প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকালে প্রেস বিবৃতি

Posted On: 30 OCT 2018 1:09PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি২৯ অক্টোবর, ২০১

জাপানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবেজি,

সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ,

বন্ধুগণ,

নমস্কার!

কোন্নচিওয়া!

 

এখানে টোকিও শহরে এবং তার আগে য়ামানাশি শহরে এবং নিজের বাড়িতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবে সান যে আত্মীয়তার সঙ্গে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন, তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণে আমার এবারের জাপান সফরের সাফল্য আরও অবিস্মরণীয় হয়ে উঠেছে। জাপান প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার সর্বশ্রেষ্ঠ গুণগুলির সঙ্গমে গড়ে উঠেছে। এটি সেই মহান দেশ যারা বিশ্বকে শিখিয়েছে যে মানবজাতির উন্নয়নের পথ শ্বাশত, পুরাতন এবং নতুনের মধ্যে সংঘর্ষের নয়, তাদের সহ-অস্তিত্ব ও সৃজনের। নতুনকে স্বাগত জানানো আর পুরনোকে সম্মান জানানো এটি বিশ্ব সভ্যতাকে জাপানের সর্বোত্তম উপহার। পাশাপাশি, ভারত এবং জাপানের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।

 

মহামাননীয়েষু,

 

জাপান এবং ভারতের সম্পর্ক প্রশান্ত মহাসাগরের মতো গভীর ও বিস্তৃত। এই সম্পর্ক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার প্রতি ও আইনের শাসনের প্রতি আমাদের মিলিত দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। আমাদের সম্পর্ককে ভবিষ্যতে আরও উন্নত করতে একটি বিশাল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গতকাল এবং আজ আবে সানের সঙ্গে আমার অত্যন্ত কার্যকরী আলোচনা হয়েছে। আজ আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি নির্ভর চুক্তিতে উভয়েই স্বাক্ষর করেছি। এই চুক্তি আগামীদিনে আমাদের ভবিষ্যতকে নতুন আলো দেখাবে। আমাদের সহযোগিতাকে ডিজিটাল অংশীদারিত্ব থেকে সাইবার স্পেস পর্যন্ত, স্বাস্থ্য থেকে প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা পর্যন্ত এবং সাগর থেকে অন্তরীক্ষ পর্যন্ত – প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমাদের এই চুক্তি পূর্ণ সহমতিতে গড়ে উঠেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে জাপানের বিনিয়োগকারীরা ভারতে ২.৫ বিলিয়ন ডলার নতুন বিনিয়োগ ঘোষণা করেছে। এর ফলে, ভারতে প্রায় ৩০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। এই সফরে আমরা যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছি তাতে দ্বিপাক্ষিক ‘কারেন্সি সোয়াপ’ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের পূর্ণ সহমতিতে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং আর্থিক লেনদেনের ক্রমবর্ধমান ঝোঁক স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়।

 

বন্ধুগণ,

 

একবিংশ শতাব্দী এশিয়ার শতাব্দী। কিন্তু এর রূপ কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারা লাভবান হবে, কী করতে হবে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট, ভারত এবং জাপানের সহযোগিতা ছাড়া একবিংশ শতাব্দী এশিয়ার শতাব্দী হয়ে উঠতে পারে না। আবে সান এবং আমি, আমাদের বিদেশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের মধ্যে ২+২ বার্তালাপের ক্ষেত্রে সহমত হয়েছি। এর উদ্দেশ্য, বিশ্ব শান্তি এবং স্থিরতাকে উৎসাহ প্রদান। আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘে জাপানের প্রবেশ বা জাপানের অন্তর্ভুক্তিকরণ বিশ্বের উন্নয়নে এ হেন সহযোগিতার আরেকটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আগামী বছর জাপান ওসাকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। আগামী বছর জাপান রাগবি বিশ্ব কাপেরও আয়োজন করবে। প্রথমবার এশিয়ার কোন দেশ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে। আর, তারপর ২০২০-তে অলিম্পিকের আয়োজনও টোকিওতে হতে চলেছে। এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের জন্য আমার পক্ষ থেকে এবং গোটা ভারতের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে হার্দিক শুভকামনা জানাই।

 

বন্ধুগণ,

 

ভারত-জাপান সম্পর্কের প্রগতি জাপানের কাইজন দর্শনের মতোই অসীম। প্রধানমন্ত্রী আবের সঙ্গে মিলে আমি এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য দায়বদ্ধ। আমি আরেকবার আবে সানকে, জাপান সরকারকে এবং আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই।

 

দোমো ওরিগাতো গোজাইমস।

 

CG/SB/DM/…


(Release ID: 1551197) Visitor Counter : 228
Read this release in: English