নয়াদিল্লি, ০৪ জুলাই, ২০১৯

 

 

অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০১৮-১৯ – এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেছেন। সমীক্ষায় ২০২৫ সাল নাগাদ ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতিধর দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নানা কৌশলের কথা বলা হয়েছে। #Economy@5trilion বা ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্য অর্জনে জিডিপি-র বিকাশ হার বৃদ্ধির পাশাপাশি ৮ শতাংশ হারে তা বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে। সমীক্ষায় আর্থিক বৃদ্ধি, চাহিদা, রপ্তানি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির কথা বিবেচনায় রেখে ম্যাক্রো অর্থনীতির পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ম্যাক্রো অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগসূত্র গড়ে তোলার পাশাপাশি, সমীক্ষায় ভারতের জন্য এক উপযুক্ত অর্থনৈতিক মডেল বা পদ্ধতি গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। ২০১৮ – ১৯ – এর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় ‘ব্লু স্কাই থিঙ্কিং’ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। যেখানে ভারতের জন্য উপযুক্ত অর্থনৈতিক পদ্ধতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

 

সারা বিশ্বে আর্থিক সঙ্কটের থেকে শিক্ষা নিয়ে সমীক্ষায় নৈতিক উৎকর্ষের বিষয়গুলিতে গুরুত্ব দিয়ে চাহিদা, কর্মসংস্থান ও রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন আর্থিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, এই সমস্যাগুলি সবই অর্থনীতির পরিপূরক। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রবণতা, বিশেষ করে, বেসরকারি লগ্নি বজায় রাখার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। অনিশ্চয়তাপূর্ণ এই বিশ্বে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্য পূরণে ৩টি বিষয় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলি হ’ল – সঠিক পরিকল্পনা, কৌশলগত নক্‌শা প্রণয়ন এবং আর্থিক বৃদ্ধির বিভিন্ন নীতি।

 

এ বছরের সমীক্ষায় লিঙ্গসমতা, এক স্বাস্থ্যকর ও সবল ভারত, সঞ্চয়, কর মান্যতা এবং ঋণ সহায়তায় সমতার মতো বিষয়গুলির নিরসনে অর্থনীতির বিভিন্ন আধুনিক পন্থাকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। এমনকি, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ এবং ‘জন ধন যোজনা’র সফল রূপায়ণের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে আচরণগত পরিবর্তন এসেছে, তা এই কর্মসূচিগুলির ভূমিকাকে সমীক্ষায় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

 

 

CG/BD/SB

(Release ID: 1577321)