গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক
বর্ষশেষ পর্যালোচনা : দীনদয়াল অন্ত্যদ্বয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশন (গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক)
Posted On:
07 JAN 2019 2:43PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
দীনদয়াল অন্ত্যদ্বয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের উদ্দেশ্য হল, ৮ থেকে ৯ কোটি গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারকে এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা। সেইসঙ্গে গ্রামপর্যায়ে বা তার ওপরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলিতে প্রত্যেক পরিবারের একজন করে মহিলা সদস্যকে সামিল করা।
অগ্রগতি
দীনদয়াল অন্ত্যদ্বয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের ‘নিবিড়’ রূপায়ণ কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯এর অক্টোবর মাস পর্যন্ত অতিরিক্ত ৫৮৮টি ব্লককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরফলে কর্মসূচির অধীন মোট ব্লকের সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে ৫০৫৪।
২০১৮-১৯এ এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ৭৩ লক্ষের বেশি পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ৭৩৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা মূলধনী সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
২০১৮-১৯এ রিভলভিং তহবিল হিসাবে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ২৪ হাজার ৮২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। একইভাবে, সামুদায়িক বিনিয়োগ তহবিল হিসাবে ৯২ হাজার ৭৬৫টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও তাদের সংগঠনগুলিকে ৫০ হাজার ২৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
দীনদয়াল অন্ত্যদ্বয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের আওতায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে যুক্ত করার কর্মসূচিতে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১৭ লক্ষ ৫৭ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ২৭ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সহযোগিতায় জৈব চাষাবাদের প্রসারে চলতি বছরে দীনদয়াল অন্ত্যদ্বয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের মাধ্যমে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জৈব চাষাবাদ সংক্রান্ত উদ্যোগে আওতায় ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ১ হাজার ৬৪৬টি জৈব চাষাবাদ ভিত্তিক গ্রামীন ক্লাস্টার চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে মোট ২৩ হাজার ৬৭৯টি গ্রামকে এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরে জৈব চাষাবাদ ভিত্তিক ২৫ শতাংশ গ্রামীন ক্লাস্টারে জৈব চাষাবাদ শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ৫৭ হাজার ২৭০জন মহিলা কৃষিজীবির নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসআরএলএম-এপিপি কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯এ ১৪ লক্ষ ৩ হাজার মহিলা কৃষিজীবিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিশেষ প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির মাধ্যমে জীবন-জীবিকা সংক্রান্ত ৭ হাজার ২৮৩টি কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রশিক্ষিত ব্যক্তিরা গ্রাম পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করছেন।
জীবন-জীবিকা মিশনের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হল- খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যপূরণে মহিলা কৃষিজীবি পরিবারগুলির জন্য পুষ্টিকর ফসলের উদ্যান গড়ে তুলতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরে ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার মহিলা কৃষিজীবি পরিবারকেন্দ্রিক পুষ্টিকর ফসলের উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে।
মহিলা কৃষিজীবিদের কায়িক পরিশ্রম কমাতে এবং কৃষি সংক্রান্ত সাজ-সরঞ্জাম সময়মতো পৌঁছে দিতে দীনদয়াল অন্ত্যদ্বয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের আওতায় কাস্টম হায়ারিং সেন্টার গড়ে তুলতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ২০১৮-১৯ সালে এ ধরনের ৮০৬টি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদকদের জন্য বাজারজাত করার সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ফারাক রয়েছে। মূল্য প্রদান ব্যবস্হার মাধ্যমে এক্ষেত্রে বাধ্যতা দূর করার চেষ্টা হচ্ছে। এ ধরনের মূল্য প্রদান ব্যবস্হার আওতায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার মহিলা কৃষিজীবিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, এই কৃষিজীবিরা যাতে তাদের কৃষিজাত ফসল ও ডেয়ারী সামগ্রী সহজেই বাজারে পৌঁছে দিতে পারেন। উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৮-১৯এ মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে মহিলাদের নিয়ে তিনটি দুগ্ধ উৎপাদক সংস্হা তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে এ ধরনের দুটি সংস্হা রোজ তিন থেকে পাঁচ হাজার লিটার দুগ্ধ সংগ্রহ করে থাকে। ডেয়ারী ক্ষেত্রের বিকাশে এবং ডেয়ারীজাত সামগ্রীর উপযুক্ত মূল্য প্রদানে উত্তরপ্রদেশে বেশ কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়াও বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে ডালশস্যে বাজারজাতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয়েছে।
আজীবিকা গ্রামীণ এক্সপ্রেস যোজনা রূপায়ণের উদ্দেশ্য হল, গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ ও সুলভে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের নজরদারিতে পরিবহণ পরিষেবা প্রদান করা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি সদস্যরা যানবাহন সংগ্রহ করে তা পরিষেবা প্রদানের কাজে লাগাবে এবং যেসমস্ত জায়গায় যানবাহন পরিষেবা নেই, সেখানে পরিষেবা দেবে। দেশে এই যোজনার মাধ্যমে ৬২৪টি রুটে এ ধরনের পরিষেবা চালু রয়েছে।
দীনদয়াল অন্ত্যদ্বয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল, স্টার্ট আপ গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ কর্মসূচি। উদ্দেশ্য, গ্রামাঞ্চলে ছোট ব্যবসায় সহায়তার জন্য এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তোলা। এরফলে এ ধরনের শিল্পোদ্যোগগুলি ব্যবসায়িক পরিষেবা, পৃষ্ঠপোষকতা, দ্রুত মূলধনী সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি তথা বিপণনগত সাহায্য পাবে। দেশের ১৩১টি ব্লকে এই কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। চলতি বছরে স্টার্টআপ গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ কর্মসূচির মাধ্যমে ৯ হাজার ২৮২টি শিল্পসংস্হা গঠিত হয়েছে।
CG/BD/NS
(Release ID: 1558854)
Visitor Counter : 204