অর্থমন্ত্রক

আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস ২০১৮-১৯-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষায়

Posted On: 04 JUL 2019 9:11PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৪ জুলাই, ২০১৯

 

 

২০১৮-১৯-এর আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি অর্থনীতির ঠিক পথেই চলছে। রাজস্ব বৃদ্ধি এবং নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় জরুরি আর্থিক সংস্কারের পক্ষে। আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯-এ বিভিন্ন সমস্যা সত্ত্বেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ আশা করা হচ্ছে।

 

২০২০-২১-এর মধ্যে আর্থিক ঘাটতি জিডিপি-র ৩ শতাংশে এবং ২০২৪-২৫-এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ জিডিপি-র ৪০ শতাংশে ধরে রাখতে আর্থিক সংস্কার জরুরি। ২০১৮-১৯-এ কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমেছে ০.৩ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট। এর মধ্যে রাজস্ব ব্যয় কমেছে ০.৪ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট এবং মূলধনী ব্যয় কমেছে ০.১ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট। রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কর খাতে এবং কর বহির্ভূত খাতে ২০১৭-১৮-য় আদায় বেড়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কেন্দ্র এবং রাজ্যের মিলিত দায় ২০১৮-র মার্চ পর্যন্ত কমে জিডিপি-র ৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭-১৮-য় কেন্দ্র এবং রাজ্যের আর্থিক ঘাটতি ছিল ৬.৪ শতাংশ, তা ২০১৮-১৯-এ জিডিপি-র ৫.৮ শতাংশে পৌঁছতে পারে।

 

কর্পোরেট কর বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৮-১৯-এ প্রত্যক্ষ কর বেড়েছে ১৩.৪ শতাংশ। সমীক্ষায় লগ্নি এবং ব্যবসার সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল দেখানো হয়েছে। ২০১৭-১৮-র তুলনায় ২০১৮-১৯-এ সরকারের মূলধনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে সঠিক পথ বেছে নেওয়ায় আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। ২০১৯-এর মার্চের শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মোট দায় ৮৪ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা, যার ৯০ শতাংশই সরকারি ঋণ। ঐ ঋণের বেশ কিছুটা অংশের ওপর সুদের হার এক থাকায় সুদবাবদ ব্যয়ে হেরফের হয়নি। রাজ্য সরকারগুলির বাজেটেও রাজস্ব খাতে ব্যয় বেড়েছে। করবাবদ এবং কর বহির্ভূত রাজস্বের বৃদ্ধি ঘটেছে। আর্থিক ঘাটতির ক্ষেত্রেও উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। এরই পাশাপাশি, আর্থিক সমীক্ষায় সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক বছরে আর্থিক ক্ষেত্র বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখী হতে পারে যা উন্নয়নের হার কমাবে এবং যার প্রভাব পড়বে রাজস্ব আদায়ে। ২০১৮-১৯-এ জিএসটি-বাবদ সংগ্রহে ঘাটতি থেকে গেছে। তাই, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির লক্ষ্য হবে জিএসটি-বাবদ আয় বাড়ানোর। সম্প্রসারিত প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি এবং আয়ুষ্মান ভারতের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে কোনরকম সমঝোতার রাস্তা না হেঁটে এবং নতুন সরকারের নতুন নতুন কর্মসূচির দিকেও নজর দিতে হবে।  পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, ২০২০-র এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য রিপোর্ট পেশ করবে। এর সুপারিশগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলবে।

 

 

CG/AP/DM


(Release ID: 1577313)
Read this release in: English