অর্থমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় বাজেটে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কর্মসংস্থান তৈরির ওপর জোর

Posted On: 05 JUL 2019 2:59PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৫ জুলাই, ২০১৯

 

 

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কর্মসংস্থান তৈরির ওপর জোর দিয়ে ভারতের অর্থনীতিকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় বাজেটে দেওয়া হয়েছে। আজ সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পেশকালে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধির জন্য গত পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সফল রূপায়ণের লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশী ও বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে। ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’, শিল্প করিডর, ‘ভারতমালা’, ‘সাগরমালা’, ‘জল মার্গ বিকাশ’, ‘উড়ান’ প্রকল্পের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে শ্রীমতী সীতারমন জানান, পণ্য পরিবহণের খরচ কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে দেশীয় বিমান পরিবহণ ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেললাইন, রোলিং স্টক উৎপাদন এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সারা দেশে ৬৫৭ কিলোমিটার মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। অভ্যন্তরীণ পরিবহণের সুবিধার্থে ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ড এ বছরের মার্চ মাস থেকে চালু করা হয়েছে। দেশের সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘ভারতমালা’ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার পর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। গত চার বছরে গঙ্গা দিয়ে পণ্য পরিবহণ চারগুণ বেড়েছে।

 

জলমার্গ বিকাশ প্রকল্পে হলদিয়া এবং সাহেবগঞ্জে পণ্য টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। ফারাক্কায় নেভিগেশনাল লক-এর কাজ এ বছরই শেষ হবে। গ্যাস গ্রিড, জল গ্রিড, আই-ওয়ে এবং আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলির উন্নয়নের জন্য নকশা তৈরি করা হচ্ছে। সুলভে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘এক দেশ, এক গ্রিড’ ব্যবস্থাপনা চালু করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রাপ্তি কম হওয়ার কারণে, প্ল্যান্টগুলির মজুতভাণ্ডারকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে এবারের বাজেটে।

 

বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে একটি বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সুদ ছাড় প্রকল্পে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ধরনের শিল্পোদ্যোগগুলি জিএসটি অন্তর্ভুক্তির সময় ঋণের ওপর ২ শতাংশ সুদে ছাড় পাবে।

 

প্রধানমন্ত্রী কর্মযোগী মনধন প্রকল্পের আওতায় যেসব খুচরো ও ছোট ব্যবসায়ীদের লেনদেন বছরে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার নিচে, তাঁদেরকে পেনশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে সুবিধাভোগীকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার এবং স্বঘোষণা জমা দিলেই চলবে।

 

 

CG/SS/DM


(Release ID: 1577462) Visitor Counter : 234


Read this release in: English