বস্ত্র মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

বস্ত্র মন্ত্রকের ২০২৫-এর বর্ষশেষ পর্যালোচনা

प्रविष्टि तिथि: 24 DEC 2025 1:10PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

 

সরকার সাতটি পিএম মিত্র পার্ক স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্বমানের পরিকাঠামো সমন্বিত এই পার্কগুলিতে ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সাত বছরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪,৪৪৫ কোটি টাকা। তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে এই পার্কগুলি গড়ে উঠবে। এই পার্কগুলির জন্য স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্র অনুসারে মোট ২৭,৪৩৪ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশা করা হচ্ছে। পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য এ পর্যন্ত ২,৫৯০.৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সবক’টি পার্কের পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ধার-এ একটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের পার্কগুলির জন্য বিস্তারিত প্রকল্প পর্যালোচনায় ৭,০২৪ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে পার্কের জন্য জমি বন্টনের নীতিতে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানার পার্কগুলির জন্য এ পর্যন্ত ১৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

বস্ত্রবয়ন ক্ষেত্রে গবেষণা, বাজার উন্নয়ন, শিক্ষা ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার জাতীয় কারিগরি বস্ত্র মিশনের সূচনা করেছে। এজন্য বরাদ্দ ১,৪৮০ কোটি টাকা। এই মিশনের লক্ষ্য হল, বিভিন্ন জাতীয় কর্মসূচি ও কৌশলগত ক্ষেত্রে কারিগরি বস্ত্রশিল্পের ব্যবহার বাড়ানো। এই কর্মসূচির মেয়াদ ৩১ মার্চ, ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বস্ত্রশিল্পের আকার ও মাত্রা বাড়াতে, একে প্রতিযোগিতার যোগ্য করে তুলতে এবং এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার বস্ত্রশিল্পের জন্য উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহদান প্রকল্প চালু করেছে। ২৪.০৯.২০২১ তারিখে এর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০,৬৮৩ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি ২০২৯-৩০ আর্থিক বছর পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পের আওতায় ৭৪টি আবেদন নির্বাচন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮,৭১১ কোটি টাকা। এর আনুমানিক টার্নওভার হবে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা এবং এখানে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৬৪ জনের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বস্ত্রশিল্পের রপ্তানিকে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে বস্ত্রশিল্প বাণিজ্য প্রসার বিভাগে ১১টি পর্ষদ রপ্তানির ওপর লক্ষ্য রাখছে। ২০২৪ সালে ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম বস্ত্র ও অলঙ্কার রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ভারতের মোট রপ্তানির ৮.৬৩ শতাংশ এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৪.১ শতাংশ অধিকার করে রয়েছে এই ক্ষেত্র। ২০২৪-২৫ সালে হস্তশিল্প সহ ভারতের বস্ত্র ও অলঙ্কার রপ্তানি ৩৭.৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। এই ক্ষেত্রে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ ২৮.২ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মতো প্রথাগত বাজারে ৫৫ শতাংশ রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো উদীয়মান বাজারে রপ্তানি হয় ২০ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানির পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি মেটাতে এবং এই মূল্যশৃঙ্খলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক ‘সমর্থ’ প্রকল্প চালু করেছে। এর আওতায় হস্তচালিত তাঁত ও হস্তশিল্পের মতো প্রথাগত ক্ষেত্রগুলির আধুনিকীকরণ, বস্ত্রশিল্পে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং উদ্ভাবনের প্রসারে উদ্যোগ স্থাপনকে উৎসাহ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৫.৪১ লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যার ৮৮ শতাংশই মহিলা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৭৫ শতাংশই এই ক্ষেত্রে কাজ পেয়েছেন। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে আরও ২ লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

তুলোক্ষেত্র দেশের কৃষি অর্থনীতির এক প্রধান ভিত্তি। এখানে প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক তাঁদের জীবিকা অর্জন করেন। এর মূল্যশৃঙ্খলের সঙ্গে জড়িত আরও ৪-৫ কোটি মানুষ। ২০২৪-২৫-এর তুলো মরশুমে বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড ৫২৫ লক্ষ কুইন্টাল তুলো বীজ ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিনেছে। এজন্য কৃষকদের ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য কাপাস কিষাণ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কাঁচা তুলো আমদানির ওপর সীমাশুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। তুলোর উৎপাদন বাড়াতে পাঁচ বছরের একটি মিশনও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ব বাজারে ভারতীয় তুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ‘কস্তুরি কটন ভারত’ শীর্ষক কর্মসূচিতে তুলোর শংসাপত্র প্রদান, চিহ্নিতকরণ ও ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে।

নয়াদিল্লি, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

সরকার সাতটি পিএম মিত্র পার্ক স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্বমানের পরিকাঠামো সমন্বিত এই পার্কগুলিতে ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সাত বছরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪,৪৪৫ কোটি টাকা। তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে এই পার্কগুলি গড়ে উঠবে। এই পার্কগুলির জন্য স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্র অনুসারে মোট ২৭,৪৩৪ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশা করা হচ্ছে। পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য এ পর্যন্ত ২,৫৯০.৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সবক’টি পার্কের পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ধার-এ একটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের পার্কগুলির জন্য বিস্তারিত প্রকল্প পর্যালোচনায় ৭,০২৪ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে পার্কের জন্য জমি বন্টনের নীতিতে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানার পার্কগুলির জন্য এ পর্যন্ত ১৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

বস্ত্রবয়ন ক্ষেত্রে গবেষণা, বাজার উন্নয়ন, শিক্ষা ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার জাতীয় কারিগরি বস্ত্র মিশনের সূচনা করেছে। এজন্য বরাদ্দ ১,৪৮০ কোটি টাকা। এই মিশনের লক্ষ্য হল, বিভিন্ন জাতীয় কর্মসূচি ও কৌশলগত ক্ষেত্রে কারিগরি বস্ত্রশিল্পের ব্যবহার বাড়ানো। এই কর্মসূচির মেয়াদ ৩১ মার্চ, ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বস্ত্রশিল্পের আকার ও মাত্রা বাড়াতে, একে প্রতিযোগিতার যোগ্য করে তুলতে এবং এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার বস্ত্রশিল্পের জন্য উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহদান প্রকল্প চালু করেছে। ২৪.০৯.২০২১ তারিখে এর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০,৬৮৩ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি ২০২৯-৩০ আর্থিক বছর পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পের আওতায় ৭৪টি আবেদন নির্বাচন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮,৭১১ কোটি টাকা। এর আনুমানিক টার্নওভার হবে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা এবং এখানে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৬৪ জনের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বস্ত্রশিল্পের রপ্তানিকে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে বস্ত্রশিল্প বাণিজ্য প্রসার বিভাগে ১১টি পর্ষদ রপ্তানির ওপর লক্ষ্য রাখছে। ২০২৪ সালে ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম বস্ত্র ও অলঙ্কার রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ভারতের মোট রপ্তানির ৮.৬৩ শতাংশ এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৪.১ শতাংশ অধিকার করে রয়েছে এই ক্ষেত্র। ২০২৪-২৫ সালে হস্তশিল্প সহ ভারতের বস্ত্র ও অলঙ্কার রপ্তানি ৩৭.৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। এই ক্ষেত্রে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ ২৮.২ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মতো প্রথাগত বাজারে ৫৫ শতাংশ রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো উদীয়মান বাজারে রপ্তানি হয় ২০ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানির পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি মেটাতে এবং এই মূল্যশৃঙ্খলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক ‘সমর্থ’ প্রকল্প চালু করেছে। এর আওতায় হস্তচালিত তাঁত ও হস্তশিল্পের মতো প্রথাগত ক্ষেত্রগুলির আধুনিকীকরণ, বস্ত্রশিল্পে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং উদ্ভাবনের প্রসারে উদ্যোগ স্থাপনকে উৎসাহ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৫.৪১ লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যার ৮৮ শতাংশই মহিলা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৭৫ শতাংশই এই ক্ষেত্রে কাজ পেয়েছেন। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে আরও ২ লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

তুলোক্ষেত্র দেশের কৃষি অর্থনীতির এক প্রধান ভিত্তি। এখানে প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক তাঁদের জীবিকা অর্জন করেন। এর মূল্যশৃঙ্খলের সঙ্গে জড়িত আরও ৪-৫ কোটি মানুষ। ২০২৪-২৫-এর তুলো মরশুমে বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড ৫২৫ লক্ষ কুইন্টাল তুলো বীজ ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিনেছে। এজন্য কৃষকদের ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য কাপাস কিষাণ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কাঁচা তুলো আমদানির ওপর সীমাশুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। তুলোর উৎপাদন বাড়াতে পাঁচ বছরের একটি মিশনও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ব বাজারে ভারতীয় তুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ‘কস্তুরি কটন ভারত’ শীর্ষক কর্মসূচিতে তুলোর শংসাপত্র প্রদান, চিহ্নিতকরণ ও ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে।

পশম ক্ষেত্রের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে বস্ত্র মন্ত্রক সংযুক্ত পশম উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করেছে। ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ পর্যন্ত চলা এই কর্মসূচির জন্য মোট বরাদ্দ হয়েছে ১২৬ কোটি টাকা। লাদাখ অঞ্চলের পশমিনা জিআই ট্যাগ পেয়েছে। লেহ ও শ্রীনগরে পশমিনা পরীক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ১১টি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে ২১১টি শিয়ারিং মেশিন কেনার অর্থ পাঠানো হয়েছে। পশম ক্রয়, যাযাবরদের জন্য ৪০০টি বহনযোগ্য তাঁবু কেনা এবং ৩০০টি সুরক্ষিত প্রবালের জন্য ৪ কোটি টাকার একটি তহবিল স্থাপন করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পশমিনা মার্ক, ইন্ডিয়ান উল মার্ক এবং কলিন মার্কের মতো বিভিন্ন ব্র্যান্ড। পশম প্রক্রিয়াকরণের জন্য ছ’টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ সালে দেশে কাঁচা রেশমের উৎপাদন ৪১,১২১ টনে পৌঁছেছে, যা ২০১৩-১৪ সালের ২৬,৪৮০ টনের তুলনায় ৫৫.৩০ শতাংশ বেশি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে এই বৃদ্ধির হার ৮১.৭৬ শতাংশ। রেশম উৎপাদনে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। প্রতি হেক্টরে কাঁচা রেশমের উৎপাদনও বেড়ে ১১২ কেজি হয়েছে, যা ২০১৩-১৪ সালের ৯৫.৯৩ কেজির তুলনায় ১৬.৭৫ শতাংশ বেশি। এই ক্ষেত্রে আনুমানিক ৯৭.৩০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০১৩-১৪ সাল এই সংখ্যা ছিল ৭৮.৫০ লক্ষ। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদগুলির সাংগঠনিক পুনর্গঠন করা হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত প্রয়াসের আওতায় দেশে তৈরি স্বয়ংক্রিয় সিল্ক রিলিং মেশিনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। উপগ্রহ-ভিত্তিক তথ্য ব্যবহার করে SILKS পোর্টালকে উন্নত করা হয়েছে। রেশমের দাম এসএমএস-এর মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ কৃষকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তসর বোনার জন্য ‘বুনিয়াদ’ রিলিং মেশিন ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ও চৌকি কেন্দ্রগুলির নথিভুক্তিকরণ, পুনর্নবীকরণ ও পরিদর্শনের জন্য ওয়েব ও মোবাইল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে। দেশীয় শিল্পক্ষেত্রের সুরক্ষায় কাঁচা রেশমের জন্য ১৫ শতাংশ এবং রেশম বস্ত্রের জন্য ২০ শতাংশ সীমাশুল্ক ধার্য করা হয়েছে।

প্যাকেজিং-এর ক্ষেত্রে পাটের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ এবং চিনির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পাটের বস্তায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সংরক্ষণের ফলে পাটক্ষেত্রে সরাসরি ৩.৭০ লক্ষ শ্রমিক ও ৪০ লক্ষ কৃষকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। ২০২৪-২৫ সালে সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৪.১৬ লক্ষ কুইন্টাল কাঁচা পাট কিনেছে। এজন্য ২০৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। উপকৃত হয়েছেন ৮৩ হাজার কৃষক। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে পাট কেনাকে ডিজিটাইজ করতে সরকার ‘পাট-মিত্র’ পদ্ধতি চালু করেছে। পাটক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে চালু হয়েছে জাতীয় পাট উন্নয়ন কর্মসূচি। এর আওতায় সরকার ৭২ হাজার পাট কৃষককে বিভিন্ন প্রজাতির বীজ দিয়েছে।

ফ্যাশন শিক্ষা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনলজি (এনআইএফটি) নেতৃত্বদান করছে। বারাণসীতে এনআইএফটি-র ১৯তম ক্যাম্পাসের সূচনা হয়েছে। চালু হয়েছে, স্নাতক পর্যায়ের এক অনন্য কর্মসূচি। বেগুসরাইতে এর একটি সম্প্রসারিত কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অফ ফ্যাশন টেকনলজি ইনস্টিটিউটস-এর ২৭তম বার্ষিক সম্মেলনে এখানকার পড়ুয়া গবেষণাপত্র পেশ করার সম্মান পেয়েছেন। জনজাতিদের ফ্যাশন ও এ সংক্রান্ত পণ্যের উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা গড়ে তোলা হয়েছে। এনআইএফটি-র ফ্যাশন জার্নাল প্রকাশের সূচনা হয়েছে।

দেশের হস্তশিল্প পরিমণ্ডলকে উৎসাহ দিতে সরকার কারিগরদের কল্যাণ, কাঁচামাল ও বিপণনে সহায়তা করছে। হস্তশিল্পের বিক্রি বাড়াতে ৩০৭টি বিপণন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ১২টি হস্তশিল্প উৎপাদক কোম্পানি এবং ছয়টি হস্তশিল্প গ্রাম। আরও দুটি হস্তশিল্প গ্রামের কাজ চলছে। এর সঙ্গে পর্যটনকেও সংযুক্ত করা হয়েছে। চারটি হস্তশিল্প পণ্যকে জিআই ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। মেগা ক্লাস্টার উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৪.৮০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছে। উপকৃত হয়েছেন ২,১৩৩ জন তাঁতি। মুদ্রা যোজনায় ১১,৫৪৪ জন তাঁতিকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। কাঁচামাল সরবরাহ প্রকল্পে ৪৯৫.৩৩ লক্ষ কেজি সুতো দেওয়া হয়েছে। উপকৃত হয়েছেন ৫.৩৮ লক্ষ তাঁতি। তাঁদের ‘ই-পেহচান’ কার্ড দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন পোর্টালের সূচনা হয়েছে।

হস্তশিল্প ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় হস্তশিল্প উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সার্বিক হস্তশিল্প ক্লাস্টার উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ‘পেহচান’ প্রকল্পের আওতায় ১.৩০ লক্ষ কারিগরকে নথিভুক্ত করে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। ৬৭টি হস্তশিল্প উৎপাদক সংস্থাকে অনুমোদন দিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন হস্তশিল্প ক্লাস্টারে ৯২২টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এজন্য খরচ হয়েছে ৫৯.১৩ কোটি টাকা। উপকৃত হয়েছেন ৩২,৩৯৮ জন হস্তশিল্পী। হস্তশিল্পের বিক্রি বাড়াতে ৪৬২টি বিপণন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

৭৪৬টি ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এজন্য খরচ হয় ৩২.৮২ কোটি টাকা। উপকৃত হন ২৮,৮৪০ জন কারিগর। দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ৫১৭টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এজন্য খরচ হয়েছে ৪১.৫৭ কোটি টাকা। উপকৃত হয়েছেন ১৫,৫১০ জন কারিগর। ২১.৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬২টি গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উপকৃত হয়েছেন ৫,৪৯৫ জন কারিগর। lndiaHandmade.com ই-কমার্স পোর্টাল এবং BharatiyaVastraEvamShilpaKosh পোর্টালের সূচনা হয়েছে। মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য ‘শিল্পী দিদি’ শীর্ষক বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভারী শিল্প মন্ত্রক ২০২৪ সালে তাঁত ও এমব্রয়ডারি মেশিন সহ যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিবৃতি প্রকাশ করে। এটি চলতি বছরের ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। শিল্প মহলের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার সময়সীমা পিছিয়ে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৬ করা হয়েছে।

মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির মোকাবিলায় সরকার রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর ছাড় প্রকল্পের সময়সীমা ৩১ মার্চ, ২০২৬ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাকা সংস্থাগুলিও এর সুবিধা পাবে। পোশাক রপ্তানিকারক সংস্থাগুলিকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় করের ওপর ছাড়ের প্রকল্পের মেয়াদ ৩১.০৩.২০২৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কৃত্রিম সুতোর পোশাকের ওপর ন্যূনতম আমদানি মূল্য ঐ একই তারিখ পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। আমদানির ওপর নজরদারির জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এক কার্যকর ব্যবস্থা।

২,৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের তৈরি পোশাকের ওপর জিএসটি-র হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগে এই সুবিধা ১,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের পোশাকের ওপর পাওয়া যেত। হাতে তৈরি পোশাক ও সুতোর ক্ষেত্রে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। কার্পেট ও ফ্লোর কভারিং-এর ওপর জিএসটি-র হার ১২ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। হস্তশিল্প পণ্যের ওপর জিএসটি-র হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। সেলাই মেশিনের ওপর জিএসটি-র হারও ১২ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৫ শতাংশ।

ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে ও বিধিগত বাধ্যবাধকতার বোঝা কমাতে জন-বিশ্বাস (সংস্থান সংশোধনী) বিল, ২০২৫ আনা হয়েছে। এই ক্ষেত্রকে ফৌজদারি অপরাধমুক্ত করতে কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদ আইন, টেক্সটাইল কমিটি আইন এবং হ্যান্ডলুম (রিজার্ভেশন অফ আর্টিক্যালস ফর প্রোডাকশন) আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধন করা হয়েছে।

নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে ১৪-১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভারতের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বস্ত্র মেলা ভারত টেক্স, ২০২৫ সাফল্যের সঙ্গে আয়োজিত হয়েছে। ২২ লক্ষ বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে আয়োজিত এই বিশাল মেলায় ৫ হাজারেরও বেশি প্রদর্শনকারী অংশ নেন। ভারতের বস্ত্র পরিমণ্ডলের এক সার্বিক চালচিত্র এই মেলায় ফুটে ওঠে। ১১২টিরও বেশি দেশের বস্ত্রশিল্প সংস্থার কর্ণধার, নীতি-নির্ধারক, শিল্প নেতা এতে অংশ নেন। সরকারের ‘ফার্ম টু ফাইবার ফ্যাব্রিক ফ্যাশন অ্যান্ড ফরেন মার্কেটস’ ভাবনা রূপায়ণের এক মঞ্চ হিসেবে এই মেলার আয়োজন করা হয়। ভারতের বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে রপ্তানির পরিমাণ ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানির পরিমাণ তিনগুণ বাড়িয়ে ৯ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

*****

PS/Agt


(रिलीज़ आईडी: 2208689) आगंतुक पटल : 3
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English