PIB Headquarters
azadi ka amrit mahotsav

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ভারতকে রূপান্তরিত করা

₹১০,৩০০ কোটিরও বেশি বিনিয়োগ ও ৩৮,০০০ জিপিইউ - অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনের শক্তি

प्रविष्टि तिथि: 30 DEC 2025 1:43PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫

 

 

মূল বিষয়বস্তু

* পাঁচ বছরে IndiaAI মিশনের জন্য ₹১০,৩০০ কোটিরও বেশি বরাদ্দ, যার আওতায় ৩৮,০০০ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) স্থাপন।
* প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা বর্তমানে ৬০ লক্ষ মানুষ কর্মরত।
* ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্রের আয় চলতি বছরে ২৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ানোর পূর্বাভাস।
* ২০৩৫ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভারতের অর্থনীতিতে ১.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ করতে পারে।

ভূমিকা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত এক নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ভারত, যেখানে প্রযুক্তি জীবনকে রূপান্তরিত করছে এবং জাতির অগ্রগতিকে নতুন দিশা দিচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর গবেষণাগার বা বড় কর্পোরেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ানো থেকে শুরু করে কৃষকদের ফসল-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে সহায়তা - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জীবনকে করছে আরও সহজ, ও সংযুক্ত। ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষ বদলে দিচ্ছে, শহরকে করছে আরও পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ, আর দ্রুত ও তথ্যভিত্তিক শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে জনপরিষেবা উন্নত করছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল এমন প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যন্ত্র মানববুদ্ধি প্রয়োজন এমন কাজ সম্পাদন করতে পারে। অভিজ্ঞতা থেকে শেখা, নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং জটিল সমস্যা স্বাধীনভাবে সমাধান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার মূল সক্ষমতা।

এই অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে নীতি আয়োগের প্রতিবেদন ‘এআই ফর ইনক্লুসিভ সোসাইটাল ডেভেলপমেন্ট’ (অক্টোবর ২০২৫)-এ। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ বাড়িয়ে ভারতের ৪৯ কোটি অনানুষ্ঠানিক শ্রমিককে ক্ষমতায়িত করতে পারে।

বর্তমানে ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইকোসিস্টেম

ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্র দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে; চলতি বছরে আয় ২৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ানোর সম্ভাবনা।
প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইকোসিস্টেমে ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কর্মরত।
দেশে ১,৮০০-এর বেশি গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার, যার মধ্যে ৫০০-এরও বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-কেন্দ্রিক।
ভারতে প্রায় ১.৮ লক্ষ স্টার্টআপ রয়েছে; গত বছর চালু হওয়া নতুন স্টার্টআপের প্রায় ৮৯ শতাংশ তাদের পণ্য বা পরিষেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছে।
NASSCOM এআই অ্যাডপশন ইনডেক্সে ভারতের স্কোর ৪-এর মধ্যে ২.৪৫, যা নির্দেশ করে ৮৭ শতাংশ উদ্যোগ সক্রিয়ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গ্রহণে শীর্ষ ক্ষেত্র - শিল্প ও অটোমোটিভ, ভোক্তা পণ্য ও খুচরো, ব্যাংকিং–আর্থিক পরিষেবা–বিমা এবং স্বাস্থ্যসেবা; সম্মিলিতভাবে এগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-এর মোট মূল্যের প্রায় ৬০ শতাংশ অবদান রাখে।
সাম্প্রতিক বিসিজি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ২৬ শতাংশ ভারতীয় সংস্থা বৃহৎ পরিসরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিপক্বতা অর্জন করেছে।

ইন্ডিয়া এআই মিশন

“মেকিং এআই ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড মেকিং এআই ওয়ার্ক ফর ইন্ডিয়া”- এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ২০২৪ সালের মার্চে মন্ত্রিসভা ইন্ডিয়া এআই মিশন অনুমোদন করে। পাঁচ বছরে ₹১০,৩৭১.৯২ কোটি বরাদ্দ-সহ এই মিশন এআই-এ বিশ্বনেতৃত্বের পথে ভারতের এক নির্ধারক পদক্ষেপ।

ইন্ডিয়া এআই মিশনের সাতটি স্তম্ভ-

১. ইন্ডিয়া এআই কম্পিউট স্তম্ভ: সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চক্ষমতার জিপিইউ সরবরাহ।

২. ইন্ডিয়া এআই অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ: ভারত-নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন।

৩. এআইকোষ (ডেটাসেট প্ল্যাটফর্ম): এআই মডেল প্রশিক্ষণের জন্য বৃহৎ ডেটাসেট তৈরি।

৪. ইন্ডিয়া এআই ফাউন্ডেশন মডেলস: ভারতীয় তথ্য ও ভাষার ভিত্তিতে বৃহৎ বহুমাধ্যম মডেল উন্নয়ন।

৫. ইন্ডিয়া এআই ফিউচার স্কিলস

৬. ইন্ডিয়া এআই স্টার্টআপ ফাইন্যান্সিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপকে আর্থিক সহায়তা।

৭. সেফ অ্যান্ড ট্রাস্টেড এআই: দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গ্রহণে শক্তিশালী শাসন কাঠামো।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি উদ্যোগ ও নীতিগত জোর

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-এর উৎকর্ষ কেন্দ্র (CoE): গবেষণা-নির্ভর উদ্ভাবনে উৎসাহ দিতে স্বাস্থ্য, কৃষি ও সুস্থায়ী শহর-এই ক্ষেত্রে তিনটি CoE স্থাপন; বাজেট ২০২৫-এ শিক্ষা ক্ষেত্রে চতুর্থ CoE ঘোষণা।

এআই কম্পিটেন্সি ফ্রেমওয়ার্ক বা এআই সক্ষমতা কাঠামো: সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কাঠামোবদ্ধ প্রশিক্ষণ—নীতিনির্ধারণ ও শাসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের সক্ষমতা বৃদ্ধি।

সরভম এআই: আধার পরিষেবায় স্মার্ট সমাধান: বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক সংস্থা উন্নত এআই গবেষণাকে কার্যকর শাসন সমাধানে রূপান্তর করছে।

ভাষিণী: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির কণ্ঠস্বর: বহুভাষিক অনুবাদ ও স্পিচ টুলের মাধ্যমে ভাষা-ব্যবধান দূরীকরণ।

ভারতজেন এআই: ভারতের বহুভাষিক এআই মডেল: ২ জুন ২০২৫-এ ভারতজেন সামিটে +উন্মোচিত—সরকারি অর্থায়নে তৈরি প্রথম দেশীয় বহুমাধ্যম বৃহৎ ভাষা মডেল; ২২-টি ভারতীয় ভাষা সমর্থন করে এবং মূল পাঠ, আলাপন ও ভাব বোঝার সক্ষমতা রাখে।

ইন্ডিয়া এআই ইমপ্যাক্ট সামিট ২০২৬

২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে ভারত আয়োজন করবে ইন্ডিয়া এআই ইমপ্যাক্ট সামিট। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ ইভেন্টের লোগো ও প্রধান উদ্যোগগুলি উন্মোচিত হয়।

প্রধান উদ্যোগ:

এআই পিচ ফেস্ট (উড়ান): নারী নেতৃত্ব ও ভিন্নভাবে সক্ষম পরিবর্তনকারীদের লক্ষ্যে বৈশ্বিক এআই স্টার্টআপ প্ল্যাটফর্ম।
যুব, নারী ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের জন্য বৈশ্বিক উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ: বাস্তব জনচ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সমাধান।
রিসার্চ সিম্পোজিয়াম: ভারত, ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের মিলনমেলা।
এআই এক্সপো: দায়িত্বশীল, বুদ্ধিমত্তা-কেন্দ্রিক; ভারত-সহ ৩০+ দেশ থেকে ৩০০+ প্রদর্শক।

দৈনন্দিন জীবন ও কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা, শাসন ও জলবায়ু পূর্বাভাস—সব ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন উদ্ভাবনের ঢেউ আনছে। দ্রুত রোগনির্ণয়, কৃষিতে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত, শিক্ষার্থীদের শেখার ফল উন্নত করা এবং স্বচ্ছ শাসন—সবই সম্ভব হচ্ছে এআই-এর মাধ্যমে।

এই রূপান্তরের কেন্দ্রে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (LLM)—যা বিপুল তথ্য থেকে শিখে মানবসদৃশ লেখা বোঝা ও তৈরি -করতে পারে। চ্যাটবট, অনুবাদ টুল ও ভার্চুয়াল সহকারী—সবই LLM-এর ফসল; নাগরিক পরিষেবা, তথ্যপ্রাপ্তি ও মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জন সহজতর করে।

স্বাস্থ্যসেবা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাস্থ্যসেবা বদলে দিচ্ছে, প্রারম্ভিক রোগনির্ণয়, মেডিক্যাল স্ক্যান বিশ্লেষণ ও ব্যক্তিকৃত চিকিৎসা পরামর্শে সহায়তা করছে।

কৃষি: কৃষকদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল সহচর, আবহাওয়া পূর্বাভাস, কীট আক্রমণ শনাক্তকরণ, সেচ ও বপনের সঠিক সময় পরামর্শ। ন্যাশনাল পেস্ট সার্ভেইলেন্স সিস্টেম ও ক্রপ হেলথ মনিটরিং স্যাটেলাইট ডেটা, আবহাওয়া ও মাটির বিশ্লেষণ মিলিয়ে রিয়েল-টাইম পরামর্শ দেয়—ফসল ফলন ও আয় সুরক্ষা বাড়ায়।

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন: ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযোজন শেখাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভবিষ্যৎমুখী করছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ই-গভর্ন্যান্স ডিভিশন অংশীদারদের সঙ্গে মিলিয়ে "YUVAi: ইউথ ফর উন্নতি অ্যান্ড বিকাশ উইথ এআই" কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে - অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এআই ও সামাজিক দক্ষতায় সক্ষম করে।

শাসন ও বিচারব্যবস্থা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জনপরিষেবা ও শাসনে নতুন গতি আনছে। ই-কোর্টস প্রকল্প (পর্ব–৩)-এর অধীনে বিচারব্যবস্থাকে আরও দক্ষ ও সহজলভ্য করতে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন চলছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস ও জলবায়ু পরিষেবা: প্রাকৃতিক ঘটনায় পূর্বাভাস ও প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: নীতি আয়োগের ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফর ইনক্লুসিভ সোশিয়েটাল ডেভেলপমেন্ট’ (অক্টোবর ২০২৫) প্রতিবেদনে অনানুষ্ঠানিক শ্রমশক্তিকে ক্ষমতায়নের রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ, লক্ষ্যভিত্তিক স্কিলিং এবং শক্তিশালী উদ্ভাবন ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আধার, ইউপিআই ও জনধনের মতো ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ভারতের সাফল্য দেখায়, বৃহৎ পরিসরে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম সম্ভব।

২০৩৫ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাস্তবায়নে বিশ্বনেতৃত্বের লক্ষ্য, যাতে প্রযুক্তি কেবল প্রবৃদ্ধিই নয়, জীবিকা শক্তিশালীকরণ, সুযোগ সম্প্রসারণ এবং ন্যায্য ডিজিটাল অর্থনীতির পথে দেশের যাত্রাকে সমর্থন করে।

উপসংহার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ভারতের যাত্রা স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও দৃঢ় পদক্ষেপের প্রতিফলন। কম্পিউটিং পরিকাঠামো বিস্তার, দেশীয় মডেল উন্নয়ন ও স্টার্টআপ সহায়তার মাধ্যমে নাগরিককেন্দ্রিক শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও শাসনে বাস্তব প্রয়োগ তার প্রমাণ। ইন্ডিয়া এআই মিশন, ডিজিটাল শ্রমসেতু এবং ফাউন্ডেশনাল মডেল উন্নয়নের মতো কৌশলগত উদ্যোগ উদ্ভাবনকে নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে, একই সঙ্গে গবেষণা, দক্ষতা ও উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করছে। এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর পথে বিশ্বমানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নেতৃত্বে ভারতের উত্থান নিশ্চিত হচ্ছে।

তথ্যসূত্র

Ministry of Electronics & IT

Ministry of Communications

Department of Science and Technology

Ministry of Agriculture & Farmers Welfare

NITI Aayog

See in PDF

*****

PS/Agt


(रिलीज़ आईडी: 2210170) आगंतुक पटल : 2
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English