম এমন ৩ কোটি খুচরো ব্যবসায়ী ও ছোট বিক্রেতাদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা।

§  প্রকল্পে সামিল হওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সরল ও সহজ। প্রয়োজন কেবল আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও স্বঘোষণাপত্রের।

 

o   অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির জন্য চালু সুদ ছাড় প্রকল্পের আওতায় নথিভুক্ত এ ধরনের সমস্ত সংস্থার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ২ শতাংশ হারে সুদ ছাড় দেওয়ার জন্য ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ।

o   বেতন ও বিল প্রদান ব্যবস্থা সরল করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। উদ্দেশ্য, সরকারি পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিলম্ব দূর করা।

 

·        জাতীয় অভিন্ন মোবিলিটি কার্ড-ভিত্তিক পরিবহণ ব্যবস্থায় এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলতে ভারতে প্রথম মাশুল প্রদান ব্যবস্থা চালু।

·        বাস যাত্রা, টোল ট্যাক্স প্রদান, পার্কিং চার্জ এবং খুচরো কেনাকাটার ক্ষেত্রে রুপে কার্ডের মাধ্যমে খরচ মেটানো ও সেইসঙ্গে, ইন্টার-অপারেব্‌ল পরিবহণ কার্ড চালু।

·        বাস্তবিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যাপক গুরুত্বদান :

 

o   প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা

o   শিল্প করিডর, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর

o   ভারতমালা এবং সাগরমালা প্রকল্প, জল মার্গ বিকাশ এবং উড়ান প্রকল্প

 

·        ভারতমালা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্য সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মানোন্নয়ন।

·        সাহেবগঞ্জ এবং হলদিয়ায় মাল্টি-মোডাল টার্মিনাল গড়ে তুলে গঙ্গায় নৌ-পরিবহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। জল মার্গ বিকাশ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৯-২০-র মধ্যে ফারাক্কায় নেভিগেশন লক গড়ে তোলা।

·        আগামী চার বছরে গঙ্গায় পণ্য পরিবহণ ক্ষমতা চারগুণ বাড়ানো। এর ফলে, পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ খরচ কমবে, এমনকি, আমদানি খরচও হ্রাস পাবে।

·        ২০১৮-৩০ সময়কালে রেল পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।

·        রেললাইনের উন্নয়ন ও অবশিষ্ট কাজ শেষ করা, রোলিং স্টক উৎপাদন এবং যাত্রী ও পণ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রস্তাব।

·        সারা দেশে ৬৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।

·        অসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনে রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভাল সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে নীতি প্রণয়নের প্রস্তাব।

·        বিমান নির্মাণ তথা বিমান ভাড়া দেওয়া সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ভারতকে প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এক নিয়ন্ত্রণমূলক নকশা প্রণয়ন।

·        ‘ফেম’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে তিন বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।

·        বিদ্যুৎ-চালিত যানবাহনের ব্যবহারে উৎসাহ দিতে এ ধরনের যানবাহন ক্রয় তথা ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উৎসাহদান।

·        ‘ফেম’ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক ব্যাটারি-চালিত এবং নথিভুক্ত ই-যানবাহনগুলিকে উৎসাহিত করার প্রস্তাব।

·        জাতীয় মহাসড়ক কর্মসূচিতে সংশোধন করে জাতীয় মহাসড়ক গ্রিড গড়ে তোলা।

·        ‘এক দেশ, এক গ্রিড’ কর্মসূচির আওতায় রাজ্যগুলিকে সুলভ মূল্যে বিদ্যুতের যোগান।

·        গ্যাস গ্রিড, জল পরিবহণ গ্রিড, আই-ওয়েজ ও আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলিকে আরও বেশি ব্যবহারের লক্ষ্যে নকশা রচনা।

·        উচ্চস্তরীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির সুপারিশগুলি কার্যকর করা হবে :

 

o   পুরনো ও অকেজো কারখানাগুলি বন্ধ করে দেওয়া

o   প্রাকৃতিক গ্যাসের ঘাটতির দরুণ গ্যাস প্ল্যান্টগুলির পূর্ণ ক্ষমতার সদ্ব্যবহারজনিত সমস্যা দূর করা।

 

·        বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের মাশুল এবং কাঠামোগত সংস্কারের কথা শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।

·        বাড়ি ভাড়ায় উৎসাহিত করতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ।

·        বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত এক আদর্শ আইন শীঘ্রই চূড়ান্ত করে রাজ্যগুলির কাছে পাঠানো হবে।

·        কেন্দ্রীয় সরকার ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির তত্ত্বাবধানে থাকা জমি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ তথা বিশেষ সুবিধাদান ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি পরিকাঠামো ও সুলভ আবাসন নির্মাণের কাজে ব্যবহার করার প্রস্তাব।

·        পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অর্থ যোগানোর জন্য মূলধন উৎস আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবস্থাদি :

 

o   ২০১৯-২০-র মধ্যে ক্রেডিট গ্যারান্টি এনহ্যান্সমেন্ট কর্পোরেশন গঠন

o   পরিকাঠামো ক্ষেত্রের ওপর অগ্রাধিকার দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের জন্য বাজার ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন

o   মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই যে কোন দেশীয় বিনিয়োগকারীকে বৈদেশিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হস্তান্তর বা বিক্রির প্রস্তাব

 

·        বন্ড বাজার ব্যবস্থাকে আরও নিবিড়তর করতে ব্যবস্থাদি :

 

o   স্টক এক্সচেঞ্জগুলিতে ‘এএ’ রেটেড বন্ড জমা রাখা যাবে

o   কর্পোরেট বন্ডের ক্ষেত্রে ব্যবহার-বান্ধব লেনদেন ব্যবস্থার পর্যালোচনা

 

·        সামাজিক স্টক এক্সচেঞ্জ :

 

o   সেবির নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার আওতায় বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে তহবিল সংগ্রহ ব্যবস্থা

o   স্থানীয় শিল্প সংস্থা ও স্বচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির তালিকা তৈরি

o   বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কেওয়াইসি ব্যবস্থাকে আরও বিনিয়োগ-বান্ধব করে তোলা হবে।

o   সরকারি ট্রেজারি বিল ও সিকিউরিটিতে বিনিয়োগের জন্য খুচরো ব্যবসায়ীদের সামিল করার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রচেষ্টায় সরকারের সাহায্য।

 

·        প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষনীয় গন্তব্য হিসেবে ভারতকে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ব্যবস্থা :

 

o   সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর অসামরিক বিমান পরিবহণ, গণমাধ্যম ও বিমা ক্ষেত্রকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়া হবে

o   বিমা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ

o   একক ব্র্যান্ডের খচরো ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য স্থানীয় নিয়ম-নীতি আরও সরল করা হবে

 

·        জাতীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ তহবিলকে কাজে লাগিয়ে সরকার দেশে বার্ষিক গ্লোবাল ইনভেস্টর সম্মেলন আয়োজন করবে।

·        এনআরআই-পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট স্কিম সংক্রান্ত ব্যবস্থাকে ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব।

·        একটি সংস্থান ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্টের জন্য বিধিবদ্ধ উচ্চসীমা বাড়িয়ে ২৪ শতাংশ করার প্রস্তাব।

·        নতুন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ হিসেবে নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনএসআইএল)-কে মহাকাশ দপ্তরের বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

·        ইসরোর বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়নমূলক প্রয়াসের ফসল যেমন – উৎক্ষেপণ যান, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মহাকাশে প্রেরণের বিভিন্ন সাজসরঞ্জামের বিপণনের সুবিধা গ্রহণ।

 

প্রত্যক্ষ কর

·        বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত এমন কোম্পানিগুলির জন্য ২৫ শতাংশ কর ছাড়।

·        করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ২ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত এমন ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে এবং ৫ কোটি টাকার বেশি এমন ক্ষেত্রে করের পরিমাণ বৃদ্ধি।

·        সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সূচকে ভারতের স্থান ২০১৭-র ১৭২ থেকে ২০১৯-এ ১২১-এ পৌঁছেছে।

·        প্রত্যক্ষ করবাবদ রাজস্বের পরিমাণ বিগত পাঁচ বছরে ৭৮ শতাংশের বেশি বেড়ে ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।

কর ব্যবস্থার সরলীকরণ ও সহজে জীবনযাপন – প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কর ব্যবস্থার সরলীকরণ ও জীবনযাপনের মান বাড়ানো হচ্ছে।

·        প্যান ও আধার দ্বৈতভাবে ব্যবহারের সুবিধা – যাঁদের প্যান নেই তাঁরা আধার ব্যবহার করে কর দাখিল করতে পারবেন। একইভাবে যেখানে প্যান প্রয়োজন, সেখানে প্যান না থাকলে আধার ব্যব্যহার করা যাবে।

·        আয়কর রিটার্ন আগাম দাখিল – আরও দ্রুততর ও সঠিক পদ্ধতিতে আয়কর দাখিলের ব্যবস্থা।

·        ব্যাঙ্ক, স্টক এক্সচেঞ্জ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রভৃতি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।

সুলভ আবাসন

·        ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুলভ আবাসন ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২০২০-র ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ঋণের ওপর প্রদেয় সুদে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ছাড়।

·        ১৫ বছরের ঋণ পরিশোধযোগ্য সময়সীমায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকার সুদ ছাড়ের সুবিধা।

বৈদ্যুতিন যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানো

·        বৈদ্যুতিন যানবাহনের ঋণের ওপর প্রদেয় সুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয়কর ছাড়।

·        বৈদ্যুতিন যানবাহনের কয়েকটি যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড়।

অন্যান্য প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা

·        প্রকৃত করদাতাদের সমস্যা দূর করতে কর সংক্রান্ত আইনে সরলীকরণ।

·        রিটার্ন দাখিল না করার ক্ষেত্রে উচ্চহারে কর আরোপ ব্যবস্থা।

স্টার্ট-আপ ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়

·        স্টার্ট-আপ মারফৎ সংগৃহীত তহবিলের ক্ষেত্রে আয়কর দপ্তর যাচাই করবে না।

·        বিনিয়োগকারীদের পরিচিতি প্রতিষ্ঠা এবং তহবিলের উৎস সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ই-যাচাই ব্যবস্থা।

·        অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার জন্য বিশেষ প্রশাসনিক উদ্যোগ।

ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস সেন্টার (আইএফএসসি)

·        আইএফএসসি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ কর ছাড়ের প্রস্তাব।

·        ১৫ বছরের সময়সীমার মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি ব্লকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা সংযুক্ত ছাড়।

পরোক্ষ কর

মেক ইন ইন্ডিয়া

·        কাজু, পিভিসি, টাইল্‌স, গাড়ির যন্ত্রাংশ, মার্বেল, স্ল্যাব, অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল, সিসিটিভি ক্যামেরা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সীমাশুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

·        ভারতে প্রস্তুত কয়েকটি বৈদ্যুতিন সাজসরঞ্জামের ক্ষেত্রে উৎপাদন শুল্ক প্রত্যাহার।

·        বিভিন্ন ধরনের কাগজের ওপর ছাড় প্রত্যাহার।

·        আমদানিকৃত বইয়ের ওপর ৫ শতাংশ সীমাশুল্ক আরোপ।

·        কয়েকটি কাঁচামালের ক্ষেত্রে সীমাশুল্ক হ্রাস।

প্রতিরক্ষা

·        ভারতে উৎপাদন করা হয় না এমন প্রতিরক্ষা সাজসরঞ্জামের ওপর থেকে সীমাশুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য পরোক্ষ কর ব্যবস্থা

·        কাঁচামাল ও আধা-প্রক্রিয়াকৃত চর্মজাত সামগ্রীতে আমদানি শুল্ক সরল করা হয়েছে।

·        পেট্রোল ও ডিজেলে প্রতি লিটারে ১ টাকা করে পরিকাঠামো উন্নয়ন সেস বসানো হয়েছে।

·        সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতব সামগ্রীর ওপর উৎপাদন শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

গ্রামীণ ভারত

·        উজ্জ্বলা যোজনা ও সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে গ্রামীণ পরিবারগুলির জীবনযাপনের মানোন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

·        আগ্রহী সমস্ত গ্রামীণ পরিবারকে ২০২২ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ও দূষণমুক্ত রান্নার জ্বালানি প্রদান।

·        প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) কর্মসূচির আওতায় ২০২২ সালের মধ্যে ‘সকলের জন্য আবাসন’।

·        এই যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৯-২০ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত ১ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়িতে শৌচাগার, বিদ্যুৎ ও রান্নার গ্যাসের সুবিধা।

·        মৎস্য দপ্তর প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার মাধ্যমে এক উপযুক্ত মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলবে।

·        প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা

·        সব মরশুমের উপযোগী সড়ক নির্মাণ করে ২০২২ সালের মধ্যে ৯৭ শতাংশ জনপদে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা।

·        দূষণমুক্ত প্রযুক্তি, বর্জ্য প্লাস্টিক ও কোল্ড মিক্স প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যোজনার মাধ্যমে ৩০ হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ।

·        এই যোজনার তৃতীয় পর্যায়ে আগামী পাঁচ বছরে ৮০,২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের মানোন্নয়ন।

·        ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলির মানোন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের জন্য বিশেষ প্রকল্প – এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৯-২০-তে ১০০টি নতুন ক্লাস্টার গঠনের প্রস্তাব। গুরুত্ব দেওয়া হবে, বাঁশ, মধু ও খাদি শিল্পক্ষেত্রে। ৫০ হাজার শিল্পীকে অর্থনীতির মূলস্রোতে যুক্ত করার পরিকল্পনা।

·        গ্রামীণ শিল্প ও শিল্পোদ্যোগ তথা উদ্ভাবন ক্ষেত্রের প্রসারে বিশেষ প্রকল্প

·        ২০১৯-২০-তে ৮০টি লাইভলিহুড বিজনেস ইনকিউবেটর এবং ২০টি প্রযুক্তি-নির্ভর বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের প্রস্তাব।

·        কৃষি গ্রামীণ শিল্পক্ষেত্রে ৭৫ হাজার শিল্পোদ্যোগীকে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যমাত্রা।

·        ১০ হাজার নতুন ফার্মার প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন স্থাপন করা হবে।

·        ই-ন্যাম প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কাজ করবে।

·        কয়েকটি রাজ্যে জিরো বাজেট ফার্মিং কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

·        ভারতের জল নিরাপত্তা

·        নবগঠির জলশক্তি মন্ত্রক দেশে জলসম্পদ ও জল সরবরাহের বিষয়টি সর্বাঙ্গীণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিচালনা করবে।

·        ২০২৪-এর মধ্যে সমস্ত গ্রামীণ পরিবারে পাইপবাহিত জল পৌঁছে দিতে ‘জল জীবন মিশন’।

·        কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের সাফল্য অর্জনে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার প্রস্তাব।

·        জলশক্তি অভিযানে ২৫৬টি জেলার ১,৫৯২টি সঙ্কটজনক ব্লককে চিহ্নিত করা হয়েছে।

·        স্বচ্ছ ভারত অভিযান

·        ২০১৪-র দোসরা অক্টোবর থেকে ৯ কোটি ৬০ লক্ষ শৌচাগার নির্মাণের ফলে ৫ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি গ্রাম প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম থেকে মুক্ত।

·        প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিটাল সাক্ষরতা অভিযান

·        ২ কোটির বেশি গ্রামীণ মানুষকে ডিজিটাল পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হয়েছে।

·        ভারত নেট কর্মসূচির আওতায় গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মধ্যে বিভেদ মুছতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ইন্টারনেট সংযোগ।

·        ভারত নেট কর্মসূচির কার্যকারিতা আরও বাড়াতে ইউনিভার্সাল অবলিগেশন ফান্ড ব্যবহারের প্রস্তাব।

শহরাঞ্চলীয় ভারত

·        প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – শহরাঞ্চল :

 

o   কর্মসূচির আওতায় ৮১ লক্ষেরও বেশি আবাসন নির্মাণে প্রায় ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৭ লক্ষ আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে, ২৬ লক্ষ গৃহ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ২৪ লক্ষ গৃহ সুফলভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

o   ১৩ লক্ষের বেশি গৃহ নির্মাণে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

 

·        দেশে ৯৫ শতাংশেরও বেশি শহরকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

·        প্রায় ১ কোটি নাগরিক স্বচ্ছতা অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।

·        আগামী দোসরা অক্টোবর গান্ধীজির জন্মবার্ষিকীতে রাজঘাটে গান্ধী দর্শনে রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে।

·        গান্ধীজির মূল্যবোধগুলি সম্পর্কে যুবসম্প্রদায় ও সমাজকে সংবেদনশীল করে তুলতে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স মিউজিয়াম ‘গান্ধীপিডিয়া’ তৈরির কাজ করছে।

·        শহরাঞ্চলীয় পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উৎসাহদান।

যুবসম্প্রদায়

·        নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হবে। উদ্দেশ্য, বিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসা। পরিচালন ব্যবস্থাকে আরও সুদক্ষ করে তোলা। একইসঙ্গে, গবেষণা ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে আরও বেশি অগ্রাধিকার।

·        বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৪০০ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে যা বিগত বছরগুলির তুলনায় তিনগুণ বেশি। এই লক্ষ্যে জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব রয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দেশে গবেষণামূলক সামগ্রিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তোলার ওপর।

·        বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আরও আকৃষ্ট করতে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া বা ভারতে শিক্ষা গ্রহণ কর্মসূচির প্রস্তাব।

·        শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও স্বশাসন দেওয়ার পরিকল্পনা।

·        উচ্চশিক্ষা কমিশন স্থাপনের জন্য খসড়া নীতি প্রণয়ন।

·        খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের সম্প্রসারণ।

·        খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় জাতীর ক্রীড়া শিক্ষা পর্ষদ গড়ে তোলার প্রস্তাব।

·        দূরদর্শনের বিভিন্ন চ্যানেলে স্টার্ট-আপ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার।

·        স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া প্রকল্প ২০২৫ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব। চাহিদা-ভিত্তিক বাণিজ্যিক কাজকর্মে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে ব্যাঙ্কগুলি।

সহজে জীবনযাপন

·        প্রায় ৩০ লক্ষ শ্রমিক প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন প্রকল্পে সামিল হয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অসংগঠিত ও অপ্রচলিত ক্ষেত্রে কর্মরত ৬০ বছর বয়সের বেশি শ্রমিকদের মাসিক ৩ হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হয়ে থাকে।

·        উজালা যোজনার মাধ্যমে ৩৫ কোটি এলইডি বাতি বিতরণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খরচবাবদ সাশ্রয় হয়েছে বার্ষিক ১৮,৩৪১ কোটি টাকা।

·        সৌরবিদ্যুৎ চালিত স্টোভ ও ব্যাটারি চার্জার ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

·        রেল স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণে এক ব্যাপক কর্মসূচির সূচনা হতে চলেছে।

নারী তু নারায়ণী / মহিলা

·        মহিলা-কেন্দ্রিক নীতি প্রণয়নের পরিবর্তে মহিলা পরিচালিত উদ্যোগের প্রতি গুরুত্ব।

·        লিঙ্গ-ভিত্তিক বাজেট তৈরির জন্য সরকার ও বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠনের প্রস্তাব।

·        মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে প্রদেয় সুদ ছাড় সুবিধা সমস্ত জেলায় সম্প্রসারণের প্রস্তাব।

·        জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টধারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ওভারড্রাফ্‌টে অনুমতি।

·        মুদ্রা যোজনার আওতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একজন মহিলাকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তা।

ভারতের সফ্‌ট পাওয়ার

·        প্রবাসী ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের জন্য দেশে আগমনের সময় আধার কার্ড প্রদানের প্রস্তাব।

·        আফ্রিকা মহাদেশে ১৮টি নতুন ভারতীয় কূটনৈতিক মিশন ২০১৮ সালের মার্চে অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে।

·        ২০১৯-২০-তে আরও চারটি চালু হবে।

·        ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রকে আদর্শ বিশ্বমানের পর্যটন স্থল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

 ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক ক্ষেত্র

·        বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ গত বছর ১ লক্ষ কোটি টাকা কমেছে।

·        বিগত চার বছরে ৪ লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।

·        অভ্যন্তরীণ ঋণ সহায়তার পরিমাণ ১৩.৮ শতাংশ বেড়েছে।

·        রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ৭০ হাজার কোটি টাকা যোগানের প্রস্তাব, উদ্দেশ্য, ঋণদান বাড়ানো।

·        প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ।

·        রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পরিচালন ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে সংস্কারের প্রস্তাব।

·        ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে অর্থ বিলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলির নিয়ন্ত্রণমূলক রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে দেওয়ার প্রস্তাব।

·        আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব।

·        রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যবস্থা

·        ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা।

·        রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়ার কৌশলগত বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

·        আরও কয়েকটি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় বেসরকারি ক্ষেত্রের কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রস্তাব।

·        রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে সরকারের অংশীদারিত্ব ৫১ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে, সরকারি নিয়ন্ত্রণ অক্ষুণ্ণ রাখা হবে।

·        কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে খুচরো বিনিয়োগে উৎসাহদান।

·        অতিরিক্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা।

·        ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নতুন কয়েন ছাড়ার প্রস্তাব। স্বল্প দৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যও কয়েনের আর্থিক মূল্য বুঝতে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।

ডিজিটাল পেমেন্ট

·        ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এক বছরে ১ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ তোলার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে টিডিএস।

২০১৪-১৯ পর্যন্ত সময়কালে সাফল্য

·        বিগত পাঁচ বছরে ভারতীয় অর্থনীতিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের সমতুল অর্থ যুক্ত হয়েছে।

·        বিশ্বে ভারত এখন ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতি, পাঁচ বছর আগে স্থান ছিল একাদশ।

·        ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে ভারতীয় অর্থনীতি এখন তৃতীয় বৃহত্তম।

·        পরোক্ষ কর ব্যবস্থা, দেউলিয়া ও রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে কাঠামোগত সংস্কার করা হয়েছে।

·        খাদ্য নিরাপত্তা খাতে খরচের গড় পরিমাণ ২০১৪-১৯ সময়কালে প্রতি বছর প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে।

·        স্বত্ব দেওয়ার পরিমাণ ২০১৭-১৮-তে তিনগুণ হয়েছে।

·        নীতি আয়োগের পরিকল্পনা ও সহায়তায় নতুন ভারত গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

·        বিভিন্ন প্রণালী ও পদ্ধতির সরলীকরণ।

·        কাজকর্মে আরও উৎসাহদান।

·        লাল ফিতের ফাঁস হ্রাস করা।

·        প্রযুক্তির আরও বেশি সদ্ব্যবহার।

·        বৃহৎ কর্মসূচিগুলি ত্বরান্বিত করা, সেইসঙ্গে এই কর্মসূচিগুলির সুফল পৌঁছে দেওয়া।

 

 

CG/BD/DM



(Release ID: 1577610) Visitor Counter : 1020


Read this release in: English