প্রতিরক্ষামন্ত্রক
চলতি বৈশ্বিক পরিবেশে ভারত সমতা ও দায়বদ্ধতার কণ্ঠ হয়ে উঠেছে ; ভারত -প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণী বিশ্বের দেশগুলি ভারতকে নির্ভরযোগ্য সহযোগী মনে করে : চাণক্য প্রতিরক্ষা সংলাপে রাজনাথ সিং
प्रविष्टि तिथि:
28 NOV 2025 1:08PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং নতুন দিল্লিতে আজ চাণক্য প্রতিরক্ষা সংলাপে যোগ দিয়ে বলেছেন, ভারতের আর্থিক প্রসার, কারিগরী দক্ষতা এবং বিদেশ নীতি পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিবেশে, সমতা, দায়বদ্ধতার কণ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভারত -প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণী বিশ্বের দেশগুলি ভারতকে নির্ভরযোগ্য সহযোগী মনে করে। ‘সংস্কার থেকে রূপান্তর - সুরক্ষিত এবং বিকশিত ভারত ’ –এই বিষয় নিয়ে আলোচনাচক্রটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারত দায়বদ্ধতা, কৌশলগত স্বশাসন এবং সভ্যতাগত মূল্যবোধে প্রথিত বিশ্বাস নিয়ে আজকের বৈশ্বিক আলোচনার পথ গড়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে যুগান্তকারী সংস্কার ও রাষ্ট্রগুলির সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আইনের শাসনকে ঘিরে ভারতের অবস্থান বিশ্বের আস্থা অর্জন করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেন ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থী সংগঠনগুলির প্রতি আন্তঃসীমান্ত সমর্থনের মত চ্যালেঞ্জ স্থিতাবস্থাকে বদলে দিতে চাইছে। ফলে সামুদ্রিত ঝুঁকি বাড়ছে। সেইসঙ্গে তথ্য রণকৌশল মোকাবিলায় সর্বদা সজাগ এবং জাগ্রত থাকা দরকার। দরকার নিজেদের উদ্দেশ্যগত স্বচ্ছতা। সংস্কারের মধ্যে দিয়ে সামরিক শক্তির তৎপরতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতাকে অনেক শক্তিশালী করে তোলা যায়। তিনি বলেন, আমাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রকে আস্থাবর্ধক করে তোলার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সশক্ত, সুরক্ষিত এবং বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা তুলে ধরেন তিনি ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সীমা এবং সামুদ্রিক পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করছি, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ সম্প্রসারণ ঘটিয়ে। আমরা আমাদের সামরিক শক্তির আধুনিকীকরণকে নতুন মঞ্চ, প্রযুক্তি এবং কাঠামোর মধ্যে দিয়ে গড়ে তুলছি। সংগ্রহ প্রক্রিয়ার সংস্কার ঘটিয়ে তাতে গতি, স্বচ্ছতা এবং নির্ভরযোগ্যতা সুনিশ্চিত করছি। তিনি বলেন, আত্মনির্ভরতার মধ্যে দিয়ে আমরা প্রতিরক্ষা, শিল্প পরিমন্ডল গড়ছি। সেইসঙ্গে বিদেশের ওপর নির্ভরযোগ্যতা কমাতে উদ্ভাবন এবং সহায়ক শিল্পকে উৎসাহ দিচ্ছি। আমরা স্টার্টআপ, ডিপটেক প্রযুক্তি এবং গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করছি, যা ভবিষ্যৎ যুদ্ধ ক্ষেত্রের আকৃতি নির্ণয় করে দেবে। আমাদের কর্মরত ও প্রবীণ সেনা এবং তাদের পরিবারের স্বার্থ এবং কল্যাণকে সুনিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেন, সক্ষমতার পাশাপাশি স্থিতিস্থাপকতার প্রয়োজন, কারণ স্থিতিস্থাপক ভারত যেকোনও ধাক্কা সামলে যেকোনও পরিস্থিতিতে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্রের স্থিতিস্থাপকতায় সেনা শক্তিকে শক্তিশালী ভিত বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। আঞ্চলিক স্থায়িত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ভারতের কাছে সেনা শক্তির দক্ষতা, সক্ষমতা, সংযম এবং সদা প্রস্তুতি চালিকাশক্তি বলে তিনি জানান। কোনওরকম আপোষ না করে দেশবাসীর সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে ভারত শান্তি এবং আলোচনায় বিশ্বাসী বলে তিনি জানান।
শ্রী রাজনাথ সিং বলেন, সীমান্ত রক্ষার বাইরেও নিরাপত্তাবাহিনীর অবদান আরও বিস্তৃত। বিপর্যয়কালীন অসামরিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষা, সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে যৌথ মহড়া, শান্তিরক্ষা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, সরকার যে সংস্কার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে তা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বিশ্ব শান্তি এবং মানব কল্যাণে দেশকে শক্তিশালী করে তোলা তার লক্ষ্য।
আজ এই অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে ডিজিটালাইজেশন এবং সবুজ উদ্যোগের একগুচ্ছ পদক্ষেপ চালু করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। যার অন্তর্ভুক্ত ইকেএম : কৃত্রিম মেধা পরিষেবা – একটি পরিষেবা হিসেবে আইডিইএক্স এডিআইটিআই ২.০। এছাড়াও প্রক্ষেপণ, যা লিখিত তথ্যসামগ্রীর ডিজিটালিকরণ, ৩.০ পুস্তক যা কৃত্রিম মেধার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। এছাড়াও মাইক্রোগ্রিড প্রকল্প এবং সবুজ হাইড্রোজেনের ই-উদ্বোধন।
ইকেএম প্রকল্পটি হল সশস্ত্রবাহিনীর জন্য দেশজ কৃত্রিম মেধা সমাধানসূত্র তৈরি করা।
প্রক্ষেপণ হল, বিভিন্ন মন্ত্রক এবং সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরী সহযোগিতা যাতে ভূমিধস, বন্যা, তুষারধসের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হয়।
কৃত্রিম মেধা নির্ভর ডিজিটালিকৃত পুস্তকের লক্ষ্য হল প্রথাগত পদ্ধতিকে প্রযুক্তি নির্ভর করে তোলা।
সবুজ হাইড্রোজেন এবং মাইক্রো গ্রিড প্রকল্পটি হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য লাদাখের চুসুলে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪,৫০০ মিটার উর্ধ্বে জাতীয় তাপবিদ্যুৎ নিগম যে ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে তাতে সেনা ছাউনিগুলির ডিজিতে জৈব জ্বালানির পরিবর্তন ঘটিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা। এর ফলে বার্ষিক ১৫০০ টন কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, প্রতিরক্ষা উৎপাদন সচিব শ্রী সঞ্জীব কুমার, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব ডঃ এম রবীচন্দ্রন, সেন্ট্রার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিসের মহানির্দেশক লেফটেন্যান্ট জেনারেল দুষ্মন্ত সিং (অবসরপ্রাপ্ত), এনটিপিসি-র চেয়ারম্যান শ্রী গুরদীপ সিং সহ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সামরিক, অসামরিক ক্ষেত্রের আধিকারিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চাণক্য প্রতিরক্ষা সংলাপ ২০২৫-এর আয়োজন করেছে সিএলএডব্লুএস- এর সঙ্গে ভারতীয় সেনা। গত দু-দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। ভারতের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা স্থাপত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে কৌশলগত আলোচনার এক সর্বাত্মক মঞ্চ গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য।
SC/AB/SG
(रिलीज़ आईडी: 2195891)
आगंतुक पटल : 5