মহাকাশদপ্তর
মহাকাশ দপ্তর – বর্ষশেষের পর্যালোচনা ২০২৫
प्रविष्टि तिथि:
17 DEC 2025 5:15PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্পাডেক্স মিশন: ডকিং, আনডকিং, সারকাম – নেভিগেশন পরীক্ষা সহ শক্তি হস্তান্তর প্রযুক্তির প্রদর্শন
২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর পিএসএলভি – সি৬০ সাফল্যের সঙ্গে স্পাডেক্স (স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট) উপগ্রহগুলিকে পরিকল্পনামাফিক ৪৭৪ কিলোমিটারের বৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করেছে। মহাকাশে ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি ২টি মহাকাশযানের ডকিং সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে।
এই মিশনে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির প্রদর্শন দেখা গেছে।
২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল পুনরায় স্পাডেক্স প্ল্যাটফর্ম এবং মহাকাশযানের ডকিং সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়। এরপর, মহাকাশযানটিকে কম্বাইন্ড কন্ট্রোল মোডে নিয়ে গিয়ে শক্তি হস্তান্তরের পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে।
সিআরওপিএস: মহাকাশে জৈবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য
এটি একটি মানবহীন পরীক্ষামূলক মডিউল, যার মাধ্যমে ইসরো মহাকাশে লতাপাতার বৃদ্ধি ও বিকাশ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। প্রথম মিশনে অঙ্কুরোদগম এবং ২টি পাতার স্তর পর্যন্ত বৃদ্ধি খতিয়ে দেখা হয়। সিরাওপিএস-১’কে পেলোড হিসেবে পিওইএম-৪ প্ল্যাটফর্মে পিএসএলভি-সি-৬০ মিশনে নিয়ে যাওয়া হয়, এখানে ৫-৭ দিনের জন্য অঙ্কুরোদগম ও লতাপাতার বৃদ্ধি পরীক্ষা করা হয়। এরপর, মূল উপগ্রহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পিওইএম প্ল্যাটফর্ম’কে ৩৫০ কিলোমিটারের কক্ষপথে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাপমাত্রা রাখা হয় ২০-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ৯০ মিনিট পর, গ্রাউন্ড কন্ট্রোলারের মাধ্যমে ইলেক্ট্রিক ভাল্ব খুলে মাটিতে জল দেওয়া হয়। দেখা যায় যে, নিম্ন কক্ষপথে কার্বননডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়ছে অর্থাৎ অঙ্কুরোদগম হচ্ছে। চতুর্থ দিনে অঙ্কুরোদগমের প্রকাশ ঘটে, পঞ্চম দিনে ২টি পাতা দেখা যায়।
আদিত্য এল-১ এর তথ্য প্রকাশ ও পেলোড সংক্রান্ত মূল্যায়ন নিয়ে জাতীয় স্তরে আলোচনা
২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি ইসরো বেঙ্গালুরু’তে সদর দপ্তরে ভারতের প্রথম মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আদিত্য এল-১ থেকে পাওয়া বৈজ্ঞানিক তথ্য সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের সামনে প্রকাশ করে। এই সম্মেলনে ৪০ জন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ এবং ১৫টি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রের পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিলেন।
মিশনের ৭টি রিমোট সেন্সিং ও অনসাইট পরীক্ষার তথ্য প্রকাশ করা হয়। মহাকাশযানের যন্ত্রপাতির কাজের মূল্যায়নও করা হয়। দ্বিতীয় দফার তথ্য প্রকাশ করা হয় ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
তৃতীয় লঞ্চপ্যাড স্থাপনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রে ইসরো’র তৃতীয় লঞ্চপ্যাড স্থাপনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।
শ্রীহরিকোটা থেকে ভারতের মহাকাশ বন্দরে শততম উৎক্ষেপণ: জিএসএলভি এফ-১৫/এনভিএস – ০২
২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি শ্রীহরিকোটা মহাকাশ বন্দর থেকে জিএসএলভি রকেটের সপ্তদশ উড়ানে ইসরো তার শততম উৎক্ষেপণ করেছে। এই মিশনে এনভিএস-০২ দিক-নির্ণায়ক উপগ্রহকে সাফল্যের সঙ্গে পরিকল্পিত ভূ-সমন্বায়ক কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।
পিএসএলভি অর্বিটাল এক্সপেরিমেন্টাল মডিউল – এর সহস্রতম কক্ষপথ পরিক্রমা সম্পন্ন
পিএসএলভি’র চতুর্থ স্তরের অর্বিটাল এক্সপেরিমেন্টাল মডিউল ২৪টি পেলোড বহন করেছে। এর মধ্যে ১০টি অ-সরকারি সংগঠনের এবং ১৪টি ইসরো’র নিজের। সবকটি ক্ষেত্রেই পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সালের ৪ মার্চ পিওইএম-৪ তার সহস্রতম কক্ষপথ সম্পূর্ণ করেছে। মহাকাশে রোবোটিক্স, অঙ্কুরোদগম, মাইক্রো গ্র্যাভিটি’তে জীবাণুর বৃদ্ধি, অ্যামেচার রেডিও সিগন্যাল সেন্সর প্রভৃতি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
চণ্ডীগড় এসসিএল – এর সঙ্গে মহাকাশের জন্য ইসরো প্রথম ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ৩২ বিট মাইক্রো প্রসেসার তৈরি করেছে
২০২৫ সালের ৫ মার্চ মহাকাশে ব্যবহারের জন্য প্রথম ব্যাচের দুটি ৩২ বিট মাইক্রো প্রসেসার ইসরো ও চণ্ডীগড়ের এসসিএল – এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এগুলি উৎক্ষেপণযানের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও ব্যবহারযোগ্য।
আইআইটি মাদ্রাজে উৎকর্ষ কেন্দ্রের উদ্বোধন
২০২৫ সালের ১৭ মার্চ ইসরো’র চেয়ারম্যান/মহাকাশ দপ্তরের সচিব ফ্লুইড ও থার্মাল সায়েন্স নিয়ে গবেষণার জন্য আইআইটি মাদ্রাজে প্রখ্যাত মহাকাশ বিজ্ঞানী প্রয়াত ডঃ এস রামাকৃষ্ণণের নামাঙ্কিত উৎকর্ষ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর এই বিষয়ে ইসরো এবং আইআইটি মাদ্রাজের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
ইলেক্ট্রিক প্রোপালসান সিস্টেমের জন্য স্টেশনারী প্লাজমা থ্রাস্টার – এর ১ হাজার ঘন্টা ফায়ারিং লাইফের পরীক্ষা
২০২৫ সালের ২৭ মার্চ ইসরো উপগ্রহের ইলেক্ট্রিক প্রোপালসান সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তির জন্য ৩০০ এমএন স্টেশনারী প্লাজমা থ্রাস্টারের ১ হাজার ঘন্টা ফায়ারিং লাইফের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এটি ভবিষ্যতে ইসরো’র উপগ্রহগুলিতে কেমিকেল প্রোপালসান সিস্টেম’কে প্রতিস্থাপিত করবে।
মহাকাশে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ইসরো’র প্রধান ভূমিকা
ভারত ইসরো’র মাধ্যমে ‘ইন্টারন্যাশনাল চার্টার স্পেস অ্যান্ড মেজর ডিজাস্টার’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ভারত এই সনদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ। ২০২৫ সালে এই সনদের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই সনদে আরও ১৭টি সংস্থা স্বাক্ষর করেছে।
ইসরো’র উপগ্রহের মাধ্যমে গম উৎপাদনের পূর্বাভাষ
দূরসংবেদী উপগ্রহগুলির মাধ্যমে ইসরো ভারতের ৮টি প্রধান গম উৎপাদন রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে ১২২.৭২৪ মিলিয়ন টন গম উৎপাদনের পূর্বাভাষ দিয়েছে। উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে জানা গেছে যে, ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে গম উৎপাদনের মোট এলাকা ছিল ৩৩০.৮ লক্ষ হেক্টর। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের (৩২৪.৩৮ হেক্টর) সঙ্গে এই পরিসংখ্যান সাযুজ্যপূর্ণ।
মহাকাশ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পড়ুয়াদের নিয়ে কর্মসূচি
মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ ও সচেতনতা বাড়াতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পড়ুয়াদের বেঙ্গালুরু’তে ইসরো’র সদর দপ্তর ঘুরিয়ে দেখানো হয়। এ পর্যন্ত ৭টি ব্যাচে প্রায় ৭০০ জন পড়ুয়াকে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইসরো’র সদর দপ্তর ঘুরে দেখার পাশাপাশি, তাঁরা সেখানে কর্মরত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলাপচারিতারও সুযোগ পেয়েছে।
ভারত জিএলইএক্স ২০২৫ – এর আয়োজন দেশ: মহাকাশ অনুসন্ধানে বিশ্বজনীন আগ্রহ
গ্লোবাল স্পেস এক্সপ্লোরেশন কনফারেন্স – জিএলইএক্স ২০২৫ নতুন দিল্লিতে ৭-৯ মে আয়োজিত হয়। ইসরো এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশনের অধীন অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সোস্যাইটি অফ ইন্ডিয়া যৌথভাবে এর আয়োজন করে। ৩৫টিরও বেশি দেশের মহাকাশচারী ও মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ২৪০টিরও বেশি আলাপচারিতামূলক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
পিএসএলভি – সি-৬১/ইওএস – ০৯ মিশন
ইসরো’র ১০১তম উৎক্ষেপণ প্রয়াস পিএসএলভি - সি-৬১ মিশনে ১ হাজার ৬৯৬ কেজি ওজনের ইওএস-০৯ পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ ৫০৯ কিলোমিটারের সূর্য সমন্বায়ক উপবৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এর সুবাদে ভারত সব মরশুমে কৃষি, বিপর্যয় মোকাবিলা ও নজরদারি সংক্রান্ত তথ্য পাবে। তবে, তৃতীয় পর্যায়ে একটি পর্যবেক্ষণের জন্য এই মিশন সম্পূর্ণ হয়নি।
সেমিক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন পাওয়ার হেড টেস্ট আর্টিকেলের তৃতীয় হট টেস্ট সফল
ইসরো ২০২৫ সালের মার্চ মাসে সেমিক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন পাওয়ার হেড টেস্ট আর্টিকেলের একগুচ্ছ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই সেমিক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন বর্তমান লিক্যুইড কোর স্টেজ ইঞ্জিনকে প্রতিস্থাপিত করবে, বাড়বে পেলোড বহনের ক্ষমতা।
ভোপালের স্পেস টেকনোলজি ইনক্যুবেশন সেন্টার ফেসিলিটি’তে ইসরো’র কর্মশালা
২০২৫ সালের ২২ মে ইসরো মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের জন্য একদিনের এই কর্মশালার আয়োজন করে। ইসরো’র চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণন এর উদ্বোধন করেন। শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এই কর্মশালার লক্ষ্য ছিল। ৭০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০-রও বেশি শিক্ষাবিদ ও গবেষক এতে অংশগ্রহণ করেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে প্রথম ভারতীয়: গগন যাত্রী শুভাংশু শুক্লা’কে নিয়ে অ্যাক্সিয়ম – ০৪ মিশন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন
অ্যাক্সিয়ম – ০৪ মিশনে ১৮ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে কাটানোর পর, ইসরো’র মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। ইসরো ও ভারতের কাছে এ এক গর্বের মুহূর্ত। ২০২৫ সালের ২৫ জুন এই মিশন শুরু হয়েছিল। নাসা, অ্যাটমিক স্পেস, ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি এই মিশনে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে থাকার সময়ে শুভাংশু চমৎকারভাবে মাইক্রো গ্র্যাভিটি পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেন। তিনি অসংখ্য ছবি ও ভিডিও তুলেছেন। মাইক্রো গ্র্যাভিটি পরিবেশে ৭টি পরীক্ষা তিনি সফলভাবে সম্পন্ন করেন। তাঁর এই সাফল্য সারা দেশে উদযাপিত হয়। আগামী প্রজন্মের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে আগ্রহের সঞ্চার করে। ২০২৫ সালের ২৮ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে শুভাংশু লাইভ ভিডিও কলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শুভাংশুর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। মহাকাশে ভারতের জাতীয় পতাকা দেখে দেশজুড়ে যে অভূতপূর্ব আনন্দের হিল্লোল বয়ে গেছে, তা জানান শুভাংশু’কে। ০৩ জুলাই শুভাংশু ত্রিবান্দ্রম ও লক্ষ্ণৌয়ের স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে কথা বলেন। মহাকাশচারী কিভাবে হওয়া যায়, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পরিবেশ ও পরিস্থিতি কেমন – এই নিয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
আইআইটি খড়্গপুরে ইসরো – এসটিসি সম্মেলন
২০২৫ সালের পয়লা ও ২ জুলাই আইআইটি খড়্গপুরে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইসরো’র ৯টি মহাকাশ প্রযুক্তি সেলের নির্বাচিত গবেষণা প্রকল্পগুলির একটি সঙ্কলন প্রকাশ করা হয়।
স্পেস ভিশন ২০৪৭ – এর রূপায়ণের লক্ষ্যে মহাকাশ দপ্তরের উদ্যোগে চিন্তন শিবির ২০২৫
জুলাই ১৬-১৮, ২০২৫ তিনদিনের এই চিন্তন শিবিরে ইসরো, এনএসআইএল এবং আরও নানা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা মতবিনিময় করেন। বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় মহাকাশ পরিবহণ, মহাকাশ পরিকাঠামো, মহাকাশ প্রকৌশল, মানব আরোহী সহ মহাকাশযানের অভিযানের মতো বিষয়।
এনআইএসএআর মিশন: মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারত – মার্কিন সহযোগিতার অধ্যায়ে একটি মাইলফলক
নাসা – ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার র্যাডার হ’ল – দুই মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে বহির্বিশ্বে পাঠানো প্রথম উপগ্রহ। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে তা বহির্বিশ্বে পাড়ি দেয় ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে। ২ হাজার ৩৯২ কিলোগ্রাম ওজনের এই উপগ্রহ ভূ-পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি হয়েছে এবং তাতে রয়েছে – অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরঞ্জাম।
লাদাখে ইসরো’র স্পেস অ্যানালগ মিশন
ইসরো মহাকাশে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে জোরকদমে। ২০৪০ সাল নাগাদ চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাতে চায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব ইসরো’র হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের। মহাকাশচারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া একটি অত্যন্ত জরুরি বিষয়। সেজন্যই ২০২৫ – এর ৩১ জুলাই লাদাখের সো কার উপত্যকায় বিশেষ এই অভিযানের সূচনা করেন মহাকাশ দপ্তরের সচিব এবং ইসরো’র চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণন।
কালাম ১২০০ সলিড মোটরের সফল পরীক্ষণ
শ্রীহরিকোটার এসডিএসসি এসএইচআর কেন্দ্রে এই কাজ হয়েছে এ বছরের ০৮ অগাস্ট। এই মোটর তৈরি করেছে শ্রীহরিকোটার সলিড প্রপেল্যান্ট প্ল্যান্ট। স্কাই রুট এয়ারস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড – এর বিক্রম-১ উৎক্ষেপণ অভিযানের প্রথম পর্বে এই সাফল্য ভারত সরকারের মহাকাশ নীতি ২০২৩ – এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা মহাকাশ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে চায়।
নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপম – এ জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্তরের আলোচনাসভা
২০২৫ সালের ২২ অগাস্ট এই বৈঠকে আলোচ্য বিষয় ছিল, বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে মহাকাশ প্রযুক্তির প্রয়োগ। এতে যোগ দেন বিভিন্ন মন্ত্রক, রাজ্য প্রশাসন, শিক্ষা জগৎ ও শিল্প মহলের প্রতিনিধিরা। একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন হয় সেখানে।
গগনযান অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ড্রপ টেস্ট সফলভাবে সম্পন্ন
শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রে ২০২৫ – এর ২৪ অগাস্ট এই পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ইসরো। গগনযান অভিযানে এই এয়ারড্রপের ক্ষেত্রে প্যারাস্যুট প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হবে। সেকথা মাথায় রেখে চার ধরনের প্যারাস্যুট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে।
কুলাসেকারাপাত্তিনামে এসএসএলভি লঞ্চ কমপ্লেক্সের শিলান্যাস
২০২৫ – এর ২৭ অগাস্ট এই উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রের শিলান্যাস করেন ইসরো’র চেয়ারম্যান। অত্যাধুনিক এই কমপ্লেক্সে যাবতীয় প্রযুক্তিগত পরিষেবার ব্যবস্থা থাকবে। এই কর্মসূচিতে সামিল করা হয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্রকেও।
এমপিটিটিএফ এবং আইটিপিএফ ব্যবস্থাপনার সূচনা
কর্ণাটকের টুমাকুরু’তে ২০২৫ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর এই ব্যবস্থাপনার সূচনা হয়। এর মাধ্যমে মনোপ্রপেল্যান্ট হাইড্রাজাইন থার্স্টার সহ আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের গুণমান যাচাই হবে।
ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান নির্মাণের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর চুক্তি
নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড, ইসরো, ইন-স্পেস এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনোটিক্স ইন্ডিয়া লিমিটেড – এর মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে ২০২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ নিকটবর্তী কক্ষপথে পাঠানো যাবে। মহাকাশ প্রযুক্তি ও অভিযানের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সিডনী’তে ৭৬তম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল কংগ্রেসে নিজের সাফল্য তুলে ধরল ভারত
২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ০৩ অক্টোবর এই সমারোহে বিগত ছয় দশকে মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়া স্পেস প্যাভিলিয়নে প্রায় ২৩টি স্টার্টআপ-ও নিজেদের তৈরি পণ্য ও সরঞ্জাম প্রদর্শন করে।
এছাড়াও, ২০২৫ সালের ০২ নভেম্বর এলভিএম-৩ উৎক্ষেপণযানের মাধ্যমে সিএমএস-০৩ যোগাযোগ উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। এলভিএম-৩ – এম-৫ মিশনের আওতায় সি-২৫ ক্রায়োজেনিক স্টেজ ডেমোনস্ট্রেশন পুনরায় চালু করা হয়েছে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নতুন একটি এক্সো প্ল্যানেটেরও খোঁজ পেয়েছে। স্পেস মেডিসিন ক্ষেত্রেও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
SC/SD/SB
(रिलीज़ आईडी: 2206166)
आगंतुक पटल : 8