পর্যটন মন্ত্রক
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পর্যটনের উন্নয়ন
प्रविष्टि तिथि:
04 DEC 2025 3:44PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫: পর্যটন মন্ত্রক তার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি সহ ভারতের বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্য এবং পণ্যগুলিকে সামগ্রিকভাবে প্রচার করে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে প্রচারমূলক অনুষ্ঠান, মেলা ও উৎসব আয়োজনে রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনকে সহায়তা, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি।
পর্যটন মন্ত্রক ২০১৩ সাল থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আন্তর্জাতিক পর্যটন মার্ট (আইটিএম) আয়োজন করে আসছে। আইটিএম হল একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান যা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় দর্শকদের কাছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটনের সম্ভাবনাকে তুলে ধরার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে, যা আটটি উত্তর-পূর্ব রাজ্য - আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং সিকিমের পর্যটন ব্যবসা এবং উদ্যোক্তাদের একত্রিত করে - ক্রেতা, বিক্রেতা, মিডিয়া, সরকারি সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা এবং মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। এই বছর আইটিএম ১৩-১৬ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সিকিমের গ্যাংটকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে উদ্যোগগুলি সহ নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
(১) ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম - পর্যটন মন্ত্রক ওয়েব এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে দর্শনার্থীদের সাথে যুক্ত করার জন্য ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটটিকে আইআইডিপি হিসাবে পুনর্গঠন করে। ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু হিন্দি, ইংরেজি এবং জাতিসংঘের ভাষায় পাওয়া যায়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পর্যটনের প্রচারের জন্য ওয়েবসাইটটিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পর্যটন গন্তব্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে।
(২) পর্যটন মন্ত্রক উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পর্যটন স্থান এবং পণ্যগুলিকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রচার করে থাকে। পর্যটন মন্ত্রকের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে নিয়মিতভাবে উত্তর-পূর্বের গন্তব্যস্থলগুলির উপর সৃজনশীল পোস্ট, লাইভ সেশন, টুইট ইত্যাদি পোস্ট করা হয়। এছাড়াও, পর্যটন মন্ত্রক উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির পর্যটন স্থান এবং পণ্যগুলির প্রদর্শনের জন্য প্রচারমূলক সামগ্রীও তৈরি করে থাকে।
(৩) মেলা ও উৎসব আয়োজনের জন্য আর্থিক সহায়তা - পর্যটন মন্ত্রক রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিপিপিএইচ প্রকল্পের অধীনে মেলা/উৎসব এবং পর্যটন সম্পর্কিত অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। মেলা ও উৎসব আয়োজনের জন্য যে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে৷ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজঘাটে নীরমহল উৎসব, মাতাবাড়িতে দেওয়ালী উৎসব ও পিলাক উৎসব উপলক্ষে ত্রিপুরা পেয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা, ২০১৯-২০ সালে খারচি মেলা উপলক্ষে ২৫ লক্ষ ,নীরমহল উৎসবে ২ লক্ষ ও দেওয়ালী উপলক্ষে পেয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা, ২০২০-২১ সালে ভারত বাংলা উৎসব উপলক্ষে ২৫ লক্ষ টাকা৷ ২০২২-২৩ সালে নীরমহল উৎসব উপলক্ষে পেয়েছে ১০ লক্ষ, দীপাবলি উৎসবে ৫ লক্ষ, ছবিমুড়া উৎসবে ৫ লক্ষ টাকা৷ ২০২৩-২৪ সালে নীরমহল উৎসবে পেয়েছে ৯.৮০ লক্ষ, দীপাবলি উৎসবে ৯.৫৫ লক্ষ, ছবিমুড়া উৎসব উপলক্ষে ৩ লক্ষ টাকা৷ ২০২৪-২৫ সালে দীপাবলি উৎসবে পেয়েছে ২০ লক্ষ, ছবিমুড়া ও তীর্থমুখ উৎসব উপলক্ষে ১২ লক্ষ, অশোকষ্টমী উৎসবে ৫ লক্ষ, চাপাচার কুট উৎসব উপলক্ষে ৫ লক্ষ টাকা ও ২০২৫-২৬ সালে নীরমহল উৎসব উপলক্ষে পেয়েছে ৩০ লক্ষ, দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে ৩০ লক্ষ, ছবিমুড়া ও তীর্থমুখ উৎসব উপলক্ষে ২০ লক্ষ টাকা৷
(৪) পর্যটন মন্ত্রক ‘স্বদেশ দর্শন’, ‘জাতীয় তীর্থযাত্রা পুনরুজ্জীবন ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য বৃদ্ধি অভিযান (প্রসাদ)’, ‘পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে সহায়তা’ প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন/কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে৷ রাজ্যগুলিকে মূলধন বিনিয়োগের জন্য বিশেষ সহায়তা (এসএএসসিআই প্রকল্প), চ্যালেঞ্জ ভিত্তিক গন্তব্য উন্নয়ন (সিবিডিডি) উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যে পর্যটন সম্পর্কিত পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা উন্নয়নের জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। পর্যটন মন্ত্রক এখন স্বদেশ দর্শন প্রকল্পকে স্বদেশ দর্শন ২.০ (এসডি ২.০) হিসাবে পুনর্গঠন করেছে যার লক্ষ্য হল একটি গন্তব্য এবং পর্যটন কেন্দ্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সুস্থায়ী এবং দায়িত্বশীল পর্যটন গন্তব্য গড়ে তোলা। স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে ত্রিপুরা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নর্থ ইস্ট সার্কিট বাবদ পেয়েছে ৮২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা, ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পেয়েছে ৪৪ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা৷ স্বদেশ দর্শন-২ প্রকল্পে ত্রিপুরা ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে পেয়েছে ৪৮ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা৷ মূলধন বিনিয়োগের জন্য রাজ্যগুলিকে বিশেষ সহায়তা (এসএএসসিআই প্রকল্প) হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গোমতীর বনদোয়ারে শক্তিপীঠ পার্ক নির্মাণে ত্রিপুরা পেয়েছে ৯৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা৷ প্রসাদ প্রকল্পে ২০২০-২১ অর্থবছরে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৪ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা৷
পর্যটন মন্ত্রক জলশক্তি মন্ত্রকের পানীয় জল ও স্যানিটেশন বিভাগের সাথে সমন্বয় করে স্বচ্ছতা কর্মপরিকল্পনার (এসএপি) বাস্তবায়ন করছে। এসএপি-এর অধীনে, মন্ত্রক উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি সহ, অন্যত্র পরিচ্ছন্নতা-সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ২০২৪-২৫ সালে, আইআইটিটিএম, কেন্দ্রীয় আইএইচএম, রাজ্য আইএইচএম এবং এফসিআই-এর মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিভাগগুলির অধীনে ১৭৩টি এসএপি কার্যক্রম করেছে: (১) পর্যটক সচেতনতা (২) ছাত্র সচেতনতা (৩) অংশীদারদের সচেতনতা। উপরন্তু, জলশক্তি মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে, পর্যটন মন্ত্রক প্রতি বছর সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে স্বচ্ছতা পাখওয়াদা এবং স্বচ্ছতা হি সেবা (এসএইচএস) পালন করে থাকে। ২০২৪-২৫ সালে, স্বচ্ছতা পাখওয়াদার অধীনে ২৭৭টি কার্যক্রম এবং এসএইচএস -এর অধীনে ২৪৪টি কার্যক্রম উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ ভারত জুড়ে পরিচালিত হয়েছিল।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি সহ প্যান-ইন্ডিয়ান ভিত্তিতে কার্যকর বিমান যোগাযোগের জন্য, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক আঞ্চলিক বিমান ভ্রমণকে সাশ্রয়ী করার জন্য আরসিএস-উড়ান প্রকল্প চালু করেছে এবং পর্যটন মন্ত্রক উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানগুলিতে বিমান যোগাযোগকে উন্নত করার জন্য চ্যাম্পিয়ন সার্ভিস সেক্টর স্কিমের অধীনে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং সম্প্রসারণের মাধ্যমে এর সাথে সহযোগিতা করেছে। এই উদ্যোগের অধীনে, নিম্নলিখিত এনইআর রুটগুলিকে পর্যটন আরসিএস রুট হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে: ডিব্রুগড়-ডিমাপুর, ডিমাপুর-ডিব্রুগড়, ডিমাপুর-ইম্ফল, ইম্ফল-ডিমাপুর, আগরতলা-আইজল, আইজল-আগরতলা, ডিব্রুগড়-ইম্ফল, ইম্ফল-ডিব্রুগড়, হোলোঙ্গি-গুয়াহাটি এবং গুয়াহাটি-হলোঙ্গি।
আজ রাজ্যসভায় একটি লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এই তথ্য জানিয়েছেন।
*****
PS/DM
(रिलीज़ आईडी: 2198884)
आगंतुक पटल : 5
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English