অর্থমন্ত্রক

যে সমস্ত কোম্পানীর বার্ষিক লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে তাদের কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হবে ২৫ শতাংশ


কর দাখিলে আধার ব্যবহার করা যাবে

Posted On: 05 JUL 2019 3:22PM by PIB Kolkata

 নয়াদিল্লি, ০৫ জুলাই, ২০১৯

   

 

    ২০১৯-২০ কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, যেসব কোম্পানীর বার্ষিক লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে, তারা কর্পোরেট ট্যাক্সের ন্যূনতম স্তর ২৫ শতাংশের সুবিধা পাবে। বর্তমানে যেসব কোম্পানীর বার্ষিক লেনদেন ২৫০ কোটি টাকার মধ্যে সেইসব কোম্পানীগুলি এই সুবিধা পেয়ে থাকে। সংসদে আজ সাধারণ বাজেট ২০১৯-২০ পেশ করার সময় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমন বলেন, এরফলে ৯৯.৩ শতাংশ কোম্পানী এই করের এই আওতায় আসবে। বর্তমানে মাত্র ০.৭ শতাংশ কোম্পানী এই করের আওতার বাইরে থাকবে।

   

প্যান-আধারের আন্তঃপরিবর্তনের প্রস্তাব

বাজেটে প্যান এবং আধারের আন্তঃপরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরফলে যাদের প্যান নেই তাঁরা আধার দিয়ে আয়কর দাখিল করতে পারবেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১২০ কোটির বেশি ভারতীয়ের আধার কার্ড রয়েছে। আয়করদাতাদের সুবিধার জন্য এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

 

আয়করের প্রাক-দাখিলের সুযোগ

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, করদাতাদের বিস্তারিত আয়, সিকিউরিটির থেকে মূলধন লাভ, ব্যাঙ্কের সুদ এবং শেয়ার ডিভিডেন্ডের ওপর ভিত্তি করে দাখিলের পূর্বে করের বিস্তারিত পরিমাণ জানা যাবে। তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক, স্টক এক্সচেঞ্জ, মিউচুয়াল ফান্ড, ইপিএফও ইত্যাদির সূত্র থেকে এই তথ্যগুলি পাওয়া যাবে। এরফলে কর দাখিলের প্রক্রিয়ায় সময় যেমন বাঁচবে, পাশাপাশি আয় এবং তারওপর ভিত্তি করে করের পরিমাণ নির্ধারণ করতে সুবিধা হবে।

 

অবাঞ্ছিত প্রক্রিয়া দূরীকরণে ই-অ্যাসেসমেন্ট

 

অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে বলেন, বর্তমান ব্যবস্হায় কর নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় করদাতা এবং আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যে ব্যক্তিগত স্তরে মতবিনিময় করা হয়। এরফলে আয়কর বিভাগে আধিকারিকরা কিছু অবাঞ্ছিত কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনাগুলিকে বন্ধ করতে এবং প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় করের মূল্যায়ণ ব্যবস্হা চালু করা হবে।

 

ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহ দিতে নানা ব্যবস্হা

 

বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে বছরে নগদে ১ কোটি টাকার বেশি একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হলে টিডিএস ২ শতাংশ বেশি দিতে হবে। এছাড়া ভীম ইউপিআই, ইউপিআই-কিউআর কোড, আধার পে, নির্দিষ্ট কিছু ডেবিট কার্ড, এনইএফটি, আরটিজিএস-এর মতো ব্যবস্হার মাধ্যমে  বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলি (যাদের বার্ষিক লেনদেন ৫০ কোটি টাকার বেশি) ডিজিটাল লেনদেন করবে। আরবিআই এবং ব্যাঙ্কগুলি এই ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে যে ব্যয় হবে, তারজন্য কোনও অর্থ নেবে না।

 

সরলীকরণ এবং ইজ অফ লিভিং

 

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের নিরিখে দেশে ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস অর্থাৎ সহজে ব্যবসা করার নিরিখে ভারত ১৭২তম স্হানে ছিল। ২০১৯ সালে তা এগিয়ে এসে ১২১এ পৌঁছেছে। করদাতাদের সুবিধার্থে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। এই বাজেটে করদাতাদের সুবিধার্থে নানা প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

 

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1577471) Visitor Counter : 260


Read this release in: English